ইংল্যান্ডের পাশেই রয়েছে আয়ারল্যান্ড।ইংলিশদের মতোই আইরিশরা এক প্রাচীন জাতি।এখানকার লোক কাহনী দুনিয়ার মানুষের মুখে মুখে।এখান কার গল্প এক কৃষককে নিয়ে।সে প্রতিদিন খুব ভোঁরে ঘুম থেকে উঠতো।উঠেই সে তার গবাদিপশু আর জমি দেখাশুনার কাজে বেরিয়ে পড়ত।এক দিন সকালে সে জমি দেখতে গিয়ে সে জমির এক পাশ থেকে কে যেন হাতুড়ি পেটাচ্ছে এরকম অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেল।ক্ষেতের চারদিকে তাকিয়ে সে অবাক।সে দেখল এক রাতেই ক্ষতের চার দিকে অসংখ্য ব্যাঙের ছাতা গজিয়েছে।এদের আকার দেখে কৃষক একেবার হতভম্ব।এত বড় ব্যাঙের ছাত সে আগে কোনদিন দেখিনি।ব্যাঙের ছাটা গুলো ভাল করে দেখার জন্য সামনে যেতেই দেখতে পেল,একটা ব্যাঙের ছাতার নিচে বসে একজন লিপ্রেখেন জুতা সেলাই করছে।আইরিশরা ভাবল, লিপ্রেখেনরাই ডেনিশদের ধনরত্ব রাখার খবর জানে।
কৃষক দৌড়েগিয়ে লিপ্রেখেন ধরে বলল,আমি অনেক দিন ধরে তোমাকে খুঁজছি।গুপ্তধনের সন্ধ্যান না দিলে তোমাকে ছাড়ব না।চাষির কথা শুনে লিপ্রেখেন চিৎকার করে বলল,তারা সে সব রত্নধর কোথায় রেখেছে তা আমি জানি না।তোমাকে বলতেই হবে না হলে তোমাকে বেধে রাখব।
আমি কিছু জানি না।
চাষি লিপ্রেখেন বাড়িতে নিয়ে একটা বড় ট্যাঙ্কে ভরে তালা দিয়ে রাখল।এভাবে সাত বছর চলে গেল।সাত বছর পর কৃষক একদিন সমুদ্রতীরে বেড়তে গিয়ে দেখল এক আঁটি কাঠের টুকরো সমুদ্রের পানিতে ভেসে যাচ্ছে।আঁটির দিকে ভাল করে তাকাতেই টার মনে পড়ল,এই আটিটি একবার সে এক লোকের হাতে বিক্রি করে ছিল।
সেদিন সমুদ্রতীর থেকে কৃষক বাড়ি ফিরে এলেন লিপ্রেখেন ট্রাঙ্কের ভেতর বসে হাসল।
একদিন লিপ্রেখেন বের করে চাষী বলল,যদি গুপ্তধনের খবর আমাকে না দেও আরও সাত বছর আটকে রাখব।
তোমার যা খুশি তাই করো।
তবে বড়লোক হবার পথা তোমাকে দেখাব না।এক দিন চাষী নাস্তা করছিল সেই সময় খুব গরিব এক লোক বাড়িতে এল।তখন কৃষক গরিব লোকটির নাস্তা খাবার জন্য অনুরোধ করল।লোকটি তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে নাস্তা খাবে না বলে জানাল।লোকটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুদুর যেতে না যেতেই হঠাৎ পিছড়ে তার পা ভেঙে গেল। লিপ্রেখেন ট্রাঙ্কের ভেতর বসে এবারও হাসল।দ্বিতীয় সাত বছর পার হবার পর কৃষক আবার লিপ্রেখেন কে বের করে বলল,এখনো সময় আছে বল ধনরত্ন কোথায় রেখছ।নইলে তোমাকে বড় ধরনের শাস্তি দেব।
লিপ্রেখেন বলল যা ইচ্ছা কর।কিছুতেই তোমাকে বলব না।একথা শুনে কৃষক আবারও লিপ্রেখেনকে বাক্স বন্দি করে রাখেন।
কিছুদিন পর কৃষক মেলায় যাবার জন্য তৈরি হলো।সেখনে লোকজন চুরির ভয়ে টাকা পয়সা মাটির নিচে পুতে রাখত।সে রকম কৃষকের কিছু টাকা মাটির নিচে লুকানো ছিল।মেলায় যাবার সময় কৃষক গোপন যায়গা থেকে কিছুটাকা বের করল।কৃষক মেলাথেকে ফেরার পর লিপ্রেখেন আবার হাসল।হাসি শুনে চাষি দৌড়ে বাক্স থেকে লিপ্রেখেনকে বের করে এনে বলল,বলো প্রতিবার কেন তুমি হাসো?এ নিয়ে তুমি তিনবার হাসলে।
লিপ্রেখেন বলল,দুনিয়াতে এমন অনেক জিনিস আছে যা থেকে মানুষ বড় লোক হতে পারে।অজ্ঞতার কারণে হয় না।
কৃষক বলল,অসব বলো না।কেন হাসছিলে তা বলো?তোমার কি সে দিন তার কোথা মনে আছে,যেদিন সমুদ্রের ধার দিয়ে কাঠের আঁটটি ভেসে যেতে দেখেছিলে?
হ্যাঁ মনে আছে।
আঁটির মাঝখানে থলে ভর্তি টাকা রেখে আঁটটি বাধা হয়েছিল।যার কাছে ওটা বিক্রি করেছ সে এখন অনেক বড় লোক হয়েছে।তুমি ঠিক বলছ,সে এখন অনেক বড়লোক।তো দ্বিতীয় বার কেন হেসেছিল?
তাহলে এবার ছেরে দাও আমাকে।
না বললে আমি তোমাকে ছারব না।গরিব লোকটি তোমার বাসা থেকে চলে যাবার পর আমি হেসে ছিলাম তোমার মনে পড়ে?খাওয়ার জন্য জাকে তুমি সেধেছিলে?মনে পড়ে? বলার জন্য কিছুক্ষণ চাপাচাপি করায় কৃষক রেগে গিয়ে লিপ্রেখেনকে বলল,শেষ বার কেন হাসছিলে বল।না বললে তোমাকে আমি মেরে ফেলব। লিপ্রেখেনকে বলতে লাগল,তুমি জখন মেলার জন্য মাটির নিচে লুকানো টাকা আনতে গিয়েছিলে,তখন এক চোর তোমাকে লক্ষ্য করেছিল।তুমি চলে যাবার পর তোমার সব টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।একথা শুনেই কৃষক তার টাকার খোঁজে চলে গেল।কৃষক তন্ন করে টাকা খুঁজতে লাগল।টাকা না পেয়ে লোকটি শেষে পাগল হয়ে গেল।টাকা হারানোর কোথা কৃষক যদি না জানত তবে সে পাগল হতো না।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।