আসহাবে কাহাফের সংখ্যা
আসহাবে কাহাফের সংখ্যা কতজন ছিল তা কেউ জানে না। এ মর্মে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, “কেউ বলে যে, তাদের সংখ্যা ছিল তিন, চতুর্থ হল তাদের কুকুর। আর কেউ বলে যে, তাঁরা পাঁচ জন, ষষ্ঠ হল তাঁদের কুকুর। এসব অনুমান হল অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার ন্যায়। আবার কেউ বলে তাঁরা ছিলেন সাতজন, আর অষ্টম ছিল তাঁদের কুকুর। আল্লাহই তাদের সঠিক সংখ্যা পরিজ্ঞাত আছেন। ”
আসহাবে কাহাফের নাম ও পরিচয় নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ আছে। অধিকাংশ রাবীগণের মতে তাঁরা ছিলেন রোম সাম্রাজ্যের অধিবাসী। তাঁদের ধর্ম ছিল ইসলাম। তাঁদের সংখ্যা ছিল সাত অথবা আট। তাঁদের নাম ছিল কমছলমিনা, এমলেখা, একছির, মরকুকস, নওয়ানস, ছানিউস ও বাতিনুস এবং তাদের কুকুরের নাম ছিল কেতমির। যে পাহাড়ের গুহায় তাঁরা বিশ্রাম নিয়েছিলেন সেটা রোম দেশে অবস্থিত। পাহাড়টির নাম কোথাও উল্লেখ নেই।
অধিকাংশ বর্ণনাকারীর মতে আসহাবে কাহাফের যুবকেরা জীবিত আছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত জীবিত থাকবেন। এরা আল্লাহ তা’য়ালার কুদরতের এক বিশেষ নিদর্শন হিসেব পৃথিবীর মানুষের কাছে চিরঞ্জীবী হয়ে থাকবেন। আল্লাহ তা’য়ালা তাঁদের খেদমতের জন্য ফেরেস্তা নিয়োজিত করে দিয়েছেন। তাঁরা প্রয়োজন অনুসারে তাঁদের পাশ ফিরিয়ে দেন এবং জান্নাতী পাখা দ্বারা তাঁদের বাতাস করেন। যাতে অধিক উত্তাপ নেই। কতিপয় রাবীর মতে আসহাবে কাহাফের যুবকেরা ইন্তেকাল করেছেন বলে বর্ণিত আছে।
আসহাবে কাহাফের অবস্থান সম্বন্ধে পবিত্র কোরয়ান শরীফে বর্ণিত আছে – “হে নবী! আপনি তাঁদেরকে গুহার মধ্যে দেখতে পারলে দেখতেন যে, সূর্য যখন উদয় হয় তখন তাঁদের গুহা ছেড়ে ডান দিকে হতে উচ্চে উঠে যায়। বাস্তবিক এটা আল্লাহর নির্দশন সমূহের অন্যত্ম। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন সে হেদায়েত পেতে পারে। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তাঁর জন্য আপনি কোন ওলি, মুর্শিদ পেতে পারেন না।”
আল্লাহ তা’য়ালা আরো এরশাদ করেন-
“হে নবী! আপনি তাঁদেরকে দেখে মনে করবেন যে, তাঁরা সজাগ। অথচ তাঁরা নিদ্রিত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি তাঁদেরকে ডাইনে বায়ে পাশ বদলিয়ে দিয়েছি। আর তাঁদের কুকুর গর্তের মুখে হাত প্রসারিত করে বসেছিল। আপনি যদি গর্তের ভিতরে তাকিয়ে দেখতেন তাহলে পিছনের দিকে পালিয়ে যেতেন। তাঁদের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ আপনার মনে ভয়ের সঞ্চার করত।”
সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী
আসহাবে কাহাফের রহস্যপূর্ণ ঘটনা-পরিচিতি পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন