অভ্যন্তরীণ কর্মপ্রেরণা উৎস অন্তরের মধ্যে থাকে।যেমন গর্ভবোধ,স্বীয় কৃতিত্বের ধারণা,দায়িত্ববোধ এবং গভির বিশ্বাস।একটি তরুণ নিয়মিত অনুশীলণ করত কিন্তু সবসময় অতিরিক্ত খেলোয়াড়দের দলেই থাকত।কখন ১১ জনের ফুটবল দলে সুযোগ পায়নি।যখন অনুশীলন করত তখন তার বাবা বসে দেখত।
একবার চারদিন ফুটবল প্রতিযোগিতা চলল।কিন্তু একদিন ছেলেটাকে দেখাগেল না।সে অনুশীলনে এল না।এমন কি কোয়াটার ফাইনাল বা সেমিফাইনালে এল না।হঠাৎ ফাইনালের দিন এসে হাজির।কোচের কাছে গিয়ে ছেলেটি বলল,আপনি সবসময় আমাকে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসাবে রেখেছেন এবং কখনো ফাইনাল খেলার সুযোগ দেননি,কোচ জবাব দিলেন ভাই আমি তোমাকে খেলার সুযোগ দিতে পারিনা।তোমার থেকে ভাল খেলোয়াড় আছে তাছাড়া আজ ফাইনাল খেলা,স্কুলের সম্মানের ব্যাপার।এখানে আমি কোন ঝুকি নিতে চাই না।”ছেলেটি অনুনয় করে বলল,আমি কথা দিচ্ছি আমি আপনার মুখ রাখব দয়া করে আমাকে খেলতে দিন।”কোচ ছেলেটির এত অনুনয় বিনয়ে গলে গিয়ে বললেন,“ঠিক আছে আজ তুমি খেলবে কিন্তু মনে রাখবে সবদিকে বিচার করে দেখলে আজ তোমাকে খেলানো ঠিক নয়। তাছাড়া স্কুলের সম্মানের বিষয়টিও আছে। দেখ ভাই আমার নাম ডুবিও না।
খেলা শুরু হলে ছেলেটি উদ্দীপ্ত হয়ে খেলল।পায়ে বল পড়লেই গোল লক্ষ করে দৌড়াল ও গোল করল।দেখা গেল সেই হলো প্রতিযোগিতার সর্বোত্তম খেলোয়াড়।
তার দলও দর্শনীয়ভাবে জিতল।
খেলার শেষে কোচ তাকে বললেন,ভাই জীবনে আমি এত ভুল করিনি। তোমাকে এত ভাল খেলতে আমি কখনো দেখেনি।কী ব্যাপার বলতো এত ভাল খেললে কি করে? মনে আছে আমার বাবা আমার খেলা দেখতেন।”কোচ মুখ ফিরিয়ে দেখল ছেলেটির বাবা যেখানে বসে খেলা দেখতেন সেখানে কেউ নেই।ছেলেটি জবাব দিল,একথা আপনাকে আমি আগে বলিনি,আমার বাবা ছিলেন অন্ধ।মাত্র চারদিন আগে তিনি মারা গেয়াছেন।আজই তিনি উপর থেকে আমার খেলা দেখছেন”,বাবা খেলা দেখছেন এই ধারনাতেই ছেলের অনুপ্রেনিত হয়েছিল।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।