হযরত শায়খ আবুল হাসান আলী ইবনে ইব্রাহীম জাফরী (রঃ) – পর্ব ১

হযরত শায়খ আবুল হাসান আলী ইবনে জাফরী (রঃ) আধ্যাত্মিক জগতের অগ্রগণ্য পুরুষ বলে বিবেচিত। তিনি ছিলেন পবিত্রতা ও ধর্মনিষ্ঠার প্রতীক। তাঁর জন্ম বসরায়। কেউ কেউ বলেন তিনি মিশরের অধিবাসী। কিন্তু মূলত তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় কাটে বাগদাদে। ৩৯১ হিজরীতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

সৃষ্টি থেকে সরে গিয়ে যিনি শুধু আল্লাহর হয়ে যান, তিনিই সুখী। আর আল্লাহর নৈকট্য লাভের পর সৃষ্টির প্রয়োজন হয় না। এই ছিল হযরত আবুল হাসান আলী (রঃ)-এর অভিমত।

তাঁর এক শিষ্য আহমদ নসর ষাটবার হজ্জ করেন। একবার হেরেম শরীফে বসে হযরত আবুল হাসান আলী (রঃ)-এর সামনেই তিনি এমন মন্তব্য করেন যাতে মক্কা শরীফের সমস্ত সাধক-দরবেশের মনে দারুণ আঘাত লাগে। আর রাগে-বিরক্তিতে তিনি আহমদ নসরকে হেরেম শরীফ থেকে বহিষ্কার করেন। ২৮০ জন পীর-দরবেশের মনে আঘাত দেয়ার কারণে তিনি তাঁকে তাঁর কাছে আসতে না দেওয়ার ঘোষণাও জারি করেন।

কিছুদিন পরে খোরাসানবাসী ঐ মুরীদ ফিরে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে শিষ্যগণ তাঁর নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেন। আর তা শুনেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। পরে জ্ঞান ফিরে পেয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের আশা ত্যাগ না করে পীরের ঘরের দরজায় বসে রইলেন। একদিন তাঁকে এভাবে বসে থাকতে দেখে হযরত আবুল হাসান আলী (রঃ) বললেন, তোমার অপরাধের শাস্তিস্বরূপ তোমাকে যেতে হবে রোম নগরীর কোন এক বস্তিতে।

সেখানে তুমি এক বছর শুরক চরাবে আর মাঠেই নামাজ পড়বে। রাতের বেলায় এবাদত আর দিনে রোযা রাখবে সারা বছর। এভাবে একবছর কাটাতে পারলে মক্কার পীরগণের মনে তোমার জন্য দয়া আসবে। তুমি তাঁদের ভালোবাসা পাবে।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত শায়খ আবুল হাসান আলী ইবনে ইব্রাহীম জাফরী (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

হযরত শায়খ আবুল হাসান আলী ইবনে ইব্রাহীম জাফরী (রঃ) – পর্ব ১

হযরত শায়খ আবুল হাসান আলী ইবনে জাফরী (রঃ) আধ্যাত্মিক জগতের অগ্রগণ্য পুরুষ বলে বিবেচিত। তিনি ছিলেন পবিত্রতা ও ধর্মনিষ্ঠার প্রতীক। তাঁর জন্ম বসরায়। কেউ কেউ বলেন তিনি মিশরের অধিবাসী। কিন্তু মূলত তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় কাটে বাগদাদে। ৩৯১ হিজরীতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

সৃষ্টি থেকে সরে গিয়ে যিনি শুধু আল্লাহর হয়ে যান, তিনিই সুখী। আর আল্লাহর নৈকট্য লাভের পর সৃষ্টির প্রয়োজন হয় না। এই ছিল হযরত আবুল হাসান আলী (রঃ)-এর অভিমত।

তাঁর এক শিষ্য আহমদ নসর ষাটবার হজ্জ করেন। একবার হেরেম শরীফে বসে হযরত আবুল হাসান আলী (রঃ)-এর সামনেই তিনি এমন মন্তব্য করেন যাতে মক্কা শরীফের সমস্ত সাধক-দরবেশের মনে দারুণ আঘাত লাগে। আর রাগে-বিরক্তিতে তিনি আহমদ নসরকে হেরেম শরীফ থেকে বহিষ্কার করেন। ২৮০ জন পীর-দরবেশের মনে আঘাত দেয়ার কারণে তিনি তাঁকে তাঁর কাছে আসতে না দেওয়ার ঘোষণাও জারি করেন।

কিছুদিন পরে খোরাসানবাসী ঐ মুরীদ ফিরে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে শিষ্যগণ তাঁর নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেন। আর তা শুনেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। পরে জ্ঞান ফিরে পেয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের আশা ত্যাগ না করে পীরের ঘরের দরজায় বসে রইলেন। একদিন তাঁকে এভাবে বসে থাকতে দেখে হযরত আবুল হাসান আলী (রঃ) বললেন, তোমার অপরাধের শাস্তিস্বরূপ তোমাকে যেতে হবে রোম নগরীর কোন এক বস্তিতে।

সেখানে তুমি এক বছর শুরক চরাবে আর মাঠেই নামাজ পড়বে। রাতের বেলায় এবাদত আর দিনে রোযা রাখবে সারা বছর। এভাবে একবছর কাটাতে পারলে মক্কার পীরগণের মনে তোমার জন্য দয়া আসবে। তুমি তাঁদের ভালোবাসা পাবে।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত শায়খ আবুল হাসান আলী ইবনে ইব্রাহীম জাফরী (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আরো পড়তে পারেন...

মুগীরা ইবন শু’বা (রা)

নাম আবু আবদিল্লাহ মুগীরা, পিতা শু’বা ইবন আবী আমের। আবু আবদিল্লাহ ছাড়াও আবু মুহাম্মাদ ও…

সাপের তওবা

একটি সাপের ঘটনা বর্ণনা করছি। আমার কাছে যারা তালীম গ্রহন করতে আসে প্রথমেই আমি কাউকে…

আবদুল্লাহ ইবন হুজাফাহ আস-সাহমী-(রা)

আবু হুজাফাহ আবদুল্লাহ নাম। পিতার নাম হুজাফাহ। কুরাইশ গোত্রের বনী সাহম শাখার সন্তান। ইসলামী দাওয়াতের…