এক কুমিরের শখ হল তার ৭ কুমির বাচ্চাকে মেডিকেলে পড়াবে। তার জেলাতেই মেডিকেল কলেজ ছিলো, কিন্তু চান্স পাওয়া কি এতো সহজ?না। তার পরে আবার শিয়াল পন্ডিতের কলেজ। রোগীর হিসেব নেই। যাই হোক অনেক কোচিং করে, অনেক টাকা গচ্চা দিয়ে তাদের মেডিকেলে চান্স পাওয়ানো হলো, তাতেও আবার আরেক সমস্যা। ৭ জন সাত মেডিকেলে। তাদেরকেও নানা মতলবে তার জেলার মেডিকেলে আনা হলো। যতই হোক নিজের কাছাকাছি থাকবে।
কিন্তু বাবা কুমির জানতো না যে, একজন বাদের তাদের কেউ মেডিকেলে পড়তে ইচ্ছুক ছিলো না। ফলে কিভাবে ক্লাস ফাকি দেওয়া যায়, সেই চিন্তা। ক্লাসে উপস্থিতি ফরম দেওয়া হত। তারা দেখলো যে, ক্লাসে না থাকলেও এই ফরমে নাম থাকলে কোন সমস্যা হয় না।তো সেই কাজ।
প্রথম দিন তারা একজন অনুপস্থিত থাকলো, দেখল যে কোন সমস্যা নেই। তো একে একে সবাই, যে ছেলেটা পড়তে চাইতো তার উপর ভার দিয়ে, ডেটিং এ টাইম কাটাতে থাকলো। বাকি ছেলেদের ও বিষয় টা খারাপ লাগলো না। তারাও সে একই কাজ করতে থাকলো, একদিন যা ঘটলো তা হল, ভাল ছেলেটা চিন্তা করলো, যাই আমিও একটা জুনিয়র মেয়েকে পড়িয়ে আসি।
তো শিয়াল পন্ডিত ক্লাসে এসে দেখে, যে কেউ নাই!!!!!! আগের ক্লাসেও তো সবাই ছিল।
ও ও ও। তাহলে সবাই অটো ছুটি নিয়ে গেছে, ভালোই। আজ একটু বেশি রোগী দেখা যাবে।
দুর্বচনঃ ছুটির রাজা অটো।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।