কাবুসের চরম অধঃপতন- শেষ পর্ব

কাবুসের চরম অধঃপতন- পর্ব ৩ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

এবার সে পূর্বাপেক্ষাও দুর্দান্ত হয়ে উঠল। দুনিয়াতে এমন কোন কুকার্য নেই যাতে সে পুনঃ লিপ্ত হল না। তার কার্যে দেশের লোকেরা অতিষ্ঠ হয়ে ত্রাহি ত্রাহি করে উঠল। আছিয়া তার জান-প্রাণ দিয়ে স্বামীকে সৎপথে রাখার চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র ফলোদয় হল না। ফলে দুঃখে আছিয়ার বক্ষ বিদীর্ণ হয়ে গেল।

তাঁর মনের শান্তি বিলুপ্ত হল। তিনি ভেবে পেলেন না যে তাঁর কোন অপরাধের ফলে আল্লাহ তাঁকে এরূপ শাস্তি দিলেন। পূর্বে তিনি শুনেছিলেন, কাবুস অত্যন্ত অসৎ যুবক কিন্তু পরে তার গৃহে এসে তো তাঁকে ভালই মনে হয়েছিল। তারপর ক্রমান্বয়ে সে পুনয় ও ধর্মের পথে অগ্রসর হচ্ছিল।

অতঃপর হঠাত এমন কি ঘটল যে, আবার সে তার পূর্বের পথে ধাবিত হল? আছিয়া এর কোণ জবাব খুঁজে না পেয়ে দিবানিশি শুধু নীরবে অশ্রু ঝরিয়ে চললেন। বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ী পুত্রের পরিবর্তনে খুশী হয়েছিল। আনন্দে বক্ষ পূর্ণ হয়েছিল। তাদের সে আনন্দও আর রইল না।

পুত্রের এ বর্তমান অবস্থা দেখে তারা দুঃখে শোকে একেবারে নির্জীব হয়ে পড়ল। বিশেষতঃ সতী আছিয়ার চোখের অশ্রু দেখে তারা তাদের দুঃখের আঘাত কোন প্রকারেই সহ্য করতে পারছিল না। এ পূণ্যবতী পুত্রবধুটিকে সান্ত্বনা বা প্রবোধ দেবার মত কোন শক্তি বা ক্ষমতাই তাদের ছিল না।

সারা পরিবারে একটি ভয়াবহ বিষাদপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হল। একদিকে কাবুসের ভন্ড অসভ্য বন্ধুদের নিয়ে দিবানিশি হৈ চৈ, অট্টহাসি ও পাপাচার; অন্যদিকে দুঃখিনী আছিয়ার তাপিত হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস এবং দুঃখ জর্জরিত বৃদ্ধ বৃদ্ধার নৈরাশ্যব্যঞ্জক কাতর চাহনী সংসারটিকে দুঃখের সাগরে পরিণত করল।

কাবুসের চরম অধঃপতন- পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।