হযরত শাহজালাল (রঃ ) – পর্ব ১১
হযরত শাহজালাল (রঃ ) – পর্ব ১০ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বুরহান উদ্দিনের মান্নাত আদায়ঃ
একথা দিবালোকের ন্যায় উজ্জ্বল যে শেখ বুরহান উদ্দিনের যুবক জীবনে কোন সন্তানাদি হয়নি। পরিশেষে তার প্রার্থনা আর্তনাদধত্ত মান্নাতের প্রতফলে তাদের উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হল। এক সময় দেখা গেল পুণ্যবর্তী স্ত্রী গর্ভধারণ করেছেন। এখন আশস্ত ছিল, আজ সে আশা পূরণের পথে।
তাইতো তিনি দান সদকার হাতকে প্রসার করবেন। গরীব- দুঃখী তার কাছে এসে আনন্দেই ফিরে যায়। কারণ সে সকল ভিক্ষুককেই বেশী বেশী দান করতেন। ক্রমশঃ দীন পেরিয়ে যায় আনন্দ ও বাড়তে থাকে, আবার আকাংখাও বাড়তে থাকে, কোন দিন দেখবে সন্তানের মুখ। অন্য দিকে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনাও করতে থাকলেন হে প্রভু! তুমি আমাকে একটি নেক সন্তান দান কর।
এদিকে তার স্ত্রীর নির্দিষ্ট সময়ও ঘনিয়ে আসল। একরাত্রে তার স্ত্রী প্রসব বেদনায় অস্থির হয়ে পড়লেন। কিন্তু মনে ছিল তার অপার আনন্দ। সে যাই হোক কিছুক্ষণ পরে বুরহান উদ্দিনের অন্ধকার ঘরকে আলোকিত করে এক নবজাত পুত্রসন্তান পদার্পণ করল । তাদের উভয়ের মনে আনন্দের সীমা রইল না। সকলকে তিনি মিষ্টি মুখ করালেন। যারা তাঁকে কটুক্তি করেছিল তাদেরকেও ডেকে সে আপ্যায়ন করলেন।
বাচ্চারা চতুর্দশ দিবসে তাঁর অঙ্গীকার পালনের জন্য তাঁর নিজের পালিত মোটা তাজা গরুটিই আল্লাহর নামে কোরবানী করে দিলেন। সমস্ত গোস্ত গরীব মিসকিনদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন। শুধু তাই নয় গরীব মিসকিনদের জন্যে এক প্রীতি ভোজেরও আয়োজন করেছিলেন। খুব আনন্দের সাথাই কুরবানীর কাজ সমাধা করেছিলেন।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া