আজ সন্ধ্যার আলো নিভে আসার পরও রহমতুল্লাহ তার বাড়ির বাগানে বসেছিলেন। আঙিনায় একটা মাত্র শিউলি ফুলের গাছ, এই গাছটিকে তিনি নিজের হাতে লাগিয়েছিলেন এবং যত্নে বড় করেছেন। বাগানের দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারে তিনি এই গাছটিকে লাগিয়েছিলেন। বিকাল উত্তীর্ণ সন্ধ্যায় আজ তাকে কিছুটা বিষণ্ণ এবং আচ্ছন্ন লাগছিল।
যে কোনো ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও ঘটনার একটা আকস্মিকতা থাকে যা মানুষকে মুহূর্তের জন্য হলেও হেলিয়ে দিয়ে যায়। রহমতুল্লাহর ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। এতদিন সে এই সম্পর্কটা যাপন করেছে। এমন পরিসমাপ্তি তার কাঙ্ক্ষিত ছিল না। কিন্তু তার মনে এই সত্য দাঁড়িয়ে গিয়েছিল যে, জেরিনের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ অনিবার্য। তবুও অনিবার্য এই সম্ভাবনার পরিণতিতে যেতে জেরিনের সঙ্গে তার সম্পর্কের এই সেশনটা যাপন করতেই হয়েছে- আর জীবনকে যদি পজিটিভভাবে দেখা হয় তবে এটা হয়তো একজীবনে কম উপভোগ্য নয়, নেগেটিভ ভাবে দেখলে এই জীবন সত্যিই বোরিং।
জীবনের যাত্রা কখন কেমন হবে কোন দিক থেকে কোন দিকে যাবে তা পুরোপুরি আগাম আন্দাজ করা সম্ভবপর নয়। মেঘের ভাব বুঝেই
যেমন বৃষ্টির ধারণা, তেমনি ঘটনার মধ্য দিয়েই এর একটা উপসংহারে পৌঁছায় একটা জীবন। প্রথমেই কেউ চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণে পৌঁছতে পারে না।
বিয়ের পর পরই জেরিন সম্বন্ধে রহমতুল্লাহ পূর্ব ধারণায় ফিরলেন। বিয়ের আগেও তিনি জানতেন জেরিনের আগ্রহের বিষয়, আকাক্সক্ষার বিষয়। তার ধারণা ছিল, জীবনের অধিকাংশ বিষয় যদি প্রাপ্তিতে ভরে ওঠে তবে তার চাওয়া-পাওয়া সাধারণ হতে থাকে। এই একটি সম্ভাবনাকে তিনি বিবেচনা করেই জেরিনকে বিয়ে করেছিলেন। ভেবেছিলেন এক জীবনে প্রাচুর্যের তো তার কোনো অভাব নেই। ধন-সম্পদ অঢেল। বরং ভোগ করার জন্য নিজস্ব লোকের অভাব। সামান্য ভোগ-বিলাসের লোভ যখন জেরিনের কানায় কানায় ভরে যাবে, তখন সেও নিশ্চয়ই সাধারণ হতে থাকবে। বাইরের জৌলুস কমিয়ে ভেতরের দিকে নজর দেবে। কিন্তু না, ঘটনা ভাবনার উল্টা দিক থেকে ঘটতে থাকল। বিয়ের পর জেরিনের চাহিদা জ্যামিতিক হারে বাড়তে শুরু করল। সেই চাহিদা এতই স্থূল থেকে স্থূলতর হতে লাগল যে রহমতুল্লাহর রুচির সঙ্গে জেরিনের দ্বন্দ্ব ক্রমশ গাঢ় হতে থাকল। দোয়েল চত্বরের একটা মাটির ফুলের টব আড়ং থেকে অনেক সস্তা। কিন্তু সে আড়ং থেকেও কিনবে আবার দোয়েল চত্বর থেকেও একই বস্তু কিনবে। তারপর আড়ংয়েরটা রেখে দোয়েল চত্বরেরটা ভেঙ্ েফেলবে। কারণ আড়ং থেকে কিনলে জেরিনের অভিজাত মনে হয়, দোয়েল চত্বরের ফুটপাত থেকে কিনলে ক্লাশলেশ মনে হয়, যদি সেটা আড়ংয়ের থেকেও নান্দনিক হয়, তবুও…।
রহমতুল্লাহ চৌধুরী সাধারণ, আটপৌরে গৃহস্থেরই ছেলে ছিলেন। অত্যন্ত বিচক্ষণ, কর্মঠ আর বুদ্ধিদীপ্ত হওয়ায় যৌবনের শুরুতেই তার ধনভাগ্যর দরজা-জানালা সব খুলে যায়। তবে এই দরজা এমনি এমনি খুলে না। এর জন্য তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। যৌবনের শুরুতেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, জীবনে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছলতা খুবই দরকার। আর এজন্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্ষমতার কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কও দরকার। অর্থনৈতিকভাবে উপরে ওঠার সিঁড়ির অন্বেষণায় রহমতুল্লাহ মানুষকে পাঠ করার অধ্যবসায় শুরু করেছিলেন তার লক্ষ্যের শুরুতেই। এই অধ্যবসায় তাকে এমন কিছু অর্জন এনে দেয়, যার ফলে তিনি কোনো লোককে দেখে, সাময়িক কথা বলেই অনুমান করতে পারেন তার সম্পর্কে। অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান তাকে মন পাঠের বিশেষজ্ঞ স্তরে উন্নীত করে। আর এই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তিনি ক্ষমতাবানদের কাছাকাছি পৌঁছে যান। ক্ষমতাশালীদের কাছে পৌঁছানোর ফলে তিনি রাতারাতি বিত্তশালী হয়ে ওঠেন। ৩ কাঠার বাড়ির পরিবর্তে তিনি ৩০০০ কাঠার জমির মালিক হন। অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই তার কোষাগারে হাজার কোটি টাকা সঞ্চিত হয়। তারপর সেই প্রচলিত কথার মতোই তার জীবনে সত্য হয়ে যায়- টাকায় টাকা আনে। তিনি সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন না। কিন্তু পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা তো দিতেই হয়, না হলে বৈভব টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়। তার এই ধনার্জনে তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছেও শুকরিয়া আদায় করেন। বিশেষ করে পরম করুণাময় তাকে যে মনপাঠের ক্ষমতা দিয়েছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হেতু তার অবয়বে সর্বদা আত্মতৃপ্তির ঢেউ খেলে যায়।
প্রকৃত কৃষক যেমন আকাশের মেঘের চলাচল আর বাতাসের ধরন-ধারণ দেখে দিনের আবহাওয়া অনুমান করে নেন, রহমতুল্লাহও মানুষের চোখ দেখে, কথা শুনে তার সম্পর্কে একটা পরিণত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেন। ক্ষমতার কেন্দ্রে পৌঁছে ধনসম্পদের মালিক হয়ে তা সংরক্ষণ করতে তিনি রাজনীতিসহ জীবনের আরও কিছু জটিল বিষয় ও পরিস্থিতিকে পাশ কাটিয়ে চলেন।
প্রাচুর্যের চূড়ায় অবস্থান করে জীবনের অনেক চাওয়া-পাওয়া কমে যায় তার, ধীরে ধীরে তিনি সাধারণ থেকে অতিসাধারণ হতে থাকেন। একটা পর্যায় তার মধ্যে উপলব্ধি আসে যে, এত প্রাচুর্য দিয়ে কি হবে! কারণ তিনি দেখলেন যে, এত সব হওয়ার পরেও একদিন নিজেই আর এসবের সঙ্গে থাকতে পারবেন না। বাস করবে বলে অনেক অনিষ্ট করেও মানুষ আঠার তলা বাড়ি বানায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার থাকা হয় না। গন্তব্য হয় কিন্তু সাড়ে তিন হাত মাটির কাছে। অনেকে তাও পান না। ফলে তার মধ্যে কতগুলো পরিবর্তন আসে। ক্রমশ মুক্তিলাভের চেষ্টায় তিনি মগ্ন হন। আর এক ধরনের অন্তর্মুখী বৈরাগ্য তাকে ঘিরে ধরে।
জেরিন সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে। বিয়ের পর তার বরের এই আকাশচুম্বী বৈভবের ভিতর বাস করে বিত্তের নেশায় আসক্ত হয়ে ওঠেন তিনি। এই নেশা এমন যে এর কোনো সমাপ্তি থাকে না। মোরে আরও আরও আরও দেও… তার এই চাহিদা কোনদিন ফুরাবার নয়। চাহিদা, লোভ তাকে ক্রমশ বিকৃত রুচির এক মানুষে পরিণত করে- যার সঙ্গে রহমতুল্লাহ আর একসঙ্গে এগুতে পারছিল না। তার স্ত্রীর এই বিকৃত রুচির খেসারত তাকে দিতে হয়েছে নানাভাবে। অহেতুক কাজের মেয়েকে নির্যাতন এবং পত্রপত্রিকার পাতায় খবর, তারপর থানা-পুলিশ। আবার শপিং মলে, জুয়েলারি দোকানে স্ত্রীর গহনা চুরির দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার খেসারত থেকে শুরু করে এতসব নিচু রুচির সঙ্গে তাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে যে, তিনি আর এই যৌথ-যাত্রায় অংশ নিতে পারছিলেন না। তিনি ভেবেছিলেন প্রাচুর্যের মধ্যে জেরিনের এক ধরনের সুষ্ঠু পরিবর্তন আসবে। যার সব আছে তার আকাক্সক্ষা সীমিত হয়ে আসে- এটাই রহমতুল্লাহর উপলব্ধির বিষয় ছিল। কিন্তু তার এই উপলব্ধি কেবল জেরিনের ক্ষেত্রেই ফলপ্রসূ হল না। ফলে স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা-পয়সা আর আইনানুগ প্রাপ্তির সব অর্থ মিটিয়ে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ চূড়ান্ত করলেন।
আজ তার বিবাহ বিচ্ছেদের তিনবছর পূর্ণ হল। নিঃসঙ্গ রহমতুল্লাহ নিজের আঙিনায় নমিত সন্ধ্যায় বসে ছিলেন বিষণ্ণতার রাজত্বে। যেন জীবনের সব আসক্তি তার কেটে গেছে। শুধু একটা আসক্তিই তার অবশিষ্ট আছে। এই আসক্তির সঙ্গে পরিচয় ঘটলে যে কেউ রহমতুল্লাহ সম্পর্কে একটা বেঢপ ধারণা পোষণ করতে পারেন। কিন্তু তা তো সবার জানা নয়।
রহমতুল্লাহ মাঝে মাঝে রাস্তায় লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা ফেলে দেন। তারপর আড়ালে এসে সেই দৃশ্য উপভোগ করেন। এটাই তার সপ্তাহের একমাত্র কর্মসূচি। বাকি দিনগুলো শুধু খবরের কাগজ পড়ে কেটে যায় তার। রাস্তায় ফেলে দেয়া টাকা নিয়ে সমাজে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া ঘটল তা দৃশ্যের আড়ালে থেকে দেখে বেড়ান আর কোনো খবরের কাগজ তা ছাপাল কিনা সেটার জন্য খুবই নিমগ্ন হয়ে আঙিনায় বসে তা পাঠ করেন। অবশ্য তিনি সকালে খবরের কাগজ পড়েন না। পড়েন বিকালে।
সেদিন বিকালে, সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির পূর্ব গেটের রাস্তায় দক্ষিণ দিক থেকে আসছিল তৈমুর। হঠাৎ সে পথের পাশে ১ হাজার টাকার একটি নোট পড়ে থাকতে দেখে তুলে নেয়। তুলে নিতে নিতেই সে দেখে পর পর দুটো রিকশা থেমে গেছে। দুটো রিকশায়ই যুগল যাত্রী। সামনের রিকশাওয়ালা তড়িঘড়ি করে এক একটা হাজার টাকার নোট তুলছে আর যাত্রীরা উৎকণ্ঠার সঙ্গে টাকাগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে। তৈমুর একটি নোট তুলেই থ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে।
সে নোটটি হাতে নিয়ে তৎক্ষণাৎ ভাবছে আজ সাকুরায় যাওয়াটা সহজ হয়ে গেল। পরক্ষণেই ভাবছে শালা ১ হাজার টাকা না হয়ে ১ লাখ টাকার একটা বান্ডিল হলেই তো হতো। এ মাসের বাড়িভাড়া আর ছেলের ডেক্সটপ এবং বউয়ের বসুন্ধরা শপিং মলের একদিন এবং বাকি যা থাকবে তা দিয়ে সাকুরায়। বিনে চালানে ব্যবসায় এর বেশি আর তৈমুর কল্পনা করতে পারছিল না। কল্পনার এ ঘন মুহূর্তে হঠাৎ সে সম্বিত ফিরে পায় রিকশাওয়ালার টাকা কুড়ানো শেষ হওয়াতে। লজ্জা পেয়ে হাসি চেপে রাখে। ভাবে, ধুর শালা, কার টাকা কে ভাবছে। এর মধ্যে রিকশাওয়ালা টাকা তুলে গোনা শুরু করে দিয়েছে। যাত্রীরা উদ্বিগ্ন। কি ঘটছে তার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। যাত্রী, রিকশাওয়ালা এবং তৈমুর প্রত্যেকেই ভাসছে রাস্তায় ছিটানো টাকার স্বপ্নে।
গুনে গুনে তৈমুরের হাতের ১ হাজার টাকার একটি নোট আর রিকশাওয়ালার হাতে ৯৯টি নোট মিলে এক লাখ টাকা! এত টাকা একসঙ্গে পড়ে গেল! এদিকে তৈমুর ভাবছে টাকাগুলো রিকশা যাত্রীর হতে পারে। রিকশাওয়ালা ভাবছে টাকাগুলো তৈমুরের হতে পারে। কিন্তু ভাবনার এই মুহূর্তে সেও টাকা নিয়ে কি কি করবে তার স্বপ্নে ঘুরে আসে, এবার সে একটি অটো কিনবে। বউকে নিয়ে একদিন বাজারে যাবে, সে যা চাইবে তাই কিনে দিবে। গ্রামের কুঁড়ের ঘরটি টিনের চালে নতুন রূপ পাবে। ভাবনার এই মুহূর্তে তৈমুর হঠাৎ করে গলা খাঁকারি দেয়ায় রিকশাওয়ালা সম্বিত ফিরে পায়, বলে স্যার- এত টাকা রাস্তায় পড়ে গেল! তৈমুর প্রচলিত নৈতিকতার কোনো ধার ধারে না। কুড়িয়ে পাওয়া টাকা নিয়ে নিতে তার কোনো সংস্কার কাজ করে না। সে জানে টাকা মানে টাকা। যার হাতে যাবে তার কথাই বলবে। কিন্তু রিকশাওয়ালার দিকে চেয়ে তার শ্রেণী ধারণাটা প্রকট হল। তাছাড়া রিকশাওয়ালাই বেশি টাকা কুড়িয়েছে। সে মাত্র ১ জাহার টাকার একটি নোট তুলেছে। টাকাগুলোর যদি দাবিদার খুঁজে না পাওয়া যায়, তবে ওটা যার যার প্রাপ্য। তৈমুর অবশ্য রিকশাওয়ালাকে ধমক দিয়ে টাকাগুলো নিজের হস্তগত করতে পারত। কিন্তু তার মধ্যেও সংশয় ছিল যে, যদি টাকা যাত্রীদের হয়ে থাকে। কারণ কেউ দেখেনি যে টাকাগুলো কোত্থেকে পড়েছে। তৈমুর ভাবছে টাকাগুলো যাত্রীদের হতে পারে আর রিকশাওয়ালা ভাবছে টাকাগুলো তৈমুরের হতে পারে। এই ভিন্নমুখী ভাবনার মধ্যে হয়তো শব্দটাই গোল বাঁধাল। ফলে তৈমুর আর আগপিছ না ভেবে তার হাতের নোটটিও রিকশাওয়ালাকে দিয়ে বলল- নেও। বলেই সে দ্রুত গতিতে তার গন্তব্যের দিকে রওনা হল। রিকশাওয়ালা অবাক বিস্ময়ে তার চলে যাওয়ার পথে কয়েকটি পলক তাকিয়ে থেকে মুহূর্তেই রিকশা ছেড়ে খুশিতে কি করবে ভেবে না পেয়ে রিকশার যুগল যাত্রীর পুরুষকে বলল- স্যার বলেন, আপনারা কোথায় খাইতে চান, চানখার পুল? ইসমাইলের বিরিয়ানি? আপনেরা আমার লক্ষ্মী কাস্টমার, আপনাদের না খাইয়ে আমার ছাড়া উচিত হবে না। চলেন আপনারা। যেখানে যাইতে চান সেখানেই নিয়ে যাব। ভাড়া লাগবে না, আজ আপনাদের সব ভাড়া ফ্রি! যাত্রীরাও এই ধরনের আকস্মিক ঘটনার পর সম্বিত ফিরে পেলে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রিকশাওয়ালাকে দেখছে।
অনতিদূরে, শিল্পকলার গেটের আড়ালে দাঁড়িয়ে রহমতুল্লাহ এই দৃশ্য উপভোগ করছিলেন। কিন্তু উপভোগ্য দৃশ্য তো বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না, ধীরে সন্ধ্যা নেমে এলে সে বাসার পথে রওনা হয়।
লেখক : সাহিত্যিক, সাংবাদিক
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।