হযরত আহমদ খাযরুইয়া বলখী (রঃ) – শেষ পর্ব
হযরত আহমদ খাযরুইয়া বলখী (রঃ) – পর্ব ৩ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তাঁর উপদেশ সমূহঃ
১। সাধক-দরবেশের সেবকদের তিনটি গুণ থাকে। যথা ১) বিনয়, ২) শিষ্টাচার ও ৩) দানশীলতা।
২। যিনি আল্লাহর সঙ্গ কামনা করেন, তিনি যেন সর্বদা সত্যানুসারী থাকেন। কেননা, আল্লাহ বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ সত্যপরায়ন লোকদের সঙ্গে থাকেন।
৩। আল্লাহকে অন্তরে বন্ধু মনে করা, মুখে তাঁকে সর্বদা স্মরণ করা ও অন্য যেকোন বস্তু থেকে নিজের মনকে উঠিয়ে ফেলা মারেফতের প্রকৃত তত্ত্ব। যার স্বভাব যত বেশী মোলায়েম ও মধুর, সে-ই আল্লাহর তত নিকটবর্তী।
৪। অন্তর হল একটি আঁধার। তা যখন আলোয় ভরে ওঠে, তখন তার উজ্জ্বল আভা সর্ব আবয়বে প্রতিভাত হয় আর যখন তা পাপে পূর্ণ হয়, তখন তার চেয়েও অধিক কালিমা সর্বাঙ্গে প্রকাশিত হয়।
৫। মুক্তিতেই পূর্ণ ও প্রকৃত এবাদত অর্জিত হয়। অর্থাৎ পার্থিব আবর্জনা থেকে নিষ্কৃতি লাভ করলেই এবাদত পূর্ণ স্বাদ পাওয়া যায়।
৬। আল্লাহ ছাড়া যে কোণ বস্তু থেকে মনকে মুক্ত করাই হল সর্বাপেক্ষা উত্তম কাজ।
৭। নফসকে হত্যা কর। তাহলেই তুমি নিজে বাঁচবে।
অভাব –গ্রস্থ লোককে দান করতে গিয়েই তিনি ঋণগ্রস্থ হন। মৃত্যুকালে তাঁর ঋণের পরিমাণ ছিল সত্তর হাজার দীনার। তিনি আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন, প্রভু গো! আপনি আমাকে দুনিয়া থেকে তুলে নিচ্ছেন, কিন্তু ঋণের দায়ে আমার প্রাণ এখানেই বন্দী হয়ে থাকছে। আপনি এমন কাউকে পাঠিয়ে দিন, যিনি এ ঋণ শোধ করবেন। তাঁর দোয়া শেষ হতেই এক লোক দরজায় করাঘাত করে বললেন, যারা পাওনাদার আছেন, তারা বাইরে আসুন। তারা বাইরে গেলে আগন্তুক কড়ায়-গণ্ডায় সব টাকা শোধ করে দিলেন। আর এভাবে সকলের পাওনা পরিশোধ হবার পরই হযরত আহমদ (রঃ)-এর পবিত্রাত্না পৃথিবী থেকে বিদায় নিল।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া
হযরত আহমদ খাযরুইয়া বলখী (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন