চীনের গুয়াংঝু শহরে একবার ব্যাংক ডাকাতি হলো, ব্যাংক ডাকাত ব্যাংকে ঢুকেই সবার উদ্দেশ্যে বন্দুক নাচিয়ে বললেন, এইটা সরকারী টাকা। আমার গুলিতে কেউ মারা গেলে সরকার এর কিছু যায় আসবে? কেউ বীরত্ব দেখানোর চেষ্টা না করাই ভালো নয় কি? মুহুর্তে সবাই শুয়ে পড়লো।
->এর নাম মানসিক অবস্থার বদলে দেয়া।
এর মাঝে এক তরুনী আবেদনময়ী ভংগিমায় টেবিলের উপর শুয়ে পড়লো। ধমকে উঠলো ডাকাত। এই মেয়ে, ভালোভাবে শুও। আমি রেপ করতে আসিনি।
->এর নাম প্রফেশনালিজম।
যা করতে চাই তাতেই ফোকাসড থাকা।
ডাকাতি শেষ। বাসায় ফিরে গেলো ডাকাত বেশ বড় অংকের
টাকা নিয়ে। সে প্রাইমারী পাস। বাসায় ফেরার পর তার এমবিএ পাশ ছোট ভাই জিজ্ঞেস করলো, চল ভাইয়া। গুণে দেখি কত টাকা।
ধমকে উঠলো প্রায় অশিক্ষিত বড় ভাই। শুধু শুধু টাইম নষ্ট। একটু পরেই টিভিতে দেখাবে কত টাকা ডাকাতি হইছে। সারারাত ধরে গুনার টাইম আছে?
->এর নাম অভিজ্ঞতা।
আজকাল সার্টিফিকেট এর চেয়েও এটার কাজে লাগে বেশী। ডাকাতি শেষ হলো। ম্যানেজার ডাকলেন তার সুপারভাইজর কে। এই, পুলিশকে ডাকো। সুপারভাইজর ধমকে উঠলেন, পাগল হয়েছেন মশাই? আগে দশ মিলিওন আমরা মেরে দেই। আগে যে ৭০ মিলিওন মেরে দিয়েছিলাম এটার সাথে মিলায়ে ফেলা যাবে। পুলিশ কিছুই টের পাবেনা।
->এর নাম ঝোঁপ বুঝে কোপ মারা। আজকাল এটা সবাই মারে।
ম্যানেজার কথামত কাজ শেষ করলো। একটা এডভেঞ্চার টাইপ ফিল হলো। একঘেয়ে কাজের মাঝে। কিছু নগদ নারায়ন আসলো। সেফও থাকা গেলো।
->এর নাম একঘেয়েমি দূর করা।
এটাই সবচেয়ে দরকারী।
আত্মতুষ্টির উপরে কিছু নাই।
পরদিন কাগজে খবর এলো। ব্যাংক থেকে ১০০ মিলিয়ন টাকা
ডাকাতি। ডাকাতরা গুনা শুরু করলো। দেখলো মাত্র ২০ মিলিয়ন আনতে পেরেছে। বাকি টাকা ম্যানেজার মেরে দিয়েছে তারা বুঝে গেলো।
আমরা জীবনের রিস্ক নিয়ে ২০ মিলিয়ন ডাকাতি করলাম, আর ম্যানেজার বেটা আংগুলের ইশারায় ৮০ মিলিয়ন মেরে দিলো?
শালার শিক্ষিত হউয়াই তো ভালো, ডাকাত হবার থেকে।
এজন্যই বলা হয়, শিক্ষা সোনার চেয়েও দামী। ব্যাংক ম্যানেজার খুশী। শেয়ার বাজারে সে লস খাইছিলো তা এই ডাকাতি দিয়ে পুষিয়ে দেয়া গেছে। সে আংগুল ফেঁপে কলাগাছ হয়ে গেলো।
->এর নাম সুযোগের সদ্ব্যবহার।
বাই দ্য ওয়ে, প্রকৃত ডাকাত কে?