জ্বিনের আরেকটি খতরনাক ঘটনা
বর্ণনায় হযরত আবুল মুনযির (রহঃ) একবার আমরা হজ্জ করার পর এক বড় পাহাড়ের গুহায় গিয়ে পৌছাই। যাত্রী (কাফেলা) দলের ধারণা, ওই গুহায় জ্বিনেরা বাস করে। সেই সময় এক বয়স্ক মানুষকে (পাহাড়ী ঝর্ণার) পানির দিক থেকে আস্তে দেখে আমি বলি, হে আবু শামীর! এই পাহাড়ের বিষয়ে আপনার অভিমত কী? আপনি এই পাহাড়ে বিশেষ কিছু ঘতটে দেখেছেন? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, একবার আমি নিজের তীর-ধনুক নিয়ে ভয়ের চোটে এই পাহাড়ের উপরে গিয়ে উঠি।
এবং পানির ঝর্ণার কাছে গাছের ডাল-পাতা দিয়ে একটি ঘর বানিয়ে তাতে বাস করতে লাগি। সেই সময় একদিন আমি হঠাৎ কিছু পাহাড়ি ছাগলকে আমার দিকে এগিয়ে আস্তে দেখি। সেগুলো কোনও কিছুকে ভয় পাচ্ছিল না। সেগুলো এই ঝর্ণা থেকে পানি পান করল। তারপর এর আশেপাশে বসে গেল। যেগুলোর মধ্যে একটা মেষকে আমি তীর মারি। তীরটা তার বুকে গিয়ে লাগে। অমনই এক চিৎকারকারী সজোরে চিৎকার করে। ফলে পাহাড় থেকে ভয়ে সবাই পালিয়ে যায়।
তখন শয়তান আমার সম্বন্ধে অপর শয়তানকে বলল, তুই ধ্বংস হ! ওকে খতম করে ফেলছিস না কেন? দ্বিতীয় শয়তান বলল, ওকে খতম করার ক্ষমতা আমার নেই! প্রথম শয়তান বলল, তুই ধ্বংস হ! ক্ষমতা নেই কেন? দ্বিতীয় শয়তান বলল, কারণ, ওই ব্যক্তি পাহাড়ে ওঠার সময় (কিংবা পাহাড়ে ঘর বাঁধার সময়) আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। (বর্ণনাকারী বলছেন) একথা শোনার পর আমি নিশ্চিন্ত হই।