এক যে আছে নীলপরী—- রমজান আলী মামুন

সূর্যটা একটু একটু করে তেঁতে উঠতেই মা মণিটা ঘুমাতে যাবার জন্যে পাপিয়াকে ডাক দেয়। পাপিয়া তিন তলার সিঁড়ির ধাপে বসে জ্যাঠাতো ভাই রনিকে নিয়ে খেলছিলো। আম্মুর ডাক শুনে ছুটে আসে ঘরে। দেখে মা বদ্ধ ঘরে ঘুমের আয়োজন করছে। অমনি পাপিয়া কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। এই গরমে আমি ঘুমাবো না। আমি বাইরে সাপ-লুডু খেলবো। মা তখন বেত নিয়ে ছোট্ট পাপিয়াকে দু’চারটি বাড়ি মেরে জোর করে শুইয়ে দেয়। পাপিয়া তখন গলাটা সপ্তমে চড়িয়ে কাঁদতে থাকে। এক সময়ে কান্নার স্বরটা মিলিয়ে যেতেই পাপিয়া দেখে তার চুলে আলতো হাত রেখে কে যেনো বিলি কেটে দিচ্ছে। চকিত মুখ ফেরাতেই চমকে উঠে পাপিয়া। দেখে আম্মু তখোন অঘোরে ঘুমাচ্ছে। তবে তাকে আদর করলো কে!
চারিদিকে ভালো করে দেখলো সে, দেখে কোথাও কেউ নেই। এবার সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে গেলো পাপিয়া। ভয়ে তার মুখ থেকে কোনো শব্দই বেরুচ্ছে না। সাহস করে চিৎকার দিতে যাবে, অমনি খোলা জানালার পাশে কে যেনো ফিক করে হেসে উঠলো। সে দিকে দৃষ্টি যেতেই ভয়ে আর বিস্ময়ে চোখ জোড়া যেনো কপালে উঠলো পাপিয়ার। একেবারে দিবা মাম্মির মতো ফুটফুটে এক সুন্দর মেয়ে তার দিকে তাকিয়ে কেবল হেসেই চলেছে।
বড় ফুপির ছেলে সোহেল ভাইয়ার মেয়ে দিবা মাম্মি। পড়ে ক্লাস থ্রীতে। সব সময় ফিটফাট থাকে। আবৃত্তি, গান, অভিনয়েও কম যায় না। এইতো সেদিন মার্কস অলরাউন্ডে পদক পেয়ে রীতিমত সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। ভারী মিষ্টি মেয়ে। কথা বলে টেনে টেনে শুদ্ধ বাংলায়। তার সাথে পাপিয়ার প্রায়শঃই খুনসুটি লেগেই থকে। একবার আড়ি দিলে সপ্তাহ পনের দিন মুখ চাওয়া চাওয়ি বন্ধ। কিন্তু এই মেয়েটিকে দেখতে দিবা মাম্মির মতো অবিকল মনে হলেও মনে হচ্ছে এ যেনো স্বর্গ থেকে আসা ডানাওয়ালা এক নীলপরী। ডানাওয়ালা পরী পার্থক্য শুধু এই, দিবা মাম্মির ডানা নেই। হাসিটা থামিয়ে অচেনা সেই মেয়েটিই বলে কী না, তুমি ঠিক ধরেছো আমি এক পিচ্চি পরী। তবে স্বর্গ থেকে নয়, আমি এসেছি আকাশ ফুঁড়ে। ‘আকাশপরী আকাশ থেকে এসে/বললো হেসে কে নেবে ভাই আদর ভালবেসে’ ।
এবার পাপিয়া সাহস সঞ্চয় করে বলে, তুমি আকাশ থেকে এসেছো কেনো? উত্তরে পিচ্চি পরীটা বলে, আমিও যে তোমার মতো অবাধ্য। বাবা-ময়ের কথা শুনিনা। তাদের শাসন মানি না। ফাঁক পেলেই এখানে-সেখানে ছুটে বেড়াই। ঠিক যেনো মুক্ত পাখির মতো, বন্দী জীবন আমার এক্কেবারে ভাল্লাগেনা। এই যেমন তুমি ঘর থেকে বের হবার জন্যে ছটফট করছো? দেখে আমার খুব মায়া হলো। তাই পৃথিবীতে নেমে এলাম। তোমাকে মুক্ত করে নিয়ে যাবো বলে।
নীল পরীর কথা শুনে এবার পাপিয়ার মুখ থেকে কোনো শব্দ বেরোয় না। অভিভূত পাপিয়া মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। মৃদু স্বরে বলে মা মনিটা টের পেলে? তখন নীলপরীটা পাপিয়াকে অভয় দিয়ে বলে, তোমার আম্মু যা না ঘুম কাতুরে এক্ষুণি উঠলে তো। পাপ্পু সোনা তাড়াতাড়ি এসো। আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরো। আমি তোমাকে পাখায় ভর করে নিয়ে যাবো। পাপিয়া তক্ষুণি জানালা দিয়ে বের হয়ে পেছন থেকে নীল পরীটির গলা জড়িয়ে ধরে। পিচ্চি নীলপরীটি তখন ডানা মেলে শোঁ-শোঁ করে পাপিয়াকে নিয়ে আকাশের দিকে ছুটে চলে।
‘নীল পরীটির ডানায় দিয়ে ভর/পাপ্পু সোনা হলো দেশান্তর/ আকাশ পথে চমকে ওঠে সেই/দেখলো কাছে ঘর-বাড়ি তার নেই’।
এই ভর দুপুরে, ধবধবে আকাশ থেকে যেনো, সূর্যের কিরণ ঠিকরে পড়ছে। অথচ তাতে কোন তেজ নেই, আছে শুধু স্নিগ্ধ-কোমল অনুভূতি। পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘগুলো ছুটে বেড়াচ্ছে। পাপিয়ার মনে হয় এই দুষ্টু মেঘগুলো এক্ষুণি তাকে ছোঁ মেরে ভিন দেশে নিয়ে যাবে। ভয়ে জড়সড় পাপিয়ার একেবারে নিঃশ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম। নীলপরীটি তখন বললো, কী-হে বন্ধু, ভয় পাচ্ছো কেনো? তুমি না খুব সাহসী মেয়ে। এবার পাপিয়ার মুখ ফসকে বেরিয়ে গেলো, তুমি কেমন করে জানলে গো? পিচিচ নীলপরীটি তখন বলে, তুমি যে একা একা ছাদের উপর উঠে রোদ মাথায় নিয়ে খেলো, আমি বুঝি দেখি না! সিঁড়ির নিচে বসে গুন গুন করে গান গাও, আমি বুঝি শুনি না। এবার পরীটি একটু থেমে আবার বলে, কিন্তু বন্ধু, তোমার একটা বিষয় আমার ভাল্লাগেনা। পাপিয়া তখন উৎকণ্ঠার মধ্যে জানতে চায় কোন বিষয়? বন্ধু নীলপরীটি তখন বলে, তোমার লেখাপড়া ফাঁকি দেয়ার বিষয়টা। পিচ্চি পরীটার কথায় পাপিয়া চুপসে যায়। নীলপরীটি তখন পাপিয়াকে কাতুকুতু দিয়ে বলে মনটা খারাপ হয়ে গেলো বুঝি? দেখো তোমার দিবা মাম্মি কিন্তু পড়ালেখায় কোন ফাঁকি দেয় না। সে জন্য খুব ভালো রেজাল্ট করে। আর যারা ভালো রেজাল্ট করে তাদের সবাই ভালোবাসে। অন্য চোখে দেখে। পাপিয়া তখন জানতে চায়, আর আমাকে কোন চোখে দেখবে? নীল পরীটি তখন উত্তর দেয়, দুষ্টু চোখে। চটজলদি পাপিয়া বলে, তুমিও দুষ্টু চোখে দেখছ বুঝি? পিচিচ পরীটি তখন জবাব দেয়, দুষ্টু চোখে নয়গো বন্ধু, তোমাকে আমি দেখেছি ভালোবাসার চোখে।
মেঘের পাহাড় ডিঙিয়ে নীলপরী পাপিয়াকে নিয়ে এগিয়ে যায়। এক সময় সূর্য মামা পশ্চিমে হেলে পড়ে। তার বদলে কাশফুলের মতো একটি রূপোর থালার চাঁদ রাতের আকাশে উঁকি দেয়। পাপিয়া জানতে চায়-আমরা কোথায় যাচ্ছি বন্ধু? নীলপরীটি বলে, কেনো আমাদের দেশে। তোমরা যাকে পরীস্থান বা রূপকথার দেশ বলো। সাত সমুদ্র-তের নদী পাড়ি দিয়ে তোমাকে সেখানেই নিয়ে যাচ্ছি। নীল পরীর কথায় পাপিয়া চুপ হয়ে যায়। আনন্দের আতিশয্যে অভিভূত পাপিয়া আবারো বলে, সত্যি বন্ধু নিয়ে যাচ্ছো-আমাকে? পিচিচ পরীটি তখন পাপিয়ার মাথায় মৃদু টোকা দিয়ে বলে, পরীরা কখনো মিথ্যে বলে না। কিন্তু বন্ধু আমি তো ভুল পথে চলে এসেছি। এবার উল্টো পথে উড়তে হবে। আকাশে মিটি মিটি তারা জ্বলছে। সে দিকে তাকিয়ে নীলপরীটি ছড়া কাটে:
‘তারাবাতি-তারাবাতি/করো কেনো মাতামাতি
দেখিয়ে দাও না পথ/ তুমি কি স্বপ্ন রথ’।
আকাশ নীলে তারাদের মিছিল পেরিয়ে আকাশপরী অবশেষে যখন গন্তব্যে পৌঁছে তখন জোছনালোকিত রাত। চারিদিক থেকে নানা রকম ফুলের সুবাস ভেসে আসে। গালিচা বিছানো মসৃণ পথে নেমে আকাশপরী বললো, আমাদের পরীস্থান। পিঠ থেকে নেমে এসো বন্ধু। গর্বিত পাপিয়া অমনি টুক করে নেমে পড়লো। মখমল লাল গালিচায় পা রাখতেই দু’পাশে দাঁড়ানো শতো শতো সাদা পোশাকের পরী পাখা নেড়ে ফুল ছিটিয়ে স্বাগতম বলে তাকে বরণ করে নিলো। সবশেষে বাহারী রঙের পোশাক পরা নাদুশ-নুদুশ এক পরী পাপিয়ার হাত ধরে শ্বেত পাথরের তৈরি একটি সুন্দর মহলের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় তাকে। ভেতরে ঢুকেই পাপিয়ার আক্কেল গুডুম। কোথায় এলো সে! এ যেনো মাটি থেকে স্বর্গে উঠে আসা। চারিদিকে ঝলমলে ঝাড়বাতি আলোর দ্যুতি ছড়াচ্ছে। সেই সাথে মোহনীয় সুগন্ধে মাতাল হওয়ার অবস্থা। সিংহাসনে বসে আছেন রাণী মা। দু’দিক থেকে তাকে পাখা নেড়ে বাতাস করছে দু’জন সবুজ পরী। অদূরে দু’জন লাল পরী বড় বড় কাঁচের প্লেটে ফলফলারী আর গ্লাস ভর্তি উপাদেয় শরবত নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রাণী মা একটু নড়ে-চড়ে বসে মোলায়েম কণ্ঠে বললেন, কই-পৃথিবীর বন্ধু? তোমরা তাকে আমার সামনে নিয়ে এসো। ধক্ করে উঠলো পাপিয়ার কচি বুকটা। পরী রাণী কি তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্যে ডাকছেন? বন্ধু নীল পরীটি তখন তাকে অভয় দিয়ে রাণী মা’র কাছে যেতে ইশারা করলো। পাপিয়া ধীরে ধীরে পরী রাণীর কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। রাণী মা পাপিয়াকে আলতো হাতে ছুঁয়ে তাঁর পাশে বসিয়ে দিলো। অমনি পাপিয়ার সব ভয় সব ডর নিমিষেই উধাও হয়ে গেলো। পরী রাণী বললো, কী-হে দুষ্টু বন্ধু, মা-বাবাকে ছেড়ে আসতে বুঝি কষ্ট হলো না। পাপিয়া মায়ের বিরুদ্ধে একটি নালিশ জানাতে যাবে, অমনি তাকে থামিয়ে দিয়ে পরী রাণী বললো, জানি বন্ধু জানি, তুমি বলবে মা তোমাকে সব সময় বদ্ধ ঘরে আগলে রাখতে চায়। পাপিয়া মাথা দুলিয়ে সায় দিলো, ঠিক তাই। পরী রাণী তখন স্বগতোক্তি করে বললো, আর যখন বৃষ্টিতে ভিজে-রোদে পুড়ে গায়ে জ্বর বাঁধিয়ে বসো তখন। তখন মা-বাবাই তো এগিয়ে আসেন। তাই প্রতিটি ছেলে-মেয়েকে মা-বাবার কথা শুনতে হয়। কারণ মা-বাবাই হলো তোমাদের আসল এবং অকৃত্রিম বন্ধু। পরীস্থানে এসেও সেই উপদেশ। পাপিয়ার মুখটা একেবারে আমসত্ব হয়ে যায়। তার গম্ভীর ভাব দেখে রাণী মা বললেন, ও-হে দুষ্টু বন্ধু, একদম চুপসে গেলে যে। নাও নাও এবার শরবত পান করো। রানী মা’র কথায় অমনি পাপিয়া ফিক্ করে হেসে ফেলে। নীল পরীদের ইশারা দিতেই তারা পাপিয়ার সামনে এসে ফলমূল এবং শরবত পরিবেশন করে। পাপিয়া তৃপ্তি সহকারে তা খেয়ে চলে। এরকম সুস্বাদু ফল সে আগে কখনো খায়নি। একটু পরে একজন পিচ্চি পরী নিয়ে এলো প্যাকেট ভর্তি নানা রকম বাহারী চকলেট। কাগজ খুলে মুখে পুরতেই তা যেনো হাওয়ায় মিশে যায়। পৃথিবীর চকলেটের সাথে এর কোনো তুলনা হয় না। ইস্-দিবা মাম্মির জন্যে যদি নেয়া যেতো। পাপিয়ার আফসোস দেখে পরী রাণী বললেন, তোমাকে পৃথিবীতে যাওয়ার সময় এক ঝুড়ি চকলেট দেয়া হবে। সাথে আরো কতো কি। এবার যাও তোমার বন্ধু নীলপরীর সাথে আমাদের পরীস্থানের সব জায়গা ঘুরেফিরে দেখে এসো। তার আগে এদিকে এসো তোমাকে সাজিয়ে দেই। পরীরাণী হাত তালি দিতেই পাপিয়া দেখে তার গায়ের জামা উজ্জ্বল ঝলমলে হয়ে গেলো। আর সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে লাল-নীল কত্তো আলো।
বন্ধু নীলপরীটি তখন পাপিয়াকে পিঠে তুলে সাঁই করে উড়াল দিলো। উড়তে উড়তে আকাশপরী বললো, আমাদের রাণী মাকে কেমন দেখলে বন্ধু? পাপিয়া চটজলদি উত্তর দিলো, খুব ভালো। তবে একটু কঠিনও বটে। এবার বলো, আমরা কোথায় যাচ্ছি বন্ধু? উত্তরে নীলপরীটি বললো, আমরা যাচ্ছি ‘বাগানবিলাসে’। সেখানে আমরা শুধু হেসে খেলে সময় কাটাই। একটু পরে বাগানবিলাসের ঝর্নার পাশে এসে থামলো নীলপরী। পাপিয়াও সাথে সাথে নেমে এলো।
ঝর্নার চারিদিকে পাখিদের ঝাঁক। অতিথি পাখির মতো সেই সব পাখিরা নির্ভয়ে খেয়ে দেয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। এক দল হরিণ পাপিয়ার নাকের ডগায় কুই-কুই শব্দ করে পাতা ছিড়ে খাচ্ছে। কোন লোভী শিকারীর দল তাদেরকে তাড়া করে ফিরছে না। দৃশ্যটা দেখে তার খুব ভালো লাগলো। একটু দূরে একটি লোহার খাঁচার মধ্যে বেঁধে রাখা হয়েছে এক বিরাটাকায় দৈত্যকে। সেদিকে দৃষ্টি যেতেই পাপিয়া ভয়ে কুঁকড়ে গেলো। নীলপরী তাকে অভয় দিয়ে বললো, এই হলো দৈত্যরাজ বীরভূম। পৃথিবীতে শুধু মানুষের ক্ষতি করতো। তাই আমাদের পরীরাণী তাকে যুদ্ধে পরাস্ত করে এখানে এনে বন্দী করে রেখেছে। পাপিয়া সাহস করে বলে ফেললো, তাহলে তো খুব ভালো হয়েছে।
বন্ধু নীলপরীর সাথে হাঁটতে হাঁটতে একটি নাগর দোলার সামনে এসে পড়লো পাপিয়া। দেখলো তার সমবয়সী অনেক পিচ্চি পরী এসে পাপিয়াকে ‘ওয়েলকাম’ জানালো। তারা পাপিয়ার হাত ধরে ‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী, সাথী মোদের ফুলপরী’ গানের সাথে সাথে ঠোঁট মেলালো। শূন্যে ডানা মেলে কিছুক্ষণ নাচলো।
হঠাৎ এক পিচ্চি পরীর হাত ফসকে পাপিয়া পড়ে গেলো। উ-মা বলে চিৎকার পাড়তেই দেখে খাটের পাশে সে পড়ে আছে। আর আম্মু তাকে কোলে তুলে নিচ্ছে। সামনের দরজা হাট করে খোলা। দক্ষিণ পাশের জানালা দিয়ে মাগরিবের আজান ভেসে আসছে। পাপিয়া জানালার দিকে ড্যাব ড্যাব চোখে তাকিয়ে আছে। আম্মু বললো, কী-রে পাপ্পু সোনা, স্বপ্ন দেখেছিস? তার মুখে কোনো রা নেই। পাপিয়া ভাবে, বন্ধু নীলপরীর পিঠে চড়ে পরীস্থানে যাওয়া এবং বাগানবিলাসে ঘুরে বেড়ানোর কথা বললে কেউ এখন তা বিশ্বাস করবে না। তবে বড় হয়ে একদিন সে কথা তাকে বলতেই হবে।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!