হযরত শাহজালাল (রঃ ) – পর্ব ১৪
হযরত শাহজালাল (রঃ ) – পর্ব ১৩ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বোরহান উদ্দীনের গোদিন্দের উপর আক্রোশঃ
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় গোবিন্দ যেমন ছিল অত্যাচারী তেমন ছিল নিষ্ঠুর। এবারে তার নিষ্ঠুর খেলার নিপাত হল। মানুষ অবুঝ শিশুকে হত্যা করার সময় শিশুর কান্নায় আসমান জমিন স্তম্বিত হল। বাতাস নদীর স্রোত থমকে দাড়াল। পশুর কল্গান রুদ্ধ হয়ে গেল। গাছ পালা সব ঝিমুতে লাগল। পৃথিবীর দিকে তাকালে মনে হত সারাবিশ্ব যেন শিশুর কান্নায় করুণ সুরে সুর মিলিয়ে কান্না জুড়ে দিল। বৃক্ষের পাতা ঝড়ে পড়ল। শিশুহারা মায়ের হৃদয় ফেটে চৌচির হয়ে গেল। মায়ের কান্না আসমান জমিন এমনি আরশ পর্যন্ত কেঁপে উঠল। কিন্তু পাপিষ্ঠ নরাধম গোবিন্দের অন্তরে মোটেই ব্যথার উদ্রেক হল না। বরং আনন্দই পেল। আল্লাহর লিলা বোঝা ভার। বোরহান উদ্দীনের আনন্দ যেভাবে গোবিন্দ নষ্ট করে দিল। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন ও গোবিন্দের আনন্দকে নস্যাৎ করে দিলেন।
বোরহান উদ্দীন তার পুত্র শোকে ভীষণ ভাবে মর্মাহত হলেন। তিনি যেন একেবারেই নির্বাক হয়ে গেলেন। তার অন্তরও যেন ভেঙ্গে চুরে চুরমার হয়ে গেল। এক সময় শেখ বোরহান উদ্দীনের চেতনা ফিরে এল। এবারে মানসিক চিন্তা ছেড়ে ঈমানী বলে বলীয়ান হয়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেন। ধর্ম পালনের জন্যই যদি নবজাতক শিশুর তাহলে আমাকে এর প্রতিশোধ নিতেই হবে। শিশুকে উদ্দেশ্য করে বললেন, বাবা তুমি সুখে ঘুমাও আমি তোমার প্রতি ফোটা রক্তের প্রতিশোধ নিব ইনশাল্লাহ। এক সময় তিনি প্রতিশোধের পথ বের করে সে পথে চলতে লাগলেন।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া