কুড়ালে শান দেওয়া

অনি নামে এক কাঠুরে একটি প্রতিষ্ঠানে পাচ বছর কাজ করার পরো তার মাইনে বাড়েনি।
সেই প্রতিষ্ঠান তখন মিকা নামের এক কাঠুরেকে কাজে লাগাল এবং এক বছরের মধ্যে তার মাইনে বাড়িয়ে দিল।
অনি ক্ষুব্ধ হয়ে তার উপরওয়ালার কাছে গিয়ে ব্যাপারটা জানতে চাইল। উপরওয়ালা বলল;
পাচ বছর আগে তুমি যে পরিমাণ কাঠ কাটতে আজও তাই কাটছ। তুমি যদি তোমার কাঠ কাটার
ক্ষমতা বাড়াও তাহলে আমরা তোমার মাইনে বাড়িয়ে দেব। অনি ফিরে গ
িয়ে কাজ আরাম্ভ করল। কিন্তু অনেক বেশি সময় ব্যয় করে এবং সর্বশক্তি দিয়ে আঘাত করেও সে
বেশি গাছ কাটতে পারল না। তখন সে উপরওয়ালার কাছে গিয়ে তার সমস্যার কথা বলল।
উপরওয়ালা পরামর্শ দিল মিকার সঙ্গে কথা বলতে। মিকার হয়ত কিছু কায়দাকানুন জানা আছে-এই ভেবে অনি মিকাকে
জিঙ্ঘেস করল সে এত বেশি কাঠ কাটে কিভাবে? মিকা উত্তর দিল,” প্রত্যেক গাছ কাটার পর আমি দু’মিনিটের
বিরতি নিয়ে আমার কুড়ালটিতে শান দিয়ে নে
ই। তুমি তোমার কুড়ালে শেষবার কখন শান দিয়েছ? এই প্রশ্নটিয়ৈ অনির চোখ খুলে দিল এবং সে তার সব
প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেল।

উপদেশ:অতীত গৌরবগাথা কিংবা উচ্ছশিক্ষার মর্যাদাপুর্ণ তকমা দিয়ে হবে না। সফল হতে হলে সকলকেই সর্বদা
কুড়ালে শান দিয়ে কাজ করতে হবে।

গল্পটি পাঠিয়েছেন: সাতক্ষীরা থেকে-”হরষিথ সরকার”

দুঃখিত!