হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ৭
হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ৬ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
দিল্লীর প্রতিকূল অবস্থাঃ ইতিহাস বেত্তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে জানা যায়, যে দিল্লীর রাজা ছিলেন তখন পৃথ্বিরাজ। তারাইনের প্রথম যুদ্ধে তিনি বিপ্লবী বীর মুহাম্মদ ঘুরীর মত বাহাদুরকেও পরাজিত করেছিলেন। মুহাম্মদ ঘরীর এই আক্রমণ সমস্ত হিন্দু দিগকে মুসলিম বিদ্বেষী করে তুলছিল। হিন্দুগণ মুসলিমদিগকে নীচ জাত ও ম্লেচ্ছ বলে ধরনা করত এবং তাদের কথা শুনলে চটে যেত। এহেন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে রুহানী জগতের খাঁটি প্রজ্ঞাদাতা আলেম কুলের শিরমণি মর্দ্দে মুজাহিদ খাজা সাহেব লৌহবর্ম শপথ নিয়ে আল্লাহ্র উপর ভরসা করে সর্বস্তরের মানুষকে সোনালী ইসলামের নির্মল আদর্শের দিকে আহ্বান দিতে লাগলেন।
সত্যি খাজা সাহেবের সুমিষ্টি ভাষণ শুনার জন্য দেশ বিদেশ হতে মানুষ তার দরবারে আসত। মহান করুণাময় আঁধার আল্লাহ্ জাল্লা শানুর অসীম কৃপায় খাজা সাহেবের সুমিষ্ট ভাষণ ও আন্তরিক রুহানিয়াতের প্রভাবে ক্রমে ক্রমে লোকেরা সত্যের দিকে ঝুকে পড়ল। তার অলৌকিক ক্ষমতা দর্শনে ও জোরালো যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য শ্রবণে বহু গোড়া হিন্দু তাকে শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখতে লাগলেন। প্রিয় পাঠক-পাঠিকাগণ উক্ত আলোচনা থেকেই অনুধাবন করতে পারেন যে সত্যের সৈনিক হযরত খাজা সাহেব কত উচ্চ পর্যায়ের লোক ছিলেন। একথা দিবালোকের ন্যায় সমুজ্জল যে হযরত খাজা মঈনুদ্দীন সাধক কুলের শিরোমণি ছিলেন। ইতিহাসের পাতা খুললে দেখা যায়, ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বস্তরের মানুষের কিট তিনি একজন সর্বজন মান্য ও শ্রদ্ধাভাজন তাপস ব্যক্তি ছিলেন। সত্যি কথা বলতে হয় ইসলামের প্রচারে তার অবদান ছিল অনন্য।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া
হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ৮ পড়তে এখানে ক্লিক করুন