থানায় কবুল—- জিয়া হাশান

এক.

থানা সদর আর বিশারকান্দি গ্রামের মাঝখানে শোয়ানো পনের কিলোমিটার নাড়ীপথ, অসংখ্য তার প্যাঁচঘোঁচ। তাও স্থল নয় জল । যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। তা ইদানিং পুচ্ছে যন্ত্র জুড়ে নতুন নাম ধারণ করেছে— ট্রলার। এতে করে জলে তার তাণ্ডব বাড়লেও থানা সদর থেকে যাত্রা করে বিশালকান্দিতে পৌঁছতে ঘড়ির কাঁটাকে পুরো দুটো ঘর হাঁটাতে হয়। সে গ্রামের পায়ের কাছে আজিতুদ্দির নিঃসঙ্গ বাড়ি। তার চারপাশ খালি, কেবল খাল-কোলার রাজত্ব। বাড়িতে দুটো মাথা তোলা সেরেজ আর ডানা মেলা কয়েক ঝোপ কলাগাছে ঘেরা ছোট্ট দু’খানি ছনে ছাওয়া ঘর। তার মুখের উপর এক টুকরো উঠোন আছে ঠিকই, তবে সকাল ও বিকাল দুবেলাই তা ছায়ার দখলে থাকে। এরকম প্রান্তবর্তী ও পাতে তোলার অযোগ্য বাড়িতে আজ থানার আকমল দারোগা আসবেন। যার ভয়ে বাঘ ও মহিষ একঘাটে জল খায় বলার যুগ চলে গেছে, বরং বলা ভালো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এক টেবিলে বসে।
দারোগা সাহেবের আগমন,শুধু আগমনই নয়,খাওয়া-দাওয়া তারপর আরাম করা সব মিলিয়ে আজিতুদ্দির কাছে তার দুয়ারে রাজা-বাদশার পা পড়ার মতো। তাই তার আয়োজনে বাড়ির সবার ঘাম ও মাথা উভয়ই ছুটছে।

: বাজান, গোবরগাদাডারে কী হরমু? ওহাইনদা তো গনধো বাইরাইতাছে। পুরো উঠোন সাফ করে, তার সব নোংরা-আবর্জনা, সামান্য খড়কুটোটুকু উৎখাত করে পেছনের ডোবার মুখে তুলে দিয়ে ছেলে রহমত বাবাকে জিজ্ঞেস করে। আজিতুদ্দি কলাগাছগুলোর পরিচর্যায় ব্যস্ত। শুকনো পাতারা গা আঁকড়ে ঝুলে থাকলে গাছগুলোকে কেমন বুড়ো বুড়ো লাগে। নিচের দিকে টেনে ছিলে ফেলে দিলে গাছ নধর নধর হয়ে ওঠে, একেবারে সদ্য বিয়ানো বাছুরের মতো।

চোখের এক ঘুরানিতে আজিতুদ্দির ঘর দুয়ার মায় কলাবাগানের আঁতিপাতিও পড়ে ফেলা যায়। তখন গাছগুলো নিশ্চয়ই দারোগা সাহেবের চোখ ফাঁকি দিতে পারবেনা। তাই কলাগাছের চেহারায় নতুন রূপ দিয়ে আজিতুদ্দি ছেলের দিকে ফেরেন- কী আর হরবি, খালদার থেইকা মাডি উডাইয়া মুখ বুজাইয়্যা দে।
গাভীটা যখন ছিল তখন তার ‘আতালের’ বগলেই গড়ে তোলা হয় গোবরগাদা। পূবমুখী মূল ঘরের উত্তর পাশে। ঝড়ে দুখানা ঘরই মুখ থুবড়ালে হাটে মেয়ে ও মা গাভীর বিনিময়ে আজিতুদ্দি আবার তাকে খাড়া করেছে। কিন্তু গোবরগাদাটা রয়েই গেছে। কারণ তার সঞ্চয়ে রাখা গরুর গু বছর শেষে সুদে-আসলে খাঁটি আরকে রূপ নেবে। তার একমুঠো গোঁড়ায় গুজে দিলেই নেতানো ফসলও তরতাজা সবুজ রূপে চোখ মেলে তাকাবে। কিন্তু হাওয়া একটু এলোমেলো হাত-পা ছড়ালেই খোলা গোবরগাদাটা পুরো বাড়ি দখল করে নেয়, যেন তার গন্ধে গোবরময় হয়ে ওঠে বাড়িটা। দারোগা সাব আসার পর হাওয়ার যদি সেরকম মাতলামি চাপে! তাই খালপাড় থেকে নরম মাটি তুলে রহমত গোবরগাদার মুখ বন্ধ করে দেয়।

মাটি তোলা শেষ করে রহমত খালপাড়ের ঘাটে হাত দেয়। খাঁচ কাটা খেজুরগাছ ফেলে তৈরি ঘাটটাকে জোয়ারের পানি অর্ধেকটা গ্রাস করে ফেলে। আবার ভাটার সময় উগড়ে দেয়। ফলে জোয়ারের পলি ঘাটের খাঁচে খাঁচে মুখ বুজে পড়ে থাকে। খালি পায়ে কেউ তাতে পা দিলে সহ্য করে ঠিকই কিন্তু জুতো পায়ে উঠলে পিছলে দেয়। হুমড়ি খেয়ে পড়ার উপক্রম হয় তখন। দারোগা সাব তো এ ঘাট থেকেই জুতো পায়ে উঠবেন। তাই রহমত হাত চালিয়ে ঘাটের সব পলি জলের হাতে তুলে দেয়। পানি খেয়ে খেয়ে আবলুস কাঠের মতো কালো হয়ে ওঠা খেজুর গাছটা স্নান পেয়ে পূত-পবিত্র হয়ে ওঠে।

আগেরদিন হাটফেরত আজিতুদ্দির ডালায় ছিল দারুচিনি এলাচ পোলাউয়ের চালের মতো এবাড়িতে প্রথম পা দেওয়া বেশকিছু সামগ্রী। নছিমনবানু একা একাই তা নিয়ে ‘ওশ্যাঘরে’ হুটোপুটিতে ব্যস্ত। মেয়ে ছালমাকে তাতে হাত ছোঁয়াতে দেননি। সেসব মূল্যবান সামগ্রী নষ্ট করে ফেলবে বলে নয়, বরং মেয়ের সঙ্গেইতো দারোগা সাহেবের কাম। তাকে আজ সাফসুতরা রাখা দরকার। রান্নাঘরের আগুন-কালির জঙ্গলে তার না ঢোকাই ভালো।

ছনেছাওয়া ঘর দুটির একটি অপরটির কোমর সমান। খর্বাকৃতিটার খোপকাটা দরজা দিয়ে একেবারে রুকুতে না গিয়ে ঢোকার উপায় নেই। এ ‘ওশ্যাঘরেই’ রান্না ও বৃষ্টিবাদলের দিন খাওয়া-দাওয়া দুটোই চলে। হুটোপুটিতে সাময়িক ইস্তফা দিয়ে নছিমনবানু বাইরে আসেন। তার মুখ ঘাড়ে ঘাম আর কালির প্রসাধন। ছাবির ত্যানার মতো শাড়ির আঁচলে ঘাম-কালি মুছতে মুছতে উঠানের কোণায় বসা সোয়ামীর কাছে যান— ‘মুরগীডারে জবাই হরা লাগে’।

লালঝুটির চ্যাপ্টা শিরোপাধারী মোরগটা এ বাড়িতে তার স্বজাতির নেতা। তার কথায় যেন বাকীরা উঠবস করে। নছিমনবানু তাকে এক্সট্রা খাতিরযত্নে বড় করে তুলেছেন। ইচ্ছে ছিল হাটে পাঠিয়ে রহমতের বাপের জন্য একটা নতুন তহবন আনাবেন। কিন্তু দারোগা সাবের জন্য তার ইচ্ছা এবং প্রিয় মোরগ দুটোকেই এক ছুরিতে গলা কেটে জবাই করতে হচ্ছে।

: রহমইত্যারো বোলাও, অয় জবাই হইরা দেবে আনে। মুই একটু বড়ো ভাইডুগো বারি যামু। হ্যাগো এ্যাকটু কইয়্যা আয়োন লাগে।

নছিমনবানু ঝামটা দিয়ে ওঠেন ‘হ্যাগো ক্যান আবার কইতে অইবো? হ্যাগো আত-পায় এ্যাতো ত্যাল মাখলাম হ্যার পরও হ্যারা অ্যাকটু মুক তুইল্যা চাইলো না। এহন হ্যাগো লগে আবার কীসের পীরিত, অ্যাঁ?’

দুই.

বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করেও আজিতুদ্দি তার একপোয়া হাইল্যা আর তিনপোয়া কামলার ছেঁড়াখোঁড়া নামাবলী গা থেকে নামাতে পারেনি। মৌসুমের একপোয়া কাটে বাড়ির হাতায় নিজের তেটুকুতে কাস্তে-কোদাল ও চারা-বীজ নিয়ে হুটেপুটিতে। বাকী তিনপোয়া যায় মোল্লা অথবা তালুকদার বাড়িতে হুকুমদারিতে। আধপেটা খাওয়া ও বয়সের ভার জোট বেঁধে তার শরীরকে জীর্ণতার হাতে ছেড়ে দিয়েছে যেন, তাই কামলা হিসেবে তার চাহিদায় এখন কেবল ভাটার টান,সহজে কেউ ডাকে না। আবার গ্রামজুড়ে এতো হৈ-হাঙ্গামা কিন্তু তার কোনটার সামনে তো দূরের কথা ডান-বাম কিংবা পিছনে কোথাও কেউ তাকে খুঁজে পায়না। সুতরাং গ্রামের তলানিতে থিতু আজিতুদ্দির সঙ্গে থানার দণ্ডমুণ্ডের কর্তার রিলেশন, বাড়িতে আসা,মুরগী-পোলাউ খাওয়ার মতো ইয়ারদোস্তির পর্যায়ের কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। সেজন্য অবশ্য বেশি গভীরে যেতে হবে না । সামান্য খোঁড়াখুঁড়িতেই সব খোলাসা হয়ে যাবে।

সেদিন সকালে সূর্য তখনো পূব আকাশে উঁকি মারেনি। সদ্য ঘুম ভাঙ্গা চোখ নিয়ে নছিমনবানু ঘর থেকে বেরিয়ে ঘাটমুখী পথে কয়েক পা এগোতেই একটা অচেনা কটু গন্ধ তার নাকে এসে হাজিরা দেয়। তিনি বোধহয় একটু থমকান, এ ফাঁকে নাক দু’একবার নড়েচড়ে সকালের ব্যায়াম সেরে নেয়। নছিমনবানু যতোই আগান গন্ধটা যেন ততো জোরেশোরে তাকে ঝাঁপটে ধরে। তিনি চারদিকে তাকান। সূর্য তার চোখ না মেললেও তার আভাসে নছিমনবানু চিরচেনা বাড়ির সব কিছুই ঠাহর করতে পারেন। কিন্তু তার চোখ সন্দেহজনক কিছু কব্জা করতে পারে না। তবে তিনি আরো দু’পা এগিয়ে ঘাটে পা দিয়েই মাগো বলে চিলচিৎকারে বাড়ি মাথায় তোলেন। ঘাটে তার সকালের প্রাত্যহিক কাজ লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।

পূবে সূর্যের হাতদেড়েক আকাশচারীর আগেই ‘আজিতুদ্দির ঘাটে লাশ’ নামের চঞ্চলা খবরটা সারাগ্রাম হেঁটে আসে। সবাই তে-খামার কোলা-কান্দির বদলে তার বাড়ির পথ ধরে। বাড়ির আনাচ-কানাচ তো বটেই স্রোতজীবী খালের ওপারের ক্ষেতেও মানুষের ঢল নামে। যা দেখলে যে কোন ঢাকাইয়্যা নেতানেত্রীর সমাবেশ করজোরে হার মানতো। কিন্তু কেউ-ই চিনতে পারে না জোয়ারে ভেসে এসে ভাটায় নোঙ্গর করা দু‘দিনের মরা মুখ।

গন্ধ যেমন হেঁটে সাতগ্রাম দূরের কুকুরকে জানান দেয়, তেমনি লাশের খবরও উড়ে গিয়ে থানায় হাজির হয়। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে গোটা তিনেক কনস্টবলের ট্রলার আজিতুদ্দির ঘাটে স্টপেজ দেয়। তারা যথারীতি লাশ তোলে, সঙ্গে আজিতুদ্দিকে এবং শেষে যেন হাতেনাতে খুনি ধরার তৃপ্তিতে ঢেঁকুরও। নছিমনবানু কুহুল দিয়ে উঠলে তার মাথায় আজিতুদ্দি হাত বুলায়— ‘দারোগা সাবরে বুজাইয়্যা কইয়্যা বিহালেই ফিইরা আমু, কান্দিস না।’

থানায় আজিতুদ্দির সঙ্গে আকমল দারোগার মোলাকাত হয়, লাশের অপরিচয়ের পর্দাও খসে পড়ে। এতো পূবধারের রশিদ মুন্সি। সঙ্গে সঙ্গে তার দুই সৎ ভাইয়ের খোঁজে ট্রলার ছোটে। জাহির হয় —– রশিদ মুন্সি বিয়ের পর আরো দূর গ্রামে শ্বশুরবাড়ির কোমল হাতের বেষ্টনী ভেদ করতে পারেনি। সেখানেই খুঁটি গেঁড়ে উনুন তুলেছে। কালেভদ্রে বাড়িতে পা পড়ে বিধায় তার চেহারা অনায়াসে গ্রামবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করতে সম হয়,কেউ মনে করতে পারেনি।

কিন্তু দারোগার চেহারা একেবারে ওপিঠে। দ্বিতীয়বার না দেখলেও জনমভর মনে গেঁথে থাকে। রক্ত খেয়ে পেট ফোলানো জোঁকের মতো মোটা গোঁফঅলা কালো চেহারাজুড়ে বসন্তের দাগের নিবিড় রোপা। আজিতুদ্দির সামনে সদরে চালান ও জেলের ঘানি টানার খড়গ ঝুলিয়ে বলেন— খুতি খোল,পাঁচ হাজার ট্যাহা বাইর কর, নইলে চৈদ্দ বছরের লাল দালান। তোর বাড়ি লাশ পাওন গ্যাচে, এ্যাক বছরও মাফ নাই।

: হুজুর! অতো ট্যাহা মুই কই পামু, মোরে ব্যাচলেও অতো ট্যাহা অইবো না, হুজুর।
: তোরে ব্যাচন লাগবো না। তোর বাড়ি-খ্যাত আছে না? হেইয়্যা ছাইড়া দিলেই অইবো।
: হুজুর,পোলাপান লইয়্যা থাকমু কই, খামু কী, হুজুর! মোরে মাফ কইরা দ্যান। মোর ঘাডে লাশ ভাইস্যা আইছে, মুই লাশের কিছু জানি না।
: বাড়ি-খ্যাত ছাড়বি না, তা অইলে তোর মাইয়্যার ……………………………….
থানা থেকে বের হওয়ার পথে দারোগার এক উর্দিমোড়া কঞ্চি আজিতুদ্দির কানের কাছে মুখ নিয়ে ঝালাই করে দেয়—- হোনো! দারোগা সাব যে রহম বেবস্তা হরতে কইছে, হে রহম বেবস্তা হরবি। এ্যাকটু এদিক ওদিক হয় না য্যানো। তা অইলে হুদু তোরে না তোর পোলামাইয়্যা হগুলডিরে ধইরা সদরে চালান দিবো, বুঝলি।

তিন.

আজিতুদ্দি উঠানের কোণা ছেড়ে ঘরের আইতনার দাওয়ায় এসে পাছা বিছায়। কোমর থেকে গামছা খুলে কয়েকবার মুখের উপর নাড়ায়। ঘর্মাক্ত উলঙ্গ শরীরকে হাওয়ার সান্ত্বনায় ভোলানোর চেষ্টা। রহমত উঠানের চার কোণায় বাঁশ পুঁতে তার মাথায় শামিয়ানার মতো আধছেঁড়া একটা কাঁথা টাঙ্গায়। উঠানটা যাত্রা মঞ্চের চেহারা পায়। দারোগা সাব এসে তার ছায়ায় বসবেন। আয়োজনে ফিনিশিং টার্চ দেওয়ার উদ্যোগ নেয় রহমত ‘বাজান, দারোগা সাবের বইতে দেওয়ার কিচ্ছু নাই। মুই কাজীগো বারি থাইকা এ্যাকটা চেয়ার চাইয়্যা লইয়্যা আই।’

ছেলে চলে গেলে আজিতুদ্দি ছালমার মাকে ডেকে আগুন চায়। বিড়ি ধরিয়ে জিজ্ঞেস করে ‘বিছানাপাতির কি হরছো?’ ঘরে খাট বা চৌকির বালাই নেই। মেঝে হোগলা পাতার পাটিতে শয্যা। তাতেই তাদের চার চারটা ছেলেমেয়ে পৃথিবীর আলোর মুখ দেখেছে। তার দুটোকে ইতিমধ্যেই শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরো গোটা তিনেক গর্ভেই আয়ু শেষ করে ফেলেছিল। কিন্তু দারোগা সাব কী শক্ত মাটি সহ্য করতে পারবেন? তার জন্য তাই নরম বিছানার আয়োজন করা করেছেন নাছিমনবানু ‘মোল্লা বারি থাইকা তোষক আনছি, হ্যার উফর আরো দুইডা কাথা লাইছ্যা দিমু। তা অইলে নরম অইবো।’

নছিমনবানু আইতনা থেকে ঘরে পা দেন। ঝড়ের পর ত্রাণ হিসেবে পাওয়া হরেক রঙের ছাপা শাড়িখান একদিনও পড়েননি। তাই তার আনকোড়া নতুন রূপে একটুকু আঁচড় নেই। ভেবে ছিলেন সামনের ঈদে তার ভাঁজ খুলবেন। কিন্তু ছালমা তার শত সেলাইয়ের চোখঅলা শাড়িতে দারোগা সাবের কাছে কীভাবে যাবে? তাই তোরঙ্গে যত্নে রাখা শাড়িখান বের করে মেয়ের হাতে দিয়ে বলেন— যা নাইয়্যা পইরা আয়। গা রগড়াইয়্যা নাবি। তোর বাজান কাইল হাড থেইকা বাসনাঅলা সাবান আনছে,শিকায় তোলা আছে। হেয়া দিয়া গা রগড়াইয়্যা নাইয়্যা আয়, যা।
: মা, দারোগা সাব মোগো বারি ক্যান আইবো?
: আইবো তোরে লগে হুইতে। তোর বাজান থানায় কবুল কইরা আইছে। কবুল না হরলে কী হ্যারে ছারতো? চালান কইরা দিতো চৈদ্দ বছরের জেল খাডাইতো। হোন, দেহিস দারোগা সাবের য্যানো কোন কষ্টো না অয়, বুঝলি।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!