হজরত ঈসা (আঃ)- এর আর্বিভাব-পর্ব ২
হজরত ঈসা (আঃ)- এর আর্বিভাব-পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কার সাথে তুমি অপকর্ম করেছ? যদি তুমি স্ব-ইচ্ছায় না বল তাহলে আমরা যে কোন উপায়ে তাকে খুজে বের করব। তখন তোমাকে আমরা উপযুক্ত শাস্তি দিতে দ্বিধা করব না। হযরত মারইয়ামের এক খালাত ভাই ছিল। তাঁর নাম ছিল ইউসুফ। সে বহু পূর্ব হতে মারইয়ামের পিছনে লেগে ছিল। হযরত মারইয়াম ছিল অপরূপ সুন্দরী ও উজ্জ্বল চেহারার অধিকারিণী। তাঁর প্রতি তাকালে যে কোন মানুষের মনে আকর্ষণের সৃষ্টি হত।
এ জন্য ইউসুফ তাকে লাভ করার জন্য বহুদিন পথে ওৎ পেতে বসে থাকত। হযরত মারইয়াম ইউসুপের দুশ্চরিত্রার খবর ভালভাবে জানতেন। তাই তিনি সর্বদা সতর্কাবস্থায় থাকতেন যেন সে তাঁর কোন ক্ষতি না করতে পারে। ইউছুপ মারইয়ামের এ খবর শুনে মারইয়ামের নিকট এসে বলল, আমাকে ফাঁকি দিয়ে তুমি কোন নাগরের হাত ধরলে?
আমি তোমার জন্য কম অপেক্ষা করিনি। আমাকে এমন ভাবে সরিয়ে তুমি অন্য মানুষকে বেছে নিলে। আমি কি অপরাধ করেছি? আমি তো এভাবে অবৈধ কাজ করার আশা করিনি। তোমাকে বিবাহ করে ঘরে তুলে নিতাম। তাতে আর কোন কলঙ্ক ছড়াত না। এখন তুমি কলকিংনী হলে। অবৈধ গর্ভ ধারণ করে সমাজে নিন্দনীয় হলে। এটা কি তোমার জন্য সুভ হল? তবে আমি এখনও আশা ছাড়ি নি। তুমি আমাকে গ্রহণ কর। আমি তোমার কলঙ্কের অপরাধ মাথায় নিয়ে তোমাকে বিবাহ করতে রাজি আছি। হযরত মারইয়াম বলল, ভাই ইউসুফ!
তুমি বিশ্বাস কর আমি আল্লাহর কছম খেয়ে বলছি, আমি কোন পর পুরুষের সংস্পর্শে গমন করি নি বা আমি ভ্রষ্টা নই। আমাকে হযরত জিব্রাইল (আঃ) একটি ফুক দিয়ে আমার গর্ভে ধারণের কথা বলে গেছেন। এর চেয়ে অধিক আর কিছু আমার জানা নেই। ইউসুফ এ কথা শুনে হাসি দিয়ে বলল, তুমি আমাকে বোকা বানাতে চেষ্টা করছ। পৃথিবীর ইতিহাসে কোন নারী পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়া গর্ভ ধারণ করেছ তাঁর কোন নজির আছে। আমাকে তুমি অযথা ধোঁকা দিবার চেষ্টা করছ। তবে এতে তোমার ভবিষ্যৎ মঙ্গল হবে না। একদিন না একদিন তোমার গোপন সঙ্গীর পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়বে। সে দিন আর তোমার প্রতি আমার এহেন থাকবে না। তখন তুমি নিরাশ্রয়ের ন্যায় রাস্তায় কেঁদে কাটাবে। কেউ তোমাকে ক্ষনিকের জন্য ঠাই দিবে না। তাই আমি তোমাকে যে প্রস্তাব দিয়েছি তা আর একবার ভেবে দেখ। হযরত মারইয়াম বললেন, ইউসুফ ! তুমি আর বাজে কথা বল না। তুমি আমাকে ভালভাবে চেন, আমি কি ধরনের মেয়ে তুমি আমার পিছনে আজ কয়েক বছর যাবত লেগেছে।
আমার সকল কাজ কর্মের প্রতি তুমি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছ। আমার কাছে পাওয়ার জন্য তুমি কোন চেষ্টা বাকি রাখনি। এর পরেও তুমি আমাকে কলংকিনী করার চেষ্টায় মেতে উঠেছ। এখন আমার বাধ্য হয়ে বলতে হয় তোমার যা সাধ্য আছে তা করগে। আমি মহান রাব্বুল আলামীনের হেফাজতে আছি। আমার ক্ষতি করার চেষ্টায় যারা লিপ্ত হয়ে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে আমার আদৌ কোন সন্দেহ নেই।