হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ৬
হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ৫ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
খাজা ওসমান হারুনী (রঃ) নিকট বায়েত গ্রহনঃ
ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তৎকালে নিশাপুরের অধিবাসী খাজা ওসমানহারূনী ছিলেন সুফী জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। আলেম কুলের শিরোমণি যুগবরেণ্য তাপস। ইসলামী রেনেসাঁর অগ্রনায়ক। হযরত খাজা মঈনুদ্দীন (রঃ) আধ্যাত্মিক জগতের শেষ প্রান্তে পৌছার মানষে দেশ বিদেশে যোগ্য মাশায়েক খুজতেছিলেন। যাই হোক অনেক খোঁজাখুঁজির পর শেষ পর্যন্ত যোগ্য মাশায়েক খাজা ওসমান হারূনী (রঃ) কে পেয়ে অবশেষে তার নিকট মুরীদ হয়ে আধ্যাত্মিক জগতের পথকে সুগম করলেন এবং নিজেকে ধন্য করলেন। ইতিহাস বেত্তারা বলেন, রূহানী জগতের খাঁটি প্রজ্ঞাদাতা হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ) আড়াই বছরকাল পীরের খেতমতে ছিলেন। কঠোর ইবাদত, রিয়াজাতও মোরাকাবা মোশাহিদার মাধ্যমে তিনি বাতেনী কামালিয়াত অর্জন করে সফর শুরু করলেন। ইতিহাস বেত্তারা বলেন, প্রথমে তিনি মক্কা শরীফে উপস্থিত হয়ে তিনি হজ্জব্রত পালন করলেন। এর পর মদিনা শরীফে নিখিল বিশ্বের ত্রাণকর্তা সুপারিশের কান্ডারী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর পবিত্র রওজা মোবারক যিয়ারত করবার সময় শুনতে পাইলেন, নবীয়ে দোজাহান হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-তাকে বলতেছেন, তোমাকে আমি হিন্দুস্থানের বেলায়েত অর্জন করতেছি।
তুমি সেখানে যেয়ে সোনালী ইসলামের নির্মল আদর্শের কথা মানুষের মাঝে প্রচার কর। সত্য কথা বলতে কি, সত্যের সৈনিক হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ) যখন এই দেশে আগমন করলেন, তখন হিন্দুস্থানের প্রায় সর্বত্রই মুর্তি পূজার প্রচলন ছিল। সত্যি কথা বলতে হয় সিন্ধু বিজয়ের ফলে এই দেশে মুসলিম সভ্যতা যতটুকু প্রসার লাভ করেছিল, কালের প্রভাবে তাও বিলিন হয়ে গিয়েছিল। খোদাদ্রোহীদের প্রতারণার জালে আবদ্ধ হয়ে এই দেশবাসী কল্পি দেব দেবীর পূজার নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন। তাদের শোচনীয় পরিণামের কথা স্মরণ করে রুহানী জগতের খাঁটি প্রজ্ঞাদাতা মঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ) ভ্রান্ত মানবদিগকে সত্যিকার খোদার দিকে ফিরায়ে আনার জন্য আত্ম নিয়োগ করলেন।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া
হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ৭ পড়তে এখানে ক্লিক করুন