হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর বিবাহ-৪র্থ পর্ব
হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর বিবাহ-৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এ পত্র লিখে হযরত ছোলায়মান (আঃ) হুদহুদ পাখির মুখে দিলেন, হুদহুদ পাখি পত্র নিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে সাবার রাজ্যের রাজধানিতে পৌঁছল। অতপর সে তাজ মহলে গিয়ে দেখল রাণীর খাস মহলের সাতটি দরজা বন্ধ রয়েছে। শুধু জানালা গুলো খোলা। তখন হুদহুদ জানালা দিয়ে ভেতর গিয়ে দেখল রাণী বিলকিস ঘুমাচ্ছে। তখন অতি সন্তর্পণে চিঠিখানা রাণীর বুকের উপর রেখে জানালা দিয়ে বেরিয়ে এল। অতপর সে হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর দরবারে এসে পৌঁছানোর ঘটনা সবিস্তার শাহান শাহকে অবগত করল।
রাণী বিলকিস ঘুম থেকে উঠে বুকের উপর এক খানা পত্র দেখে অবাক হলেন। অতপর তিনি পত্র খানা পাঠ করলেন। পত্র পাঠ করে তিনি ভীষণ চিন্তাযুক্ত হলেন। কে তাঁর নিকট অলৌকিকভাবে এ পত্র পৌঁছে দিল। তাকে তিনি দেখলেন না। বিশেষ করে সাত মহলের সম্পর্ণ দরজা বন্ধ থাকার পরে এ মহলে কে কিভাবে ঢুকে এ পত্র দিয়ে গেল। তাঁর কোন হদিস পাওয়া গেল না। দ্বিতীয়, পত্রের বিষয়বস্তু অত্যন্ত ভিতিকর এবং হুমকি বিশেষ।
রাণী পত্রের মর্ম অনুধাবন করে অত্যন্ত ভিত হলেন এবং জরুরি ভিত্তিতে তাঁর পরিষদবর্গকে ডেকে তখন রাণী বিলকিস সকলকে পত্র খানি দেখালেন এবং পত্রের মর্মাঅনুসারে এখন তাদের কি করনীয় আছে তাঁর পরামর্শ চাইলেন। পরিষদের সদস্যবৃন্দের কেউ বললেন, আমরা সৈন্য সমাবেশ করে হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর সাথে যুদ্ধ করব। কেউ বললেন, না যুদ্ধ করা সম্ভব নয় তিনি বিশাল শক্তির অধিকারি।
তাঁর সাথে যুদ্ধ করে আমরা কয়েক ঘণ্টা টিকে থাকতে পারব না। আবার কেউ বলল, হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর নিকট আত্নসমার্পণ করা সব চাইতে নিরাপদজনক। সর্বশেষে রাণী বিলকিস বললেন, আমার অভিমত হল তাঁর সাথে যুদ্ধ করে আমাদের টিকে থাকা অসম্ভব। তাঁর সম্পর্কে আমি যতদূর জানি তাতে সে যেখানে স্বসৈন্যে প্রবেশ করে সেখানে সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয়। অধিবাসীদের চরম বে-ইজ্জতি করে ছাড়ে। এমতাবস্থায় তাঁর রোষাণলে পতিত না হয়ে প্রথমে তাঁর নিকট উপঢৌকোন প্রেরণ করা হবে বুদ্ধিমান কাজ। তাতে কাছেদেরা এসে কি মন্তব্য করে তা শুনার পরে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে।