হযরত যুনযুন মিসরী (রঃ)- পর্ব ১০

হযরত যুনযুন মিসরী (রঃ) – পর্ব ৯ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

এর কিছুদিন পর হজ্জে গিয়ে তিনি দেখলেন, ঐ অগ্নিপূজক ধর্মনিষ্ঠ ব্যক্তির মতো কাবা শরীফ তওয়াফ করছে। হযরতকে দেখে তিনি বললেন, দেখলেন তো, আমার সে দিনের ছড়ানো বীজগুলো কেমন ফলবান বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। আল্লাহ সেদিন আমার কাজ কবুল করে খুশী হয়ে আমাকে এ পবিত্র কাবার পানে আহ্বান করেছেন। আর আমি তা তওয়াফ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছি।

তাঁর কথা শুনে হযরতের হৃদয় আনন্দে আপ্লুত হয়। তিনি তাঁর প্রভুর উদ্দেশ্যে বললেন, প্রভু গো! এক মুঠো শষ্যকণা ছড়ানোড় পুরষ্কার স্বরূপ আপনি চল্লিশ বছরের অগ্নি-পূজককে আপনার সন্তুষ্টি ও হেদায়াত নসীব করে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে অদৃশ্য-বাণী শোনা গেল, আমার ইচ্ছা ও শক্তির কথা জানতে চেয়ো না। আমি যার প্রতি সন্তুষ্ট হই তাকে মহাসৌভাগ্যশালী করি। আমার ইচ্ছা ও কাজের ব্যাপারে কারও কিছু বলার নেই।

হযরত যুনযুন (রঃ) যখন নামাজের জন্য দাঁড়াতেন তখন বলতেন, প্রভু আমার! আপনার পাক দরবারে হাজির হবার জন্য আমি পা পাব কোথায়? আমার পা যে অপবিত্র! আর আমি কোন চোখ দিয়ে আপনার পবিত্র কেবলার দিকে তাকাব। আমার চোখ দুটি যে কলুষিত। আর কোন মুখে আমি আপনার প্রশংসা করব। আমার মুখ যে নিষ্পাপ নয়। তবুও নানা অযোগ্যতা সত্ত্বেও নির্লজ্জের ন্যায় আমি আপনার পবিত্র দরবারে এসে দাঁড়ালাম।

নামাজ শেষ করে তিনি আবারও মোনাজাত করতেন, প্রভু গো! এখন আমার সামনে যেসব বিপদ রয়েছে, আমি সেসব থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছি। আর শেষ বিচারের দিনে যেসব বিপদ-আপদ আমাকে ঘিরে ধরবে, সেগুলো থেকেও আপনার শরণ নিচ্ছি। আপনি নিজ গুণে সে দিনের লজ্জাজনক শাস্তি ও বিপদ থেকে আমাকে মুক্তি দিবেন।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত যুনযুন মিসরী (রঃ) – পর্ব ১১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।