হাতি, সিংহও ভয়ে কাতর

সিংহ কেবলই প্রমিথিউসের দোষ ধরে যাচ্ছিল। প্রমিথিউস তাকে দিব্যি বড়সড় আর সুন্দর করে গড়েছেন এ কথা ঠিক, ধারাল জোরাল দাঁত নখ দিয়ে অন্যান্য জীবের চেয়ে বেশি শক্তিশালী করেছেন এটাও ঠিক। কিন্তু এসব হলে হবে কি মোরগ দেখলেই যে তার দারুণ ভয় করে। প্রমিথিউস তার কথা শুনে বললেন, মিছিমিছি তুমি আমায় দোষারপ করছ, আমার সাধ্যমত তোমায় আমি বড় করে সুন্দর করে বলশালী করে গড়েছি, এতেও যদি তোমার কাউকে দেখে ভয় হয় সে তোমার মনের দোষ, আমার নয়। প্রমিথিউসের এই কথা শুনে সিংহের মনে হল সত্যিই ত, দোষ ত আমারই, আমি ভিরু, কাপুরুষ।

আর কাপুরুষ হয়ে বেঁচে থাকারও কোন মানে হয় না, আমার মরণই ভাল। সিংহের মনের যখন এই অবস্থা তখন হঠাৎ পথে এক হাতির সঙ্গে তার দেখা হল। হাতিকে নমষ্কার করে তার সঙ্গে দুটো কথা বলতে সে দাঁড়িয়েছে এমন সময় হাতি তার কুলোর মত কান দুটো নাড়ছে আর নাড়ছে, কেবলি নাড়ছে, একটুও থামা নেই। এ কি–তুমি অনবরত এমনি করে কান নাড়ছ কেন–কান নাড়া একটু থাতে পার না?– হাতিকে এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সে দেখল– একা মাছি হাতির মাথার কাছে কেবলি ভনভন করে উড়ছে। হাতি সিংহের কথার উত্তরে বলল, দেখছ না কে ভনভন করছে আমার মাথার কাছে, ও যদি একবার আমার কানের ভেতরে ঢোকে–তা হলেই আমি গেছি। আমার হয়ে গেল। এই কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সিংহের মনটা একেবারে হালকা হয়ে গেল: এত বড় একটা জাঁদরেল জীব হাতি, তাকেও যদি একটুকু একটা মাছির ভয়ে অস্থির হতে হয়, তা হলে মোরগ দেখে আমার বয় পাওয়া এমন দোষের কি? উপদেশ: অনেক ব্যপারে বড়দেরও ছোটদেরও ভয় করবার আছে। বৃহৎ জীবেরও ক্ষুদ্র ভীতি থাকে।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!