হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর খেলাফতের ঘটনা-পর্ব ১
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর এন্তেকালের পর আবু বকর (রাঃ) খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে উসামাকে সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে যুদ্ধে মুসলমানগণের বেতনভোগী কোন সৈন্য ছিল না। যুদ্ধের জরুরি অবস্থার সময় যুবক প্রৌঢ় সবাইকে সৈন্যদলে যোগদান করতে হত। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ওফাতের খবর প্রচারিত হওয়ার পর থেকে আরব দেশের চারদিকে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে লাগলো।
ঐ সময়ে আরবের কয়েকজন ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দাবি করলেন যে, হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর এন্তেকালের পরে তারা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছ হতে নবুয়্যত প্রাপ্ত হয়েছেন। একদল লোক মালের যাকাত প্রদান করা বন্ধ করেন। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর আবির্ভাবের আগে গোত্রে গোত্রে যে হিংসা-বিদ্বেষ ইত্যাদি বিরাজমান ছিল তিনি জীবিত থাকতে এতোদিন তা চাপা ছিল। তাঁর এন্তেকালের পরে এ সব বিদ্বেষ ও হিংসা-কলহ বড় আকারে প্রকাশ পেতে লাগলো।
চারদিকে সৃষ্টি হলো বিশৃঙ্খলা আর বিপর্যয়। এর পরিণাম দেশের জন্য খুবই ভয়াবহ। দেশের এ পরিস্থিতি অবলোকন করে বেশির ভাগ লোকই সিরিয়ার যুদ্ধে যেতে আপত্তি করল। হযরত ওমর (রাঃ)– কে তারা পাঠালো খলিফার মত পরিবর্তনের জন্য। হযরত ওমর (রাঃ) এসে আবু বকর (রাঃ)–এর কাছে সকলের মনের পরিস্থিতি জানালেন।
খলিফা হযরত আবু বকর (রাঃ), হযরত ওমর (রাঃ) – এর কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে উঠলেন। তখন তিনি বললেন, তা কখনো হতে পারে না। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর শেষ ইচ্ছা কখনো বন্ধ থাকবে না। দেশে এখন খুব খারাপ অবস্থা তাতে কোন সন্দেহের কোন কারণ নেই এরপরেও এ অভিযান বন্ধ রাখা যাবে না। হযরত আবু বকর (রাঃ) – এর দৃঢ়তা দেখে হযরত ওমর (রাঃ) বেশি আর কিছু বলতে সাহস করলেন না। কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে পুনরায় বললেন, উসামা বয়সে তরুণ আমি বলছিলাম কি, সিরিয়া অভিযানে যিনি নেতৃত্ব দিবেন তিনি বয়স্ক এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তি হলে ভাল হত। এ ব্যাপারে আপনাকে আবার বিবেচনা করতে আমি অনুরোধ করতেছি।
হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর খেলাফতের ঘটনা-শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন