হযরত শাহজালাল (রঃ ) – পর্ব ৮
হযরত শাহজালাল (রঃ ) – পর্ব ৭ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ইহা দেখে নিজামউদ্দিন বুঝতে পারলেন শাহজালালের ব্যাপারে। এবং তাঁর পায়ে পড়ে কান্না শুরু করে দিলেন ও তাঁর কাছে ক্ষমা চাইলেন। দয়াদ্র চিত্তের মহামানব হযরত শাহাজালাল (রঃ) তাঁকে ক্ষমা করে দিলেন। এবারে হযরত নিজামউদ্দিন আওলিয়া হযরত শাহাজালাল (রঃ) কে চিনতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত হলেন এবং পরের দিন ওখান থেকে বাংলাদেশের দিকে রওয়ানা হলেন। তখন নিজামউদ্দিন আওলিয়া তাঁকে ধূসর বর্ণের এক জোড়া কবুতর উপহার দিলেন।
সিলেট যে হাজার হাজার জালালী কবুতর দেখা যায়, ইহাদের আদি কবুতর সেই উপহার দেওয়া কবুতর দুটি। এখনও সিলেটের দরগাহ শরীফে অসংখ্য কবুতর দেখা যায়। শুধু সিলেটে নয় সারা বাংলাদেশে এই কবুতর দুটির বংশধর বিস্তার লাভ করেছে। বাঙ্গালী মানুষ তাঁকে এমন ভাবে শদ্ধা ভক্তি করে যেটা তাঁর কবুতরের মধ্যেও কিছুটা বিদ্যামান রয়েছে। এমনকি এই কবুতরের মাধ্যমে অনেকে ভাগ্য নির্ধারণ করে থাকেন। যেমন কোন বাড়ীতে বা ঘরে এই জালালী কবুতর এসে বাসা বাধলে মঙ্গলের নিদর্শন হিসাবে ধরে নেয়।
পক্ষান্তরে কোন বাড়ী বসবাসকারী জালালী কবুতর যদি বাড়ী থেকে অন্যত্র চলে যায়, আর ফিরে না আসে, তাহলে সেটা অমঙ্গল হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। বাংলাদেশের কোন সম্প্রদায়ের লোকই এই কবুতরের গোস্ত ভক্ষণ করে না। এ কবুতর নামও হযরত শাহাজালাল (রঃ) – এ নামানুসারে নাম রাখা হয় জালালী কবুতর। এদিকে হযরত শাহাজালাল (রঃ) সকল স্থানেই তাঁর মামার দেওয়া মাটি সহচর বৃন্দের দ্বারা পরীক্ষা করালেন কিন্তু এখন পর্যন্ত মিলাতেই পারলেন না। তাঁর তাঁর অগ্র যাত্রাও রুদ্ধ হল না। তাই তিই সামনের দিকেই অগ্রসর হলেন। এবারে তিনি বাংলাদেশের দিকে মনোনিবেশ করেন এবং এই দেশেই তিনি চলে আসেন।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া