হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর স্ত্রী অপহরণ-৩য় পর্ব
হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর স্ত্রী অপহরণ -২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রাজা পুনরায় উত্তেজিত হয়ে উঠল এবং সায়েরাকে জড়িয়ে ধরার জন্য তাঁর কাছে গেল। অমনি দুইখানি পা হাঁটু পর্যন্ত মাটির মধ্যে গেড়ে গেল। তখন সে ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে পুনরায় সায়েরার নিকট দোয়া প্রার্থনা করল। সায়েরা বলল, আল্লহর সাথে ঠাট্টা করার পরিণাম ভয়াবহ। এতএব তোমার জন্য দ্বিতীয় বার দোয়া করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার স্বামী একজন আদ্বিতীয় নবী। তিনি সম্মুখে বৈঠকখানায় বসা আছেন তাঁর নিকট গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা কর।
তখন হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-কে অন্দর মহলে ডাকা হল। চাকর, লস্কর, কর্মচারী সকলে রাজার অবস্থা দেখল এবং পাপের প্রায়শ্চিত্ত রাজাকে ভুগতেই হবে বলে সকলে আলোচনা সমালোচনা আরম্ভ করল। রাজ দরবারের সকল কর্মচারী রাজার দুর্গতি দেখে খুব ভীত হয়ে পড়ল। কারন এ অত্যাচারী রাজার আজ্ঞাবহ হিসেবে তারা এ যাবত যে অন্যায় করেছে তাঁর প্রতিফল ভোগ করতে হলে সকলেই মহা বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। তাতে আদৌ সন্দেহ নেই। তাই তখন থেকে সকলে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করতে আরম্ভ করল। এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হিসেবে হুকুমের অপেক্ষায় তাঁর চতুর্দিকে ভীড় জমিয়ে থাকল।
হযরত ইব্রাহীম (আঃ) যখন অন্দর মহলে প্রবেশ করলেন তখন রাজার চোখ দুটি অন্ধ হয়ে গেল। জিহ্বা আড়ষ্ট হয়ে এল। সারা শরীর পাথরের ন্যায় শক্ত হয়ে গেল। রাজার আত্নীয়-স্বজনদের মধ্যে অধিকাংশ লোকে অবস্থা দেখে দরবার ছেড়ে পালিয়ে গেল। কর্মচারীদের অধিকাংশ অনুরূপ বিভিন্ন পন্থায় আত্নরক্ষার ব্যবস্থা নিল। যে সেখানে থেকে পারল সরে গেল। রাজার শুধু কথা বলার শক্তিটুকু বাকি ছিল। কিন্তু নড়া চড়ার কোন শক্তি তাঁর ছিলনা।
সূত্রঃ কুর আনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী
হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর স্ত্রী অপহরণ -১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন