আবদুল্লাহ বিন সালামের ইসলাম গ্রহণ

আবদুল্লাহ বিন সালাম ইহুদীগণের মধ্যে একজন বিখ্যাত আলেম ছিলেন। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর শুভাগমনের সংবাদ পেয়ে তিনি তাঁর দরবারে উপস্থিত করেন।

তিনি রাসূল (সাঃ)-কে তিনটি প্রশ্ন করলেন। প্রথম প্রশ্ন ছিল- বেহেশতবাসীদের প্রথম খাদ্য কি হবে? দ্বিতীয় প্রশ্ন- সন্তান মাতা-পিতার রূপ ধারণ করার কারণ কি? তৃতীয় প্রশ্ন হল কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন কি? রাসূলে পাক (সাঃ) উত্তর করলেন, বেহেশতবাসীকে সর্বপ্রথম মাছের কলিজা ভুনা করে দেয়া হবে। মাতা অথবা পিতা, যার বীর্য সর্বপ্রথম জরায়ুতে পৌঁছাবে সন্তান তারই আকার ধারণ করবে। কিয়ামতের সর্বপ্রথম নিদর্শন হবে এ অগ্নি, যা ইয়ামেনের দিক থেকে প্রকাশ হয়ে সমগ্র বিশ্বের মানবকে সিরিয়ার দিকে একত্রিত করবে।

হযরত আবদুল্লাহ যথাযথ উত্তর শুনলেন এবং হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নবুয়তের প্রতি তাঁর পূর্ণ আস্থা হল। তিনি তৎক্ষণাৎ ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং কালেমায়ে শাহাদাত উচ্চারণ  করতঃ অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসকে জবানে প্রকাশ করে দিলেন। তবে তিনি রাসূলে পাক (সাঃ) কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! আপনি আমার ইসলামের কথা প্রকাশ না করে ইহুদী সম্প্রদায়ের নিকট হতে আমার সম্বদ্ধে একটু মতামত গ্রহণ করুন। রাসূল (সাঃ) আবদুল্লাহর পরামর্শ অনুসারে ইহুদীগণের মহল্লায় যেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে আবদুল্লাহ বিন সালাম কেমন লোক? তারা সমস্বরে উত্তর করল, তিনি আমাদের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট এবং সর্বোৎকৃষ্ট ব্যক্তির সন্তান। রাসূল (সাঃ) বললেন, যদি তিনি মুসলমান হয়ে যান, তখন তোমরা কি করবে? তারা বলল, তা কখনও হতে পারে না। আবদুল্লাহ এত বোকা নয়। সে কখনও হযরত মূসার ধর্ম ত্যাগ করতে পারে না। এমন সময় হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) পর্দার আড়াল হতে বের হয়ে উচ্চঃস্বরে বলে উঠলেন, اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمد رسول الله

তখন ইহুদী সম্প্রদায় বলে উঠল সে আমাদের মধ্যে সকলের চেয়ে নিকৃষ্ট এবং নিকৃষ্টতম ব্যক্তির সন্তান।

হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, হে ইহুদীগণ! কসম খোদার আমার পুত্রের মধ্যে আমার সন্দেহ হতে পারে কিন্তু হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নবুয়তের মধ্যে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।