রাজবধূ পর্ব ৭১ (রেহানা পুতুল)

রাজবধূ ৭০ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

তখনই ভিতর থেকে শোনা গেলো কারো মৃদু গোঙানি। মানুষের মতোই লাগছে আওয়াজটা। শিখার হৃৎপিণ্ড বেরিয়ে আসার উপক্রম।

সে ত্রস্ত পায়ে বাসার সামনে গেলো।

মালামাল বহনকারী লোকদের ডেকে উৎকন্ঠাজনিত স্বরে বললো,

“একটু আসবেন এইদিকে। বাথরুমের ভিতর মানুষের গলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।”

তারা শিখার সাথে গেলো বাথরুমের দরজার সামনে। কান পেতে রইলো। হ্যাঁ সত্যিই ত। ভিতর থেকে কাঁইকুঁই শব্দ আসছে। তারা ভীতস্বরে বললো,

“হায় আল্লাহ! কে এইখানে? বন্দীই বা করলো কে? আমরাতো মালামাল নিয়া ট্রাকে তুলতাছি কত সময় ধইরা। কইতেও পারুম না। অবশ্য আমরা বাথরুমের সামনে আসিওনাই।”

“এটা কার বাসা ছিলো? আপনারা জানেন?”

“নাহ। আমরা কামলা মানুষ। ক্যামনে জানমু?”

শিখা আর কিছু বলতে পারলো না। পিছন হতে রিতুর গলা শোনা গেলো।

“কিরে শিখা। আসছ না কেন? এই খালি বাসায় কী দেখছিস অত?”

শিখা রিতুকে বিষয়টা জানালো আতংকিত চোখে। রিতু বললো,

“কী কস? বাসায় আয়। গিয়ে আম্মাকে বলি।”

শিখাকে নিয়ে রিতু তাদের বাসায় গেলো। ওর মা ট্রে ভর্তি নাস্তা নিয়ে এলো ড্রয়িংরুমে। শিখা রিতুর মাকে সালাম দিয়েই বিষয়টা জানালো সন্দেহাতীত চোখে। তিনি তেমন চমকালেন না। স্বাভাবিক সুরে বললেন,

“তোমরা নাস্তা খাও। আমি বাড়িওয়ালাদের বাসা থেকে আসি। বুঝতে পারছি বোধহয় কাহিনী।”

রিতু বন্ধুদের নিয়ে নাস্তা খাওয়া শুরু করলো। কিন্তু ওদের সবার মন ও উৎসুক দৃষ্টি রয়েছে রিতুর মায়ের আগমনের দিকে। বিশেষ করে শিখার অপেক্ষা তাদের চেয়ে দিগুণ। বাসার গেট খোলা রইলো। তাই ভিতর থেকেই ওরা গেটের বাইরে চেয়ে আছে। রিতুর মায়ের পাশাপাশি লুঙি ও পাঞ্জাবি পরা একজন মাঝবয়েসী লোক নামল নিচে। তার পোশাক দেখে মনে হলো না বাড়িওয়ালা। শিখা কৌতুহলপূর্ণ চোখে ওঠে দাঁড়ালো। ওরা প্রত্যেকে সেই লোকের পিছন দিয়ে সিঁড়ি ডিঙিয়ে নিচে গেলো। রিতুর মা গেলেন না। তিনি বাসায় প্রবেশ করলো।

সেই লোক লুঙ্গির কোঁচার থেকে চাবি বের করলো। বাথরুমের দরজা খুললো। শিখা এবং তার বন্ধুরা অবাক চোখে ভিতরে তাকালো। দেখলো অল্প বয়সী একজন মেয়ে। কুচি করে সুতী শাড়ি পরা তার। লোকটি মেয়েটিকে বললো,

“বাইর হইয়া আয়। কোনখানে রাইখা শান্তি নাই তোরে।”

“কে উনি চাচা? আপনি চিনেন?”

“আমার মাইয়া। বাইন্ধা গ্যাছে আমার পোলায়।”

তারপর জানা গেলো, তিনি হলেন সেই বাড়ির দারোয়ান। ছাদের উপরে একরুমে তারা থাকে। এটা তার বিবাহিত মেয়ে। মাস ছয়েক ধরে তার মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্পষ্ট কোন কারণ জানা যায়নি ডাক্তার দেখিয়েও। আজ তার ছেলেকে পাত্রীপক্ষ দেখতে আসবে। তাই এই দোতলা বাসা খালি দেখে ওরে বাথরুমে বন্দী করে রাখা হয়েছে। অতিথি চলে গেলে আবার নিয়ে যেতো বাসায়।

শুনে শিখার জানে পানি এলো শুনে। সে জিজ্ঞেস করলো,

“এই বাসা কার ছিলো চাচা?”

“চিনবানা মা। নওশাদ নামের এক ধনী পোলার।”

ততক্ষণে পুরো বাসা খালি হয়ে গিয়েছে। কোন মালামাল নেই। কোন মানুষও নেই। রিতু ও বাকিরা উপরে চলে গেলো। শিখা পাগলী মেয়েটাকে দেখার অজুহাতে দাঁড়িয়ে রইলো। রিতুদের সাথে গেল না। সে চালাকি করে বললো,

“চাচা আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। এভাবে আটকে রাখা নিতান্তই অমানবিক। তা আগে যিনি ছিলো,এই বাসায় কী উনার পুরো পরিবার থাকতো? না তিনি একাই থাকতেন?”

কেয়ার টেকার শিখার আপাদমস্তক পরখ করে দেখলো। জানালো,

“উনি একাই থাকতেন। আর উনার ব্যবসার মালামাল আনা নেওয়া হতো।”

তারপর শিখা উপরে যায়। রিতুদের কাছে বলে বাসায় চলে যায়। যাক বাঁচা গেলো। কী ভয়টা না পেয়েছে সে আজকে। তবুও তার মনে বিরাট প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। মালামাল? কিসের মালামাল অমন কার্টুন ভর্তি? মডেলিংতো ছেড়েই দিলো। উনার গার্মেন্টস হলো গাজীপুর। সেটা পোশাক শিল্প। সেটার জন্য তো গাজীপুরে গোডাউন রয়েছে। তাহলে উনার কী অন্য কোন বিজনেস রয়েছে? যদি থেকেই থাকে,তাহলে আমার থেকে লুকানোর কারণ কী? অফিসে ও বাসায় সেই গন্ধটা কীসের ছিলো? প্রশ্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে সামান্য হলেও রাজের প্রতি তার মনে সন্দেহের বীজ বপন হয়। যদিও শিখা রাজকে নিয়ে অমন চিন্তা করতেই নারাজ। সে রাজকে জীবন দিয়ে ভালোবাসে। তবুও চিন্তারা দল বেঁধে হামলে পড়লো তার মনের ভিতর।

একদিন দুপুরে শিখা তার দুই ভাসুরকে দাওয়াত দিলো। তার মা রান্না করলো। কিন্তু কোনভাবে তাদের শায়েস্তা করতে পারেনি। বা তাদের মুখে কিছু জানতে পারেনি। কেন তারা,আজগরকে জীবন্ত মাটি চাপা দিলো। আপাতত এই দুই কালপ্রিটের সাজার বিষয় বাকি থাকুক। কিন্তু রক্ষা নেই এদের। নয়তো গ্রামে গেলে মনসুরকে জানিয়ে দেয়া হবে তার বাবার কবর দেখিয়ে। বাকি কাজ তারাই করবে। সে তাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করবে।

রাজ নেই। তাই গ্রাম থেকে শিখার বোন আলো এলো স্বামীকে নিয়ে। ঢাকা শহরে তার ছোট বোন একটা ফ্ল্যাটের মালিক। ভাবতেই গর্বে,আনন্দে তার বুক ভরে যায়। এমনটা তার মা নূরীরও হয়েছে শোনার পর। মা,বোন কাছে আছে, তাই শিখার মন বেশ ফুরফুরে। শিখা তার মা, বোন,দুলাভাইকে নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন ঘোরার স্থানগুলোতে গেলো। ঠিক যেগুলোতে রাজ তাকে নিয়ে গিয়েছে। তারপর নিউমার্কেটে গেলো। সবাইকে কেনাকাটা করে দিলো। বেড়ানো শেষে আলো তার স্বামীকে নিয়ে গ্রামে চলে গেলো।

শিখার বাসার ঠিকানায় কুসুমের চিঠি এলো। জানতে পারলো সে ডিগ্রীতে ভর্তি হয়নি। শিক্ষাজীবনকে গুডবাই জানিয়েছে। সীমান্তকে নিয়ে মোটামুটি ভালো আছে। তবে অনেক লাঞ্চনা গঞ্চনা সহ্য করতে হচ্ছে তার। শিখা চিঠির জবাব দিলো কুসুমের দেওয়া ঠিকানায়। স্বশুরের কাছেও একটি চিঠি লিখলো শিখা। তালুকদার ছোট পুত্রবধূর চিঠি পেয়ে আপ্লুত হলো। চিঠিতে জানতে পারলো রাজ দেশে নেই। ব্যবসার কাজে বাইরে গিয়েছে। তিনি বিষয়টা ভালোভাবে নিলেন না। কী এমন ব্যবসা যে এতদিন ধরে বাইরে থাকতে হবে।

সাল ১৯৯৪। শিখার এল.এল.বি’র প্রথম পরিক্ষা শেষ হয়ে গেলো। মা নূরী থাকাতে তার বেশ উপকার হচ্ছে। আর কাজের খালাতো আছেই। বাসার কাজ নিয়ে শিখার ভাবতেই হচ্ছে না। সে পুরোদমে পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিতে পারলো। তাই রেজাল্টও ভালো হলো। শিখা ভীষণ আন্দোলিত! আনন্দে আত্মহারা রেজাল্ট দেখে।

কোথায় ছিলো সে। কোথায় এলো। যাবে কোথায়। জীবন বুঝি তাকে দিয়ে এক বিস্ময়কর সোনালী অধ্যায় রচিত করবে। কখনো কী সে কারো গল্প উপন্যাসের চরিত্র হয়ে উঠবে? যেখানে কী বর্ণিত হবে অজ পাঁড়াগাঁয়ের এক সাধারণ দরিদ্র পরিবারের মেয়ে শিখার সংগ্রাম করে বিজয়ী হওয়ার চমকপ্রদ ইতিহাস? সে কী হতে পারবে পিছিয়ে পড়া এই ভঙুর সমাজের হাজারো মেয়ের আত্মবিশ্বাস ও শক্তি!

বড় ক্যাসেট প্লেয়ারে শিখা একটি ক্যাসেট বাজিয়ে দিলো। কুমার বিশ্বজিতের জনপ্রিয় ‘মাইক্রো’ ক্যাসেট। এটা আসার সময় সে বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছে। শিখা উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। একে একে গান বেজে চলছে।

‘আজ বসন্তের শুভক্ষণে,মনে পড়ে তুমি আজ কতদূরে…’

‘যেখানে সীমান্ত আমার,সেখানে বসন্ত তোমার, ভালোবাসা হৃদয়ে নিয়ে…’

চারমাস অতিক্রম হয়ে গেলো রাজের আসার খবর নেই। নূরী বললো,

“কিরে আমি আর কয়মাস থাকুম? জামাইয়ের লগে কোনভাবে যোগাযোগ করন যায় না? চিঠি দিছে যাওনের পর থেইকা?”

“চিঠি একটা দিয়েছে আম্মা। বলছে আসতে আরো লেট হবে। তুমি বাড়িতে যাওয়ার জন্য এমন অস্থির হয়ে যাচ্ছো কেন আম্মা? আমরা দুই বোন পরের ঘরে। বাড়ির ঘরে তোমার আর কে আছে?”

অভিমানী গলায় বললো শিখা।

“জামাই কোন দ্যাশে আছে?”

“চিঠির ঠিকানা থাইল্যান্ডের দেখলাম।”

” অল্প বয়সী বউ রাইখা এতদিন মানুষ বাইরে এতদিন থাকে?”

উদ্বিগ্ন স্বরে বলল নূরী।

“আম্মা টেনশন নিয়ো না। দেখি আমি উনার অফিসে গিয়ে কোন খবর জানতে পারি কিনা।”

“হ। কালই যা।”

তার পরেরদিন সকালে নাস্তা খেয়ে শিখা অফিসে যায়। অফিসে মাত্র একজন ছেলে আছে। সে টেবিলের কাঁচ মুছতেছে। শিখা যেদিন এসেছে রাজের সাথে সেদিনও দেখেছে এই ছেলেকে।

হঠাৎ শিখাকে দেখে ছেলেটি অপ্রস্তুত হয়ে যায়।

“ম্যাডাম বসেন।”

শিখা বসলো না। জিজ্ঞেস করলো,

“অফিসে আর কেউ নেই? ম্যানেজার আসেনি?”

“আইসা পড়বো এক্ষুনি। আপনি বসেন না।”

“তোমার বস ফোন দিয়েছে এই ভিতরে?”

“আমি জানিনা ম্যাডাম। ম্যানেজার কইতে পারবো।”

শিখা ছেলেটির কথার জবার দিল না। ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ছোট নোট বুকটা বের করে জুবায়েরের দোকানের টেলিফোন নাম্বার দেখে নিলো। টেবিলের উপরে থাকা ল্যান্ডফোন থেকে ফোন করলো। জিজ্ঞেস করলো,

“আপনাদের কী আমার স্বশুর বাড়িতে যাওয়া হয়? চাচী কেমন আছে? বাকিদের কী অবস্থা জানেন?”

জুবায়েরের দোকানের স্টাফ বললো,

“হ যাইতো বাড়িতে প্রতি সপ্তায়। জুবায়ের ভাই টেলিফোন কইরা তাড়া দেয়। না গিয়া থাকা যায় না। উনি দুবাইতে পার্টনারে ব্যবসা শুরু করছে। আর চাচী ভালো আছে। বাকিরাও ভালো আছে। আপনার স্বশুরও একরকম ভালো আছে। আদুরী আপার মেয়ে হইছে শুনলাম। তবে মনে হয় আপনার শাশুড়ীর অসুখ। চাচী কইলো।”

“আচ্ছা। বাড়িতে গেলে বলবেন আমি টেলিফোন করে উনাদের খবর নিয়েছি। এটা বলবেন আমার স্বশুরকে।”

কথা শেষে শিখা রিসিভার রেখে দেয়। মনে মনে ঠিক করলো,রাজ এলেই গ্রামে যাবে সুযোগ করে। শাশুড়ীকে দেখে আসবে। তাকে যতই নির্যাতন করুক,তবুও তো শাশুড়ী। মায়ের সমতুল্য।

ম্যানেজার এসে পড়লো তখন। শিখাকে দেখেই হকচকিয়ে গেলো। সালাম দিয়ে শিখাকে বসতে অনুরোধ করলো। বাইরে থেকে খাবার আনানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

শিখা বললো,

“অত ব্যস্ত হওয়ার কিছুই নেই। আমি এসেছি আপনার বসের খবর জানার জন্যই। চারমাস হয়ে গেলো আসতেছে না। এমন কী আগেও থাকতো বাইরে গিয়ে?”

“হ্যাঁ ম্যাডাম। সবসময় গেলে এমনই টাইম লাগে। বড় বিজনেসের কারবার। বুঝেন না?”

“না বুঝি না। বোঝার জন্যই এলাম।”

শিখার কন্ঠ ধারালো। চাহনি তীক্ষ্ণ!

“আচ্ছা ম্যাডাম।”

“লাস্ট কবে কথা হয়েছে আপনার সাথে? কবে আসবে বলছে?”

“সাত আটদিন আগে। কিছুদিন পরেই চলে আসবে। চিন্তার কিছুই নাই ম্যাডাম। কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে বলতে পারেন।”

” নাহ। দরকার নেই। টেলিফোন করলে আমি যে এসেছি এটা জানাবেন। ও হ্যাঁ আপনাদের এটা কিসের অফিস যেন? বলছিলো উনি। ভুলে গিয়েছি। মাত্র একদিন আসলাম কিনা তাই।”

“ম্যাডাম যে কী বলেন না? কিসের অফিস আবার? বিজনেসের অফিস। বিভিন্ন ক্লায়েন্টরা আসে। পার্টনাররা আসে। বিজনেস নিয়ে বড় বড় ডিল হয় বসের সাথে। আলোচনা হয়। মিটিং হয়। পার্টনারে উনার গাজীপুরে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আছে গাজীপুরে।”

“তা বেশ জানি। আমাকে নিয়ে গিয়েছে।”

শিখা পা ঘুরিয়ে অফিসের ভিতরে চলে গেলো। ঘুরে দেখলো প্রথমবারের মতো। কিঞ্চিৎ আগ্রহ নিয়ে পিছনের বারান্দায় গেলো। সেদিনের মতই কিছু বড় কার্টুন দেখতে পেলো। সেগুলোর উপরে শিখা হাত রেখে বোঝার চেষ্টা করলো ভিতরে কী। কিন্তু প্রতিটি বাক্স এমনভাবে সিলবন্দী না খুললে বোঝার উপায় নেই। শিখার উৎসুকতা বেড়ে গেলো। সে সামনে গিয়ে ম্যানেজারের সামনে দাঁড়ালো। দৃষ্টি তাক করে ভারিক্কী গলায় জিজ্ঞেস করলো,

“ম্যানেজার সাহেব,বারান্দায় বাক্সগুলো কিসের?”

“ম্যাডাম এগুলো অন্য একজনের বিজনেসের মাল। কবে রেখে গিয়েছে,নেওয়ার আর নাম নেই। বস আসুক। পার করে দিবো।”

শুকনো গলায় জবাব দিলো ম্যানেজার।

শিখা ভ্রু কুচকে বলল,

“সেগুলো কোন কাঁচামাল? নাকি দুষিত মাল? কেমন ভ্যাপসা গন্ধ লাগলো আমার নাকে। নেশাজাতীয় কিছু হবে মনে হচ্ছে।”

“মনে হয় তেমন কিছুই।”

দোনোমোনো করে বলল ম্যানেজার।

“যদি তাই হয়,তাহলেতো সেই লোক একজন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক পাচারকারী। মানে তিনি অবৈধ ব্যবসায়ী।”

বলিষ্ঠ গলায় বলল শিখা।

“বাদ দেন ম্যাডাম। আপনি বসেন না। অফিসে এলেন। অথচ কিছুই খেলেন না। কেমন দেখায়।”

মার্জিত ভঙ্গিতে বলল ম্যানেজার।

” নাহ। ঠিক আছে। থাকেন। আমি যাই।”

শিখা বেরিয়ে যায় রাজের অফিস হতে। রিকশায় যেতে যেতে এক বুক বিতৃষ্ণা নিয়ে মনে মনে বলে,

“সেই মাদক ব্যবসায়ী বা জড়িত ব্যক্তির নাম যদি হয় নওশাদ,জুবায়ের কিংবা বাদশা। তাদের কারোই রক্ষা নেই। কারোই না। সময় আমাকে শিখা থেকে অগ্নিশিখাতে রূপান্তরিত করেছে।”

রাজবধূ ৭২ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!