ঘোড়ায় বন্দী জ্বিন
মূসা বিন নাসীর (রহঃ)-কে হযরত ওমর বিন আবদুল আযীয (রহঃ) বলেন- আপনার দেখা কিংবা শোনা সমুদ্রের কোনও বিস্ময়কর ঘটনার কথা আমাদের শোনান। কেননা এই মূসা বিন নাসীর (রহঃ)-কে মুসলিম বাহিনীর সিপাহসালার বানিয়ে বিভিন্ন যুদ্ধে পাঠানো হত। এবং তিনি মরক্কো পর্যন্ত বহু ভূখণ্ড ও রাজ্য জয় করেছিলেন।
সুতরাং হযরত মূসা বিন নাসীর (রহঃ) বলেন- একবার আমরা সমুদ্রের এক দ্বীপে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে একটা পোড়া বাড়ী আমাদের নযরে পড়ে। সেই বাড়ীতে আমরা সতেরটি সবুজ গোঁড়া দেখতে পাই। ঘোড়াগুলির উপর হযরত সুলাইমান (আঃ)-এর সীলমোহর মারা ছিল। আমি সেই ঘোড়াগুলির মধ্যে মাঝের, ধারের ও উপরের ঘোড়া নিয়ে আসার হুকুম দিই। তো ঘোড়া কয়টা বাড়ীর উঠানে নিয়ে আসা হয়।
একটা ঘোড়া আমি খুলতে বললে তাতে ছিদ্র করা হয়। ফলে এই ঘোড়ার ভিতর থেকে একটা শয়তান বের হয়। তার হাত গর্দানের সঙ্গে বাঁধা ছিল। সে বাইরে বের হয়েই বলতে থাকে-যিনি আপনাকে নবী হওয়ার সৌভাগ্য দান করেছেন সেই পবিত্র সত্তা আল্লাহর কসম করে বলছি, আর কখনও আমি যমীনের বুকে ফেতনা-ফাসাদ করতে আসব না।
তারপর সেই শয়তানটা এদিক-ওদিক তাকিয়ে বলে উঠল-আল্লাহর কসম! না আমি সুলাইমানকে দেখতে পাচ্ছি না তার সাম্রাজ্য।
এরপর সে মাটিতে গোঁত্তা মারল এবং মাটির মধ্যেই গায়েব হয়ে গেল।
বাকি ঘোড়াগুলো আমার নির্দেশে যথাস্থানে রেখে দেওয়া হল।