হযরত হাসান বসরী (রঃ) – পর্ব ২
হযরত হাসান বসরী (রঃ) – ১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
তাঁকে কোলে নিয়ে তিনি তাঁর জন্যে আল্লাহ্র দরবারে দোয়া জানালেন। বলাবাহুল্য, নবী মুস্তফার এই দোয়ার কারণেই হযরত হাসান বসরী (রঃ)-এর জীবনে সাফল্য আসে আল্লাহ্র তরফ থেকে। তাই বলছিলাম, তাঁর চেয়ে ভাগ্যবান কে আছে আর?
এমনকি নামটির পেছনেও সৌভাগ্যের সঙ্কেত আছে। শোনা যায়, ভূমিষ্ট হওয়ার পর কে যেন ঐ ফুটফুটে শিশুকে নিয়ে যায় হযরত ওমর (রাঃ)-এর কাছে। নবজাতককে দেখে তিনি বলে ওঠেন, ‘ভারী সুন্দর’ চেহারা তো! চেহারায় সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যেন এর নাম রাখা হয় হাসান। ‘হাসান’ শব্দের অর্থ সুন্দর।
তখন থেকে তিনি ‘হাসান’ নামেই পরিচিত হয়ে গেলেন। অর্থ্যৎ তাঁর নামের পেছনে রয়ে গেল মুসলিম বিশ্বের আর এক উজ্জ্বল মানুষের স্নেহময় অভিব্যক্তি। নিজের সন্তান না হলেও হযরত সালামা (রাঃ) তাঁকে পুত্র-বৎ স্নেহ করতেন। তাঁর জন্য দোয়া করতেন। আল্লাহ্ যেন তাঁকে মুসলিম জাহানের ইমাম বানিয়ে দেন, এই ছিল তাঁর আন্তরিক প্রার্থনা।
তাঁর সৌভাগ্যের আরও প্রমাণ এই যে, তিনি কম করে হলেও একশ কুড়ি জন আলোকিত পুরুষের সংস্পর্শধন্য। হযরত আলী (রাঃ)-এর পুত্র ইমাম হাসান (রাঃ)-এর কাছে তিনি বিদ্যার্জন করেন। শরীয়তী জ্ঞান ছাড়াও মারেফতের দীক্ষাও তিনি তারই কাছ থেকে পান। অবশ্য ‘তোহফা’ নামক গ্রন্থের গ্রন্থকার উল্লেখ করেছেন, হযরত হাসান (রঃ) আসলে হযরত আলী (রাঃ)-এর শিষ্য।
নবারুনের মতো প্রদীপ্ত তরুন হযরত হাসান (রঃ) ছিলেন রত্ন ব্যবসায়ী। ব্যবসা উপলক্ষে বিভিন্ন দেশ পরিভ্রমন করতেন। সমকালের বিশ্ব বিখ্যাত সাম্রাজ্য হল রোম। রোমের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
হযরত হাসান বসরী (রঃ) – ৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া