হযরত যায়িদ (রাঃ) -৬পর্ব -পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ইসলামী বিচারবিধি অনুযায়ী, অস্বীকারকারীর ওপর ব্যবস্থা নেওয়া ওয়াজিব। কিন্তু হযরত যায়িদ (রাঃ) খিলাফতের সম্মান ও মর্যাদার কথা বিবেচনা করে বাদীকে বললেন,
— “যদিও নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজন নেই, তবুও আমি বলছি, আপনি আমীরুল মুমিনীনকে কসম দানের বিষয়টি মাফ করে দিন।”
এই কথা শুনে আমীরুল মুমিনীন ক্ষোভের সঙ্গে বললেন,
— “যায়িদ, আপনি ন্যায়পরায়ণ বিচারক হতে পারবেন, যতক্ষণ না উমারও একজন সাধারণ মুসলমান হিসেবে তাঁর নিকট সমান হয়।”
তৎকালীন খিলাফতের বিভিন্ন স্থানে যদিও একাধিক স্থানীয় বাইতুল-মাল ছিল, তবুও দারুল খিলাফা মদীনায় ছিল কেন্দ্রীয় বাইতুল-মাল। হযরত যায়িদ (রাঃ) ছিলেন এই কেন্দ্রীয় বাইতুল-মালের দায়িত্বশীল।
হিজরী ৩১ সনে খলীফা হযরত উসমান (রাঃ) তাঁকে এ দায়িত্বে নিয়োগ করেন। এই বাইতুল-মালের কর্মচারীদের মধ্যে ওহাইব নামে হযরত যায়িদ (রাঃ)-এর একজন দাসও ছিলেন। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছিলেন এবং নানা কাজে হযরত যায়িদ (রাঃ)-কে সাহায্য করতেন।
একদিন তিনি বাইতুল-মালে কাজ করছিলেন। এমন সময় খলীফা উসমান (রাঃ) সেখানে উপস্থিত হন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
— “এ কে?”
জায়িদ (রাঃ) বললেন,
— “আমার দাস।”
উসমান (রাঃ) বললেন,
— “আমাদের নিকট তার অধিকার আছে, কারণ সে মুসলমানদের সাহায্য করছে।”
মূলত, তিনি বাইতুল-মালের কাজে দাসের অবদানকে নির্দেশ করছিলেন। এরপর তিনি দু’হাজার দিরহামের বেতন নির্ধারণের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। কিন্তু হযরত যায়িদ (রাঃ) এক হাজার করার প্রস্তাব রাখলেন। খলীফা তাতে রাজি হলেন। এভাবে তার বেতন এক হাজার দিরহাম নির্ধারিত হলো।
খলীফা হযরত আবু বকরের (রাঃ) আমলে মুহাজির ও আনসারদের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত মজলিসে শূরার একজন সম্মানিত সদস্য ছিলেন হযরত যায়িদ (রাঃ)। খলীফা উমার (রাঃ) উক্ত শূরাকে একটি উপদেষ্টা কাউন্সিল রূপ দেন। জায়িদ (রাঃ) তারও একজন সদস্য ছিলেন।
হযরত যায়িদ (রাঃ) -৮পর্ব -পড়তে এখানে ক্লিক করুন
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
 
					