হজরত মুসা (আঃ) এর বিবাহ ও যৌবন-১ম পর্ব
হজরত মুসা (আঃ) একাধারে ত্রিশ বছর যাবত ফেরাউনের ঘরে পালিত হল। বিশ বছর বয়সে ফেরাউনের রাজকীয় পদ্ধতিতে তার পালক পুত্র হজরত মুসা (আঃ) এর বিবাহ কার্য সমাধা করে। এ ঘরে তার দুইটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। হযরত হজরত মুসা (আঃ) ফেরাউনের পিতার ন্যায় শ্রদ্ধা করতেন। কিন্তু একটি বিষয়ে তার সাথে প্রায়ই বাদুনুবাদ হত।
সেটা ছিল ফেরাউনের খোদাই দাবির বিষয়টা। প্রায়ই হজরত মুসা (আঃ) তাকে বলতেন, আপনি একটি কাজ পরিত্যাগ করলে পৃথিবীর শ্রেষ্ট মানুষ হিসাবে চিরদিন পরিচিত হয়ে থাকতেন। ফেরাউন উত্তরে বলত, আমার খোদাই দাবির পিছনে আল্লাহতালার সমর্থ আছে। অতএব তুমি বাধা সৃষ্টি কর না। আমাকে কাজ করার সুযোগ দাও। এটা দ্বারাও আমি পৃথিবীর বিরাট সুনামের অধিকারি হয়ে থাকব তাতে আদৌ সন্ধেহ নেই।
হজরত মুসা (আঃ) এর বয়স যখন ত্রিশ বছর তখন তিনি একদিন দুপুরের পরে রাস্তায় ভ্রমনে বের হয়ে দেখলেন দুই ব্যক্তির মধ্যে ঝগড়া করছে। হজরত মুসা (আঃ) তাদের কাছে গিয়ে দেখলেন একজন ফেরাউনের মহেমানখানার বাবুর্চি, সে কিবতী বংশের লোক। এ লোক টি বিক্রয় এর জন্য কিছু কাঠ নিয়ে বাজারে যাচ্ছিল, তখন ফেরাউনের বাবুর্চি কাটগুলা বাকি টাকায় তাকে দেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু বনি ইসরাইয়ের ব্যক্তি তাতে রাজি হচ্ছে না। এ নিয়ে উভয়ের ভিতরে ভীষণ ঝগড়া ও বিবাদের সৃষ্টি হল। তখন হজরত মুসা (আঃ) অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেন এবং কিবতী বাবুর্চি কে নগদ টাকা দিয়ে কাঠ গ্রহনের জন্য বলেন।
কিন্তু বাবুর্চি তাতে রাজি না হয়ে সে জোর করে বাকিতে কাঠ নেওয়ার চেষ্টা করল। এমন কি সে কাঠ নিয়ে জোর-জবরদস্তী আরম্ভ করল। তখন হজরত মুসা (আঃ) সহ্য না করতে পেরে বাবুর্চিকে এক ঘুষি লাগিয়ে দিলেন। বাবুর্চি ঘুষির আঘাত সহ্য না পেরে মৃত্যুবরন করল। তখন হজরত মুসা (আঃ) বনি ইসরায়েল লোকটিকে বললেন, তুমি এখন এখান থেকে পালিয়ে যাও না হয় বিপদ ঘটতে পারে। এ লোকটি হজরত মুসা (আঃ) ভাগ্নে হত। কিন্তু তাদের কারো পরিচয় জানা ছিল না। লোকটির নাম ছিল ছামেরী। ছামেরী হজরত মুসা (আঃ) এর কথা অনুসারে দূরে অন্যত্র চলে গেল। পরের দিন শহরের অপর প্রান্তে ছামেরী অন্য একজন কিবতী দলীয় লোকের সাথে পুনরায় ঝগড়া আরম্ভ করে। হজরত মুসা (আঃ) তখন সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি ছামেরী কে ঐ অবস্থায় দেখে বললেন, তুমি একটা আহাম্মক।
সূত্রঃ কুর আনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী
হজরত মুসা(আঃ) এর বিবাহ ও যৌবন-২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন