রাজবধূ ২০ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সে মাথা উঁচিয়ে সেদিকে চাইলো। কুটিল হেসে মনে মনে বলল,
“তালুকদার পরিবারে আমি শেষ নিঃশ্বাস অবধি থাকমু। এর একটা কারণ আপনাগো সবার জানা। মায়া মমতা। বাকি কারণটা বাকিই থাকুক। নয়তো দ্বিতীয় বিয়া না বইসা,না সন্তান জন্ম দিয়া এইখানে পইড়া থাকনের মানেটা কিহে?”
তালুকদার বাড়ির দুই ভাইয়ের যৌথ পরিবারের প্রথম বউ রানী। এই একান্নবর্তী সংসারে রানীর অনেক শ্রম,ত্যাগ, ভালোবাসা রয়েছে। কষ্টের কুয়ো একটাই তার। রাশেদ তাকে কোন সন্তান দিতে পারেনি। অনেক ডাক্তার, কবিরাজ দেখিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করেছে। কোন সুফল পাওয়া যায়নি। কেউই নির্ণয় করে বলতে পারেনি দুজনের মধ্যে কার দোষ। সেই সুযোগটাই লুফে নেয় রানী ও রাশেদ। একে অপরকে প্রায় খোঁচা মেরে,অপবাদ দিয়ে পাঁচ কথা শোনাতে পিছপা হতো না। রানীর সন্তান হয় না, এ নিয়ে অন্যকেউ কথা না শোনালেও একজন মানুষ তাকে মাঝে মাঝেই ঠাট্রার ছলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো। সে তার মুখে কুলুপ এঁটে দিতে চায়।
সে বড় বউ। সেই হিসেবে এই সংসারে তার বহুল কর্তৃত্ব রয়েছে৷ কর্তৃত্বের স্বাদ,খবরদারির সুখ অন্যরকম। এই ক্ষমতা সে হারাতে চায়না। ক্ষমতার জন্য জগতে কত যুদ্ধ বিগ্রহ ঘটেছে। তারতো এসব কিছুই করতে হবে না। অল্পবিস্তর সংঘাত ও ঝামেলা পোহাতে হবে তাকে। তবুও সে রাজী। এই আরাম,আয়েশের বাসস্থান ছেড়ে যাওয়া মূর্খামি ছাড়া কিছুই নয়। সে তার স্থানে অটুট রবে।
বাকি রইলো জীবনের হিসাব। বেলা ফুরিয়ে যাবে একদিন। তার বয়স বাড়বে। রোগে,শোকে নূহ্য হয়ে পড়বে। তখন কে তাকে দেখবে? সুতরাং সেই পথ বের করতে হবে তাকে। যাকে আঁকড়ে ধরে সে জীবনের ক্রান্তিলগ্নেও ভালো থাকতে পারবে। তালুকদার পরিবারের সন্তান সে গর্ভে ধারণ করবে। এতগুলো নওজোয়ান পুরুষ এই বাড়িতে। একজনও কি পারবে না তাকে বিয়ে করতে। সন্তান উপহার দিতে। পারতেই হবে। সেও কম না। পঞ্চ ঘাটের পানি খেয়ে বড় হওয়া রানী। রানী হয়েই থাকতে হবে তার এই তালুকদার গৃহে। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।
কুসুমের মন উড়ে যায় সেই ক্ষণিকের দেখা যুবকটার কাছে। আর দেখা যায়না কেন তাকে? অসুখে পড়লো নাকি। আল্লাহ কি ভাবছে সে। তওবা! তওবা! বেলা অবেলায়, দিবসে,নিশিতে কেবল তার কথাই মনে পড়ে কুসুমের। হৃদয় আরশীতে তার মুখখানি ভেসে ভেসে উঠে ঘন মেঘের মতো।
স্কুলে যাওয়া আসার কালে তার কাজল কালো দুটি আঁখি তাকেই যেন খুঁজে ফিরে। একদিন কুসুম স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। কিছুদূর হেঁটে গেলো সে। পথের পাশে একটি মটর ক্ষেত। ক্ষেতের মাঝখানে সরু লম্বা আল।
কুসুম পথ থেকে ক্ষেতে নেমে গেলো। পথের চেয়ে ক্ষেতের আল ধরে হেঁটে গেলে সময় কম লাগে। কয়েক হাত হেঁটে যাওয়ার পর কুসুম টের পেলো তার পিছনে কারো পদধ্বনি। কুসুম ঘাড় ফিরিয়ে চাইলো।
সেই কাঙ্খিত যুবকটি। কুসুম হতচকিত চোখে তার দিকে চেয়েই লাজুক দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। ফের হাঁটা ধরলো।
“কুসুম শোন।”
হৃদয় হরণ করা আকুল ডাকে কুসুম পা থামিয়ে নেয়।
ধরো বলে কুসুমের হাতে একটি ছোট্ট প্যাকেট দেয় সে।
“কি এটা?”
“বাড়িতে গিয়ে দেখো।”
কুসুম বলে,
“আপনে যে এইভাবে আমার পিছন পিছন আসেন, মানুষের নজরে পড়লে আমার বদনাম রটে যাবে।”
“আমিতো সেটাই চাই কুসুম।”
“নাহ। এভাবে ঘন ঘন আসবেন না। কম কম আসবেন।”
“আচ্ছা কম কম আসবো।”
কুসুম চলে যায়। একটুখানি হেঁটে গিয়ে ঘাড় ফিরিয়ে চায়। দেখে ছেলেটিও এক দুই পা করে এগিয়ে আসছে। যেন তাকে অনুসরণ করতে পারে। কুসুম একটু পর পর ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে আর গাঁয়ের মেঠোপথ মাড়িয়ে বাড়ির দিকে এগোয়। ছেলেটিও তার থেকে বেশ দূরত্ব বজায় রেখে হেঁটে এলো তার পিছু পিছু। কুসুম বুঝতে পারলো ছেলেটি তার বাড়ি চেনার জন্যই এলো। কুসুম একটি বাড়ির ভিতরে চলে গেলো। এই বাড়ির ভিতরের পথ শেষ হলেই তাদের বাড়ি।
বাড়ি গিয়ে কুসুম পুকুর ঘাটে গিয়ে হাতমুখ ধুয়ে আসে। মন উচাটন। অপেক্ষা করার ধৈর্যটুকুও তার নেই। ভাত পরে খাবে। আগে মনের ক্ষুধা নিবারন করবে। পরে পেটের ক্ষুধা।
কুসুম নিজের রুমের দরজা চাপিয়ে দিলো। ব্যতিব্যস্ত হয়ে প্যাকেটটি খুলে নিলো। এতকিছু? কুসুম অভিভূত! আন্দোলিত!
একটি চিরকুট পেলো। কুসুম আপ্লুত নয়নে ব্যাকুল হয়ে পড়ে নিলো।
“কুসুম তোমাকে আমার মনের গগনের সুখ পাখি বানাতে চাই। যেই গগনে তুমি মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় দু’ডানা মেলে উড়ে বেড়াবে। রাজীতো চঞ্চলা? তোমার আমার গোপন প্রণয় রেখো গোপনে। রেখো মোর নামখানিও গোপন। এটা রিকুয়েষ্ট।”
তারপর পেলো কিছু মিল্ক চকোলেট। এটা কুসুমের প্রিয় চকোলেট। পেলো একটি অড়িও ক্যাসেট। গায়ক শুভ্রদেব। ক্যাসেটের দুই পিঠে ছয়টি করে বারোটি গান রয়েছে। এতে তার পছন্দের গান রয়েছে আটটি। অন্যদের ঘরে গিয়ে শুনতে হবে না। তাদের ছোট সাইজের একটি টেপ রেকর্ডার আছে। এটা তার ছোট মামা বিদেশ থেকে আসার পর তাদের উপহার দিয়েছে।
আহ প্রেম! কুসুম উতলা। সমস্ত অনুভূতি অবশ হয়ে আসছে। তার নিটোল দেহের গহব্বরে থাকা পবিত্র রুহটাতে আসন পেয়ে গেলো সেই যুবকটি। কুসুম পারলে তাকে দেবতার আসনে বসিয়ে পূজো দিতো রোজ সকাল সন্ধ্যা। এত ভালো প্রেমিক সে ইহজনমে আর পাবে না। এতটা মায়া কুসুমের জন্য? কোন গাঁয়ের যুবক সে? না জানি কতদূর হতে আসে কুসুমের মুখ দর্শনের জন্য।
কুসুম দেখলো কেবল চিরকুট, চকোলেট, ক্যাসেট ই নয়। চমৎকার ভিউকার্ডও রয়েছে দুটি। কুসুমের মুগ্ধতা অসীমে পৌঁছে গেলো। জীবনে এই প্রথম এত সুন্দর সুন্দর উপহার পেলো। একটি ভিউকার্ডে হিন্দি ছবির নায়ক নায়িকা। শাহরুখ খান ও জুহি চাওলা। রোমান্টিক অভিনয়ে শাহরুখ খান সেরা। দুটো ভিউকার্ডই কুসুমের ভীষণ পছন্দ হলো।
বাকিটিতে শাবনাজ নাঈমের ছবি। এরা দুজন এই নব্বই দশকের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি। কুসুমের চঞ্চল মন ভিউকার্ডটি দেখছে হাত বুলিয়ে। নায়ক, নায়িকার কৃষ্ণকায় দিঘলকেশী বেনী ধরে টানছে। কুসুম মনে বলল,
চুল টানার ভিউকার্ড আমারে দিলো ক্যান? কি বুঝাইলো সখায়? সেও কি আমার চুল ধইরা এমন টান মারবো নাকি? আমিও চন্দন ভাইয়ের দোকান থেইকা তারে ভিউকার্ড কিইনা উপহার দিমু। নায়িকা নায়কের হাতে কামড় দিতাছে। এমন টাইপের। বুঝবে সংকেত।
কুসুম সব লুকিয়ে রাখলো সযতনে। আপন মনে মিটমিটিয়ে এক চোট হেসে নিলো।
আকুলিবিকুলি মন নিয়ে কুসুম ভাত খেয়ে উঠলো। এভাবে পথের মাঝে অল্পস্বল্প দেখা,চোখে চোখ রাখা,ইশারায় ভাব বিনিময়, চিঠি বিনিময়ের মাঝে কুসুমের প্রেম হয়ে গেলো সেই ছেলের সঙ্গে। কুসুম এসবের কিছুই শিখাকে শোনায়নি। প্রেমিকের গুরুত্ব তারকাছে বেশি।
শিখাও এই ভিতরে পড়াশোনার চাপের জন্য কুসুমকে জিজ্ঞেস করেনি কিছু। সেই সময় সুযোগও হচ্ছে না। শিখা সকালে এসে স্কুলে কোচিং করে। তারপরে ক্লাস। ক্লাস শেষে আবার প্রাইভেট। বাড়ি ফিরতেই বিকেল ফুরিয়ে যায় তার। কুসুমের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপ করার ফুরসত তার মেলছেইনা।
রাজ শিখার চিঠি পেলো। দেখলো চিঠিতে রোমাঞ্চকর কোন কথা নেই। অতি সাধারণ কথাবার্তা লিখেই শিখা চিঠি শেষ করে ফেলা হয়েছে। তবে মজার বিষয় ছিলো একটা।
“আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন? আমরা সবাই ভালো আছি। গ্রামে শীত পড়েছে। শহরে কেমন শীত? আপনি অপেক্ষায় আছেন। তাই চিঠি লিখলাম। কোচিং, ক্লাস,প্রাইভেট, নোট করা সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। আপনাকে একটা মজার কাহিনী বলি। আমাদের বাড়িতে আজ ভোরে একজন চোর ধরা পড়েছে। হিঃহিঃহিঃহিঃ। দেখেন, না বলতেই হেসে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছি। আমার সেই ঘরের জেঠিরা নারকেলের পিঠা বানাবে। তাই উনার সাত বছরের নাতনিকে পাঠালো চৌকির তলা থেকে দুই তিনটা ঝুনা নারকেল নিয়ে যাওয়ার জন্য। তো সে চৌকির সামনে বসতেই তার সামনে চৌকির নিচ হতে গড়িয়ে আসতে লাগল একের পর নারকেল। সে নারকেল নিয়ে গেলে তার মা নারকেল নিয়ে আবার এলো ঘরে। বদল করে নেওয়ার জন্য। নারকেল ভিতর হতে আসতে লাগলো। ভাবি চেঁচিয়ে উঠলো কর্কশ গলায়।
কোন বান্দর চৌকির তলায় ডুকছে রে? অন্তি না শিমুল? বাইর হ কইলাম।
তোরা পলাপলি খেলার লাইগা আর জায়গা পাইলি না।
কারো শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ভাবি চৌকির তলায় মাথা নিচু করে তাকালো। আম্মাগো চোর, চোর! সবাই আসেন। ব্যাটারে আমি ধরছি।
চোর শেষ রাতে ঢুকলো। বের হতে পারেনি। তাই চৌকির তলায় নারকেলের স্তুপের আড়ালে লুকিয়ে রইলো। আর তাকে যেন না দেখে তাই নিজেই নারকেল বের করে দিয়ে সাহায্য করলো। তারপর উঠানে পেয়ারা গাছের সাথে মোটা পাটের দড়ি দিয়া তারে বেঁধে ফেলল। বাঁধা যায়? বেটার পুরা গা তেলে চুবচুবা। মনে হয় তেলের গ্যালন গায়ে ঢাইলা দিছে। যেনো কেউ ধরতে আইলেই হাত ছুটে যায়। কি চেঁচাটাই না দিলো ভাইয়া। যদি দেখতেন আপনি। তখন অবশ্য আমার অনেক খারাপ লেগেছিলো সেই চোরের জন্য। ওহ! কালো কুচকুচে সেই চোরের নাম হলো ধলা মিয়া। অনেক কথা বলে ফেলছি। কিছু মনে করবেন না। আপনার কথা মাঝে মাঝে মনে পড়ে। আর বিশেষ কি লিখবো। নিজের প্রতি যত্ন নিবেন।
ইতি,
মধুপুরের শিখা।
চিঠি পড়া শেষে রাজ হোঃহোঃহোঃ করে অট্রহাসিতে ভেঙ্গে পড়লো। সময় করেই মধুপুরের অগ্নিশিখার চিঠির জবাব দিবে সে।
বাদশা তার উপর অর্পিত তালুকদার বাড়ির দায়িত্ব দ্রুত শেষ করে ফেলে ইদানীং। তার এখন বাড়তি প্রচুর কাজ। সেই বাড়তি কাজগুলোই তার জীবনের অন্যতম প্রধান কাজ। সব ভালোর ভালো সম্পন্ন করলে নিজ হাতে তালুকদারকে শেষ করবে। বাদশা, গদি ঘরের ডুপ্লিকেট চাবি বানিয়ে নিলো। এই পৃথিবী টাকার গোলাম। টাকা দিয়ে একজন নাপিত ঠিক করলো। তার সেই খালার বাড়ি গিয়ে মাকে দেখে আসল। তার মা বাদশাকে কোন গোপন সংবাদ বাড়ির একজনের মাধ্যমে দিতো। তারকাছ থেকেই বাদশা মায়ের গন্তব্য জেনে নিলো।
তালুকদারের মেজো ছেলে খালেদ তালুকদার বাড়িতে আসলো। রানীর খবর নিতে তার রুমে গেলো খালেদ। রানী দেবরের বুকে মাথা রেখে মরাকান্না জুড়ে দিলো স্বামীর জন্য। খালেদের মানসিকতা ভালো। উদার। সে রানীর পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে শান্তনার বানী শুনাতে লাগলো।
“ভাবি কান্দো কেন? আমরা আরো তিন ভাই আছি তোমার খবর রাখনের। তুমি এই ঘরে বউ হয়ে আসার পর ভাইয়ার পরে আমারেই কাছে পাইছো। তাই আর কাউরে না বলো,আপন ভাইবা যখন যা দরকার আমারে বললা।”
রানী খালেদকে আরো নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরে। কান্না থামিয়ে নেয়। বিগলিত কন্ঠে বলে,
“আপনে সত্যই কইতাছেন মাইজ্জা ভাই? আমার মাথা ছুইঁয়া কথা দেন। তাহলে বড় ভরসা পামু। আর শান্তিতে নিশিতে ঘুমাইতে পারুম।”
খালেদ রানীর মাথায় হাত রাখে। বলে,
“এই যে তোমারে ছুঁয়ে কথা দিচ্ছি যখন যা চাইবা, আমি দিমু। তোমার কোন অপূর্ণ সাধ থাকলেও তা পূরণ করা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য।”
খালেদ প্রস্থান নেয় রানীর রুম হতে। রানী তুষ্ট হাসে। তার দ্বিতীয় জীবন শুরু হতে যাচ্ছে, ভেবেই বুকের ভিতর বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস তার।
খায়রুল তালুকদার জমির পাড়ে যায়। পায়চারি করতে থাকে। মনে মনে বলে,
“নূরী তোর দম আটকানোই এখন আমার একমাত্র কাজ। তুই বাইঁচা থাকলে আমার বাঁইচা থাকা পুরাই রিস্ক হইয়া যায়। তুই একটা জ্বলন্ত আগুনের কুণ্ডলী!”
সময় সকাল দশ ঘটিকা। শিখা স্কুলে চলে গিয়েছে। নূরী আস্তেধীরে হেঁটে তাদের বাড়ির ঘন বাগিচার ভিতরে যায়। সম্ভাব্য কয়েকটি গাছের মাথার দিকে চায়। পেয়েও গেলো। দেখে নিলো একটি আমগাছের ডালে লাল জংলী পিঁপড়া বাসা বেঁধেছে। তারপর অন্যদিকে যায়। আরেকটি উপাদানের সন্ধানও পেয়ে গেলো। তার ধারণা যদি সত্যি হয়,সে নিজ হাতে তালুকদারকে কুপিয়ে কুপিয়ে মারবে।
নূরী ঘরে ফিরে আসে। সামনের রুম হতে কারো হেঁড়ে গলার আওয়াজ শোনা গেলো। সে এগিয়ে গিয়ে ঘরের মাঝ চৌকাঠে পা রাখতেই আৎঁকে উঠলো। আতংকিত কন্ঠে বলে উঠলো,
“ছোট তালুকদার আপনে এই সাতসকালে আইলেন যে?”
তালুকদার হাত থেকে মিঠাইয়ের মাটির হাঁড়িটি রাখলো টেবিলের উপরে। পাঞ্জাবীর এককোণ পিছন থেকে সামনে উরুর উপর এনে বসলো।
ভিলেনের মতো গাল বাঁকিয়ে হেসে বলল,
” নূরী তুমি বড়ই নিষ্ঠুর বেয়াইন আমার। কই খুশী হইয়া বসতে বলবা। পান বানায়া দিবা। রঙ রসের কথা বলবা। তা না কইরা জিজ্ঞাসা করতাছো ক্যান আইলাম। আজগুবি কথা।”
রাজবধূ ২২ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।