হযরত আহমদ হারব (রঃ) – পর্ব ৩
হযরত আহমদ হারব (রঃ) – পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বণিকের কথা শুনে আহমদ হারব (রঃ) খুব খুশী হলেন। তিনি তাঁর সঙ্গীদের বললেন, তাঁর কথাবার্তায় বন্ধুদের কিছু আভাস পাওয়া গেল। অতঃপর তিনি প্রতিবেশীকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি আগুনের পূজা করছেন কেন? তিনি বললেন পরকালে আগুনের শান্তি থেকে রেহাই পাব বলে। তাছাড়া আল্লাহ খুশী হবেন, তার জন্যও বটে। হযরত বললেন, আপনি কী বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন তা একটু ভেবে দেখেছেন কি? আগুনের এমন কি শক্তি আছে? সামান্য একটি বালকও যদি তার ওপর পানি ঢেলে দেয়, তবে তার কোন চিহ্ন পাওয়া যাবে না। এমন দুর্বল ও অক্ষম বস্তু কি আপনার জন্য আল্লাহর খুশী আনাতে পারে? আপনি তো দীর্ঘ সত্তর বছর ধরে আগুনের
উপাসনা করে আসছেন। কোন উপকার লাভ করেছেন কি? যদি বলেন, আগুন আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল, তাহলে আসুন, আমরা দুজনেই আগুনের মধ্যে হাত রেখে দেখি, আপনার হাত সে পুড়িয়ে দেয় না অক্ষত রাখে।
আগুন কারো খাতির করে না। অগ্নি উপাসক তা ভালোভাবেই জানতেন। সুতরাং হযরতের কথায় তার মনে ভাবান্তর সৃষ্টি হয়। তিনি বললেন, আমি আপনার কাছে চারটি বিষয় জানতে চাই। যদি তা জানতে এবং বুঝতে পারি তাহলে তৎক্ষণাৎ আগুনের উপাসনা বর্জন করে আপনাদের ধর্ম গ্রহণ করব। বিষয়গুলো-
(১) আল্লাহ মাখলুক কেন সৃষ্টি করলেন?
(২) তাদের রিজিক দিচ্ছেন কেন?
(৩) মৃত্যুর পর জীবিতই বা কেন করবেন?
হযরত হারব (রঃ) তাঁর প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিলেন। যেমন-
(১) আল্লাহ মাখলুক সৃষ্টি করেছেন তারা তাদের স্রষ্টাকে চিনবে বলে।
(২) রিজিক দেওয়ার কারণ হল, প্রতিপালকের দয়া-মায়া ও ক্ষমতার সন্তানদের পরিচয় করিয় দেওয়া।
(৩) মৃত্যু দেওয়ার উদ্দেশ্য হল আল্লাহর অসীম শক্তি ও কঠোরতর লক্ষণ প্রচার করা।
(৪) পুনর্জীবিত করার উদ্দেশ্য, আল্লাহ যে অদ্বিতীয় ন্যায়নিষ্ঠার অধিকারী তা বাস্তবে প্রমাণিত করা।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া