দি নিউ আরোগ্য নিকেতন

(যুক্তি দিয়ে বিচার করবেন না। এটি একটি হাসির গল্প মাত্র)
(একসময় হাতখুলিয়া হাসির গল্প লিখিতাম, ছুটকি, রম্যছড়া, গল্প, অনুকাব্য, প্রহসন আরো কতকি? সেইখান থেকে আপনাদিগের জন্য লেখাটা খুজিয়া বাহির করিয়া পোস্টাইলাম। হাসিলে নিজ দায়িত্বে হাসিবেন, আর হাসি না আসিলে মনে করিবেন পুরোটাই আমার কারসাজি।)

পুরোনো জরাজ্বীর্ণ মরচে পড়া সাইনবোর্ড। তাতে লেখা আরোগ্য নিকেতন- কবিরাজ কুদরাত ইল্যাহ ওরফে ছিপিধর। ব্রাকেটে লেখা আছে জ্বীনতত্ত্ব বিশ্লেষণ পূর্বক ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয়। মিষ্টার ছিপিধর এর খ্যাতি সাত গ্রাম জুড়ে। তিনি জ্বীনের হাজিরা দেখেন, জ্বীন আসরে বসে, রোগের বিবরণ শোনেন, সে মোতাবেক ঔষধ দেন এবং তা তৈরী করে ডাক্তার মহোদয় রোগীদের সেবন করতে দেন। এভাবে চলছে কুদরত উল্যাহর কুদরতি খেদমত। এই করে তিনি দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছেন এবং গত মাসে এক নাতির সুন্নাতে খাতনায় দুধেল গাইও উপহার দিয়েছেন। ছোট জামাইকে একটা বাইসাইকেল ও রঙিণ টিভি যৌতুক দিয়েছেন।
(পরবর্তী অংশ সাধু বাষায়)

মিসেস হুরমতি বেগম থাকে ঢাকা শহরে। তাহার সর্বঅঙ্গে ব্যথা। মাথায় ব্যথা-মাথার চুলে ব্যথা, পেটে ব্যথা-পেটের চামড়ায় ব্যথা, বুকে ব্যথা- বুকের পাঁজরে ব্যথা, , কোমরে ব্যথা, কোমরের হাড়ে ব্যথা, পায়ে ব্যথা- পায়ের তালুতে ব্যথা, হাতে ব্যথা- হাতের কনুতে ব্যথা মোট কথা ব্যথা আর ব্যথা। তাহার মনেও দারুন ব্যথা। গত সালে তাহার একমাত্র জানের হান সোয়ামী জলিল উদ্দিন ভরসা তাহার সকল আশা ভরসা জলাঞ্জলী দিয়ে পরপারে ভেলা ভাসিয়েছেন। তিনি এখন একা। বড়ই একা। তার উপর তাহার দশাশই আকারের শরীর খানা নিয়া বড়ই বেকায়দা হইয়া থাকে। বাসে উঠিতে পারেন না, টেক্সিতে বসিতে পারেন না, রিকসায় চড়িতে পারেন না, কারে ঢুকিতে পারেন না। বাস তাকে দেখিলে চলিয়া যায়, রিক্সা ভাঙ্গিংয়া যায়, টেক্সি থামিয়া, কারের ড্রাইভার নামিয়া যায়, ঘোড়ার গাড়িতে উঠিলে ঘোড়া লুটিয়া যায়, গরুর গাড়িতে উঠিলে গরু পড়িয়া যায়, গাধায় চড়িলে গাধা মরিয়া যায়, হাতিতে ছড়িলে হাতি শুইয়া যায়। কিন্তু হুরমতি বানুর ধারণা তিনি দিনে দিনে বড্ড হুকাইয়া যাইতেছেন। এইমতে প্রতিদিন তিনি আফগান আাব্দুর রহমান কাবুলির চাইতেও তিনগুúন খানা পিনা বাড়াইয়া দিতেছেন। তাহার বদ্ধমূল ধারণা যে, তিনি ভয়ানক অপুষ্টিতে ভুগিতেছেন। নিন্দুকেরা অবশ্য অন্য কথা বলিয়া তাকে। লোকে এই বলিয়া বেড়ায় যে, মিসেস হুরমতি বেগম এমনভাবে খাওয়া ধাওয়া করিতেন যে তাহার স্বীমী একরকম খাইতে না পাইয়া অবশেষে পটল তুলিলেন।
কি জানি বাবা, লোকের কথায় কান দিয়া লাভ নাই। তবে হয়তো সত্যি সত্যি তিনি অপুষ্টিতে ভুগিতেছিলেন। তা না হইলে ঢাকা শহরের নামকরা ডাক্তার বৃন্দ কেন তাহার চিকিৎসায় ফেল মারিবেন?

যাহাই হোক। অবশেষে এক বাল্য বান্ধবীর পরামর্শে হাওয়া বদলাইবার জন্যে বোতলপুর গ্রামে আগমন করিলেন। কিন্তু বোতলপুর গ্রামের বোতল ভরা পথ্য সেবন করিবার কোন ইচ্চাই তাহার ছিলনা। কিন্তু যখনি তিনি কুদরত উল্যাহ ছিপিধর এর সাইনবোর্ডে জ্বীনতত্বের কথা পাঠ করিলেন। তখনি তিনি মনে মনে অত্যধিক তুষ্ট হইলেন। মনে মনে ভাবিলেন বা” আজকাল আজ পাঁড়া গ্রাম তো বেশ আগাইয়া গিয়াছে’’ তিনি ধারনা করিলেন ‘‘ইদানিং মানুষের জ্বীন কোড নিয়া যে হইচই হইতেছে, জ্বীনতত্বের যে কথা শোনা যাইতেছে তাহা বড়ই মজার শুভসংবাদ। একজন মানুষের জ্বীন রিপোর্ট দেখিয়াই তাহার শারীরিক অবস্থার ভূত-ভবিষ্যৎ বলা যাইবে। এ বড় বেহেতেরীণ আবিষ্কার।’’
জেনেটিক ব্যাপারে তাহার আগ্রহের কোন কমতি ছিল না। তাই উক্ত ডাক্তার মশাইয়ের স্মরণাপন্ন হইবেন বলিয়া মনস্থির করিলেন। মনে মনে এই অনুতাপ জাগিল যে, তাহার স্বামীকে যদি এমন একজন ডাক্তার দেখানো যাইতো তাহা হইলে হয়তো তিনি এখনো দিবাকরের আলোতে বিদ্যমান থাকিতেন।

একবুক আশা নিয়া তিনি ডাক্তার কুদরত উল্যাহর গুহায় পদধুলি দিলেন। তাহাকে দর্শন পূর্বক কুদরত উল্যাহর কম্পাউন্ডার মিয়া মোহাম্মদ হেকমত আলী জোয়ার্দার এর একেবারে দাঁত কপাটি লাগিয়া গেল। হেকমতের শরীর খানাকে একটি সুপারি গাছ বলিলে অত্যুক্তি হইবে না। তাহার উপর মাথায় ঝাঁকড়া চুল, চুলের উপর একটি বিদেশী আধময়লা হ্যাট পরনে ছিপা প্যন্ট। পায়ে রুপসা চপ্পল। তাহার শক্তি এমন যে তিনি তাহার মনিবের ভাঙ্গা গালের পাকা দাঁতটিও তুলিতে পারেন না, টেকো মাথায় দুচারটি চুলের মধ্যে হইতে পাকা চুলটিও ছিড়তে পারেন না, পানির বদনাখানি আগাইতে হাপাইয়া মরেন, ওষধের ছিপি খুলিতে হার্টবিট বাড়িয়া যায়, হাটতে গেলে দৌড়ানোর শ্রম দিতে হয়, এমনতর দশা।
তাহার উপর সপ্তাহে তাহার হাতে দুচারটা ঔষধের মিশি ভাঙ্গিয়া যাওয়া তো কোন ব্যাপারই না। তবুও তাহার চাকরি যায় না। কারণ তাহাকে বিশেষ বেতন দিতে হযনা। তিন বেলা তিনমুঠো ভাত আর দুই ঈদে জামা-জুতো দিলেই চলিয়া যায়। সেও চাকরি ছাড়িবার কথা ভাবে না। তিনকুলে তাহার কেহ নাই। সত্তুর এর বন্যায় ডাক্তার মশাই তাহাকে কুড়াইয়া পাইয়াছিলেন। লোকের ধরনা এতদিনে সে ডাক্তর বাবুর মেয়ে জামাই হইবার আশায় ছিলো এখন নাকি নাতজামাই হইবার আশায় পড়িয়া আছে।

হেকমতকে নিয়া টানটানি শেষ হইলে হুরমতি বেগম তাহার মনোবাসনা এবং রোগের বিবরণ ব্যক্ত করিলেন। যৌবনে অনেক চেষ্টার পরও যে সন্তান লাভে ব্যর্থ হইলেন, তাহাও বলিলেন। ডাক্তর মশাই অতি মনোােগ দিয়া পরদেশী রুগিনীর বিবরণ শুনিলেন। অত:পর নিজের খ্যতির বিবরণ দিতে লাগিলেন। অন্য সময় হইলে হেকতম আলী মাঝে মধ্যে তাল ধরিত কিন্তু আজ হেকমতের জান নেই। অগত্য ডাক্তার মশাইকে নিজের গুনগান নিজেকেই গাইতে হইল। কত মাইল দূর হইতে তাহার কাছে লোক আসে? কতটাকা বখশিস দিয়া যায়, কতরোগী তাহার দ্বারা আরোগ্য হইয়াছেন ইত্যাদি এমনকি দুই তিনটা কেস স্টাডির বিবরণ দিতেও ভুলিলেন না।

এবার ডাক্তার ওরফে কবিরাজ ছিপিধর জ্বীনের হাজিরার হাদিয়া দাবি করিলেন। ইহাকে ডাক্তারের ফি মনে করিয়া রোগিনী বিশ টাকার বদলে পঞ্চাশ টাকা বাড়াইয়া দিলেন এবং অতি আগ্রহে কবিরাজের উপদেশ শুনিতে প্রবৃদ্ধ হইলেন। কবিরাজ হঠাৎ চুক্ষু মুদিয়া যোগাসনে বসিলেন এবং আবোল তাবোল মন্ত্র আওড়াইয়া বকিতেছিলেন। দাতমুখ দিয়া বিশেষ আজগুবি অঙ্গভঙ্গি করিতেছিলেন, কিসব শব্দও বাহির হইতেছিল তাহার মুখবিবর হইতে যারার অর্থ অজানা আর লেখ্য অসাধ্য। হুরমুতি বেগম এইসবের অগ্রপশ্চাৎ কিছুই বুঝিলেন না। রোগীনি হুংকার ছাড়িয়া কহিলেন, ‘‘এই সব কি হচ্ছে’’? সে হুংকাওে গাছের পাখি উড়িয়া যায়, কাছের বিড়াল পালিয়া যায়, দূরের কুকুর ঘেউ ঘেউ করিয়া ডাকিয়া উঠে। কম্পাউন্ডার হেকতম আলী জোয়ার্দার, জোয়ারে ভাসিয়া আসিয়াচে বলিয়া যাহার নাম জোয়ার দার হইয়াছিলো। গর্জন শুনিয়া তাহার মাঝে ভাটির টান আরম্ভ হইয় গেল।

যথেষ্ঠ দূরত্ব বজায় রাখিয়া সে তোতলাইতে তোতলাইতে যাহা কহিল তাহার অর্থ হইতেছে বাবু জ্বীন হাজির করিতেছেন। জ্বীন আসিলে আপনার সমস্যার বিশেষ বিবরণ জানা যাইবে।
হুরমতি বেগম শহরে বড় হইয়াছেন জ্বীন, ভূত, পরীতে তাহার বিশ^াস কষ্মিনকালেও ছিলনা, এখন ও নাই। এই ভীমরতি কান্ড দেখিয়া তিনি ডাক্তারের উপর চড়াও হইতে যাইতেছিলেন। তা দেখিয়া হেকমত কম্পাউন্ডার দিগিদ্বিক জ্ঞানশূন্য হইয় পড়িলেন।
এতক্ষন শ্রীমান হেকমত আলী মনে মনে ভাবিতেছিলেন, সে উক্ত মহিলার কাছ থেকে পানি পড়া লইবে যাতে করিয়া তাহার ভগ্ন স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। এক্ষনে মহিলার রুদ্রমুর্তি দেখিয়া তাহার দ্বিতীয়বার মুর্ছা যাইবার উপক্রম হইল। কিন্তু কবিরাজ সাহেবের চক্ষু তখনও বন্ধ। তিনি চক্ষু মুদিয়া আছেন। ততক্ষনে মহিলা ডাক্তারের কাঁধের উপর আসিয়া পড়িলেন। কম্পাউন্ডার ভাবিল আমার মনিব যদি না থাকে আমার কি গতি হইবে? তাহা ছাড়া আমি পুরুষ মানুষ, পুরুষ মানুষের ভয় কিসের? মনে মনে সাহস সঞ্চার করিয়া পরবাসী রোগিনীকে হেকমত করিয়া ধরিতে চেষ্টা হইল আরকি। তালপাতার সেপাই তাহাকে ধরিতে আসিতেছে দেখিয়া মহিলা রাগে কলাপাতার মত থর থর কাঁপিতে লাগিলেন এবং কবিরাজকে রাখিয়া হেকমতকে ধরিতে উদ্যত হইলেন। কিন্তু একে তো তাহার বিশালকার দেহ তাহার উপর খুপরী ঘর। আক্রমন কারিনী বিশেষ সুবধা করিতে পারিলেন না। তিনি চিৎ পটাং হইয়া পড়িয়া গেলেন।

বিকট শব্দ শুনিয়া আশপাশের লোকজন আসিলেন। কামারশালা থেকে আসিলো নেতাই কামার, মাঠ থেকে আসিল ইছমত ছাষী, পথ থেকে আসিল কানাই রাখাল, কুমোরবাড়ী থেকে আসিল গোবর্ধন পাল, দইয়ের ভার রাখিয়া আসিল, দই শামছু, সেলুনে কাস্টমারের মুখে সাবান মাখিয়া আসিল গোরা নাপিত। তাহারা দেখিতে পাইলেন রোগিনী তাহার বিশাল দেহ নিয়া পড়িয়া আছেন এবং কবিরাজ আর কম্পাউন্ডারকে এক নাগাড়ে বিরতিহীনভাবে বকিতেছেন এবং উঠিয়া আসিবার চেষ্টাও করিতেছেন। কিন্তু ছোট জায়গায় তাহার দেহ খানাকে ঘুরাইয়া কিছুতেই উঠাইতে পারিতেছেন না। রোগিনীর একখানা বিশাল হাত ডাক্তারের গায়ে পড়িয়া আছে। তিনি উহা সরানোর ব্যর্থ চেষ্টা করিতেছেন। কিন্তু আশে পাশে কোথায়ও কম্পাউন্ডার এর টিকিটি পর্যন্ত দেখা যাইলো না। বেটা যে পালাইয়াছে সেটা সব্যস্ত করিয়া লোকসকল অতিথি রোগিনী আর তাহাদের ভাতৃপ্রতীম কবিরাজ যিনি নিজেকে ডাক্তারও বলে থাকেন তাদেও তুলিতে ভাবান্তর করিলেন। যেহেতু দশাশই শরীরের নিচে কবিরাজ মশাইয়ের প্রাণবিয়োগের দশা সেইহেতু মহিলাকে আগে তোলার জন্য সকলে মনস্থিও করিল । ছয় জন লোক মহিলাকে তুলিতে চেষ্টা করিয়া পরে ক্ষান্ত দিলো। কোনোরকমে তাহার হাতখানি সরাইয়া কবিরাজ বাবুকে তোলা হইল কিন্তু তিনি এখন আর সোজা হইয়া দাড়াইতে পারেন না। তিনি কুজো হইয়া গিয়াছেন। তিনি যেন কিছুতেই মেরুদন্ড সোজা করিতে পারেন না। সকলে ভাবিত হইল , না জানি তাহাকে সারাজীবন কুজো হইয়া থাকিতে হয়। তাহলে লোকে কুজো কবিরাজ বলিবে বৈ কি?

তারপরই অতিথি নারায়ন বলিয়া অতিথি সেবা করার জন্য পাশের গ্রাম থেকে কানাই পালোয়ান, গাব্বার বলী, রস্তম সর্দার, মজিদ লাঠিয়ায় আসিল। তাহারা পাক্কা আধঘন্টা ঘামঝরা খাটুনি দিয়া মহিলাকে তুলিতে সমর্থ হইলেন।
উঠিবা মাত্র তিনি সবাইকে অবাক করিয়া দিয়েন। তাহার বিমাল মুখে হাঁসি ফুটিয়া উঠিল। সকলে সবিষ্ময়ে তাহা লক্ষ্য করিল। তিনি সহাস্যে জানাইলেন তাহার শরীরে এখন আর কোন ব্যাথা নাই। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ্য বোধ করিতেছেন। এমনকি তাহার গিটবাত এবং কোমর ধরা পর্যন্ত সারিয়া গিয়াছে। তিনি ডাক্তরের প্রতি ক্ষোভের বদলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিলেন। কষ্টের মাঝেও ডাক্তার বাবুর ঠোঁটে চিকন একটা হাসি ফুটিয়া উঠিল। কিন্তু তিনি সোজা হইয়া উঠিতে চাহিয়া বরাবরের মতো ব্যর্থ হইলেন। সকলে ভাবিত হইল, না জানি তাহাকে সারাজীবন কুজো হইয়া থাকিতে হয়। তাহলে লোকে কুজো কবিরাজ বলিবে বৈ কি?

কিন্তু সুখ নাকি ক্ষণস্থায়ী হয়। এখানেও তাহাই হইল। সকলে আবিষ্কার করিলেন। ভদ্র মহিলার পিঠের নিচে চাপা পড়িয়াছিলো কম্পাউন্ডার হেকমত উল্যাহ জোয়ার্দার। পিষ্ট হইয়া একেবারে পুঁটি মাছের শুটকি হইয়া গেল। তাহার মুখে দিয়ে রক্ত ঝরিতেছে। সকলে তাহাকে ধরে টেবিলের উপর তুলিল। বলা বাহুল্য তাহাকে তুলিতে বিশেষ বেগ পাইতে হইলনা। কিন্তু ততক্ষণে তাহার প্রাণ পাখি চিরদিনের জন্য পরপারে চলিয়া গিয়াছে। যেইখানে গেলে মানুষ আর ফিরিয়া আসেনা। কবিরাজ বাবুর দীর্ঘদিনের সহযোগীর এমন করুন মৃত্যুর্তে বিয়োগ ব্যথাটা সকলের মাঝে বাজিয়া উঠিল। তিনি হানাদারী মহিলাকে পুলিশে সোর্পদ করিতে থানায় লোক পাঠাইয়া দিলেন। তৎক্ষনাত মহিলার মুখের হাসিটি দপ করিয়া নিভিয়া গেল যেমন করিয়া কালো মেঘের আড়ালে সূর্য লুকাইয়া যায়।

লোকে বলিল যাহোক হেকমতের যে বার মাসি ডাইরিয়া ছিল মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে তাহা হইতে সে আরোগ্য হইল।
বি:দ্র: আসামী গ্রেফতার হইল। মামলা আদালতে গড়াইলো। কিন্তু মহিলার ফাঁসির হুকম হইবার পরও তিনি খালাস পাইয়া গেলেন। কারণ ফাঁসিতে ঝোলানের পর তিনি ফাঁসির দড়ি ছিড়িয়া পড়িয়া গেলেন। প্রথমবার ব্যর্থ হওয়ার পর তাহাকে আবার কেউ দড়িতে ঝুলাইতে সাহস করিলেন না। তিনি আপন আলয়ো প্রত্যাগমন করিলেন।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!