বিকাল ৪:১৪। আমার ফোনটি বেজে উঠল। আমি তখন অফিসে। আমার অফিস গুলিস্থানে…………..
-হ্যালো?
– রাসেল?
-জ্বি……???
-আমি সুমন।
-হুমমম……
– চিনছো?
-হ্যাঁ…….কেমন আছিস তুই? এতদিন পর?
– দোস্ত আমি খুব বিপদে পড়েছি………..আমি আর আমার বেষ্ট বন্ধু এখন উত্তরার ১১নং এ আটকে আছি…….আমাদের কে উদ্ধার কর………….
-কেন? কি হইছে? আর সিলেট থেকে আবদুল্লাপুরে কি করস?
– আরে আমি এয়ারপোর্টে ট্রেন থেইক্কা নামনের পরই পকেট চেক কইরা দেহি মানিব্যাগ হাওয়া……………….
-আহারে!!!
– অহন আমি কি করমু?
-এক কাজ কর। আমার বাসা চিনস? সেখানে আয়।
– শ্যামলীতে না?
-না, এখন মিরপুর শ্যাওড়াপাড়ায় থাকি।
– আমু কেমনে? টাকা পয়সা নাই।।।।
-সিএনজি ল। টাকা আমি দিব নে।
– ওকে। আইতাছি।
আমার কাজিন সুমন। সিলেট থেকে উত্তরায় এসে বিপদে পড়েছে। সে আমাদের বাড়িতে আসা মাত্রই ঘটনার শুরু।
২ ঘন্টা পর সুমনের ফোন………………
-হ্যালো রাসেল? আমি আইয়া পড়ছি………তুই আইবি না?
– হ্যাঁ….আসতেছি। এখন বাসে……..
লোকাল বাসে প্রায় ঝুলে ঝুলে বাসায় ফিরছিলাম……….
১৫-২০মিনিট পর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লোক নেমে গেল। ওই সময়ে অফিস ছুটির সময়ে এমন টা হবার কথা নয়।
আমি সবার সামনে সিটে বসলাম।
একটু পরই একটি অসুস্থ লোককে চার জন লোক ধরে ধরে ইঞ্জিনের সামনের সিটে এনে বসাল।
লোকটি জিমুছ্িল।
আমার ত লোকটিকে থেকেই ভয় ভয় করছিল। চারজন লোক একজনকে ধরে বসে আছে………..
বাসটি সাইন্স ল্যাবরোটারিতে আসা মাত্রই লোকটি বড় বড় চোখ তুলে আমার দিকে তাকালো।
আমি ভয় পেয়ে গেলাম।
-এই তুই এখানে কি করতেছিস?
-মানে???
-সর সামনে থেকে….
-কেন?
-আমি ওখানে শোব। সর………………
আমি সরে গেলাম। গিয়ে একদম গেইটে দাড়াঁলাম।
তো তার সাথে যেই চারজন ছিল তাদের একজনকে প্রশ্ন করলাম, ওনার কি হয়েছে?
– এই যে ভাই, কি হইছে?
– জিন আসর করছে।
-নাম কি ওনার?
-রাসেল!!!!
– এই জন্যই ত বলি……………………… (নামে মিতায় ঢাকে!!!)
ওই দিন কোন রকমে বাস থেকে নেমে গেলাম।
বাসায় ঢুকে দেখি তারা আমার মা’র সাথে ভুতের গল্প করছে। আমি ঢুকেই বাথরুমে গেলাম। আয়নার দিকে তাকাতেই আমার নিজের মুখটিকে কেমন জানি অচেনা লাগছে!
তারপর সবার সাথে আমার ঘটনাটি শেয়ার করলাম। মা ত হাসতে হাসতে শেষ!
কিন্তু সুমন খুব ভয় পেল।
ওইদিন রাতে খাবারের পর আমি ফিল্টার থেকে পানি খাচ্ছি আর ফাহাদের (সুমনের সাথে আসছিল) দিকে তাকিয়ে রয়েছি ঠিক তখনই একটি ছায়া (!) কে দৌড়ে বাথরুমের দিকে যেতে দেখলাম!
আমার কথাটি কেউই বিশ্বাস করল না। আমার তখন জ্বর এসে গেল।
রাতে তিনজন ( আমি, সুমন, ফাহাদ) একসাথে ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।
তো আমি আর সুমন শুয়ে পড়লাম এবং ফাহাদ বাথরুমে গেল।
হঠাৎ ফাহাদের চিৎকারে আমরা অবাক হয়ে গেলাম। দৌড়ে বাথরুমে গিয়ে দেখি ফাহাদ বেহুঁশ হয়ে পড়ে আছে।
১০মিনিট পর ফাহাদ জেগে উঠলে সে যা বলল তা এক রকম অদ্ভুত।।!!!
তার ভাষ্যমতে……………
-আমি যেই মাত্র মুখে ফেসওয়ার দিলাম তখনই বাথরুমের কমড দেখে একটি রক্তাক্ত হাত উঠে আমার দিকে আসতে চাইছিল………..তারপর আর মনে নেই।
সেই রাত্রে শোবার পর আমি জানালা দিয়ে বিভিন্ন প্রকার আলো দেখছিলাম।
পরের দিন সন্ধ্যায় সুমনকে বাসে উঠিয়ে দিয়ে আসছিলামৃ……. হঠাৎ ৬ b¤^i রোডে আসা মাত্রই এশটি সাত ফিট (!) উঁচা একটি অদ্ভুত শেপ (গোলাকার) আমার দিকে ছুটে আসছিল……………..আমি দৌড়াচ্ছি আর দৌড়াচ্ছি…………………
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।