আছিয়ার প্রার্থনা-শেষ পর্ব
আছিয়ার প্রার্থনা-পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এ সমস্তের পরিবর্তে যদি আমি এক অতি কাঙ্গাল ধার্মিক লোকের গৃহিনী হতাম এবং নিশ্চিন্তায় ও স্বাধীনভাবে তোমার গুণ গানে রতে হতে পারতাম তবে তাই আমার ভালো ছিল। প্রকৃত সুখী আমি তখনই হতে পারতাম। এজন্যই মনে হচ্ছে তুমি আমাকে সকল কিছু দান করেও কিছুই দাও নাই বঞ্চিত করে রেখেছ।
ওহে প্রভু গো! তোমারই বাণী এই যে, মানুষ তার ইচ্ছানুযায়ী কিছুই করতে সক্ষম নয়। শুধু তোমারই মর্জী মাফিক সে কলের পুতুলের মত নড়াচড়া করছে। যদি তাই হয় প্রভু! তবে আমার স্বামীর প্রতি সুদৃষ্টি বর্ষণ কর! তার মনের যত অন্ধকারাচ্ছন্ন অন্তরটিকে তুমি আলোকিত করে দাও।
একদিন নয়, দুই দিন নয় প্রতিটি রজনী বিনিদ্র থেকে আছিয়া চোখের পানিতে বুক ভিজিয়ে মহাপ্রভুর কাছে তিনি এভাবে প্রার্থনা করতে থাকেন।
নিশীথ রাত্রির প্রার্থনা স্বামী ফেরাউনের কর্ণগোচর হয় তবে আছিয়াকে শাস্তি স্বরূপ অসহ্য নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
অবশ্য তিনি সে জন্য পরোয়া করেন না। তাঁর এরূপ প্রার্থনা ও করুণ আবেদন চলতেই থাকে। সাথে সাথে তিনি স্বামীর কল্যাণের জন্য সুযোগ পেলে প্রকাশ্যেও তাকে উপদেশ দান করেন।