ফিলিপ হিউজের বেদনাদায়ক মৃত্যু এবং আমাদের শিক্ষা

২৫ বছর বয়সে ফিলিপ হিউজের বেদনাদায়ক মৃত্যু। যদিও সে মুসলমান ছিল না তারপরও একজন আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে তার জন্য খুব খারাপ লেগেছে। সে বুঝতেই পারেনি যে এভাবে তাকে চলে যেতে হবে।

সবাই ফেসবুকে অনেক বেদনাদায়ক স্টেটাস দিয়েছেন। আমি অঙ্কগুলো স্টেটাস পড়েছি কিন্তু একটাও চোখে লাগলো না যেই স্টেটাস বলছে, এই মৃত্যু থেকে কিছু শিক্ষার। তাই স্টেটাস নয় এই ঘটনা থেকে শিক্ষা অর্জনই বুদ্ধিমানের কাজ।

আমাদের একেক জনের একেক প্লান। কেউ বলে …
– বুড়ো বয়সে হজ্জ করে একদম জান্নাতের সার্টিফিকেট নিয়ে আসব।
– এখন অনেক কাজের চাপ, একটু হালকা হলে সুব শুরু করে দিব।
– ভাই সময়ই পাই না।
– শুনেন ভাই আগে জিন্দেগী পরে বন্দেগী।

আরো অনেক কিছু।

একটু নিজেদের দিকে তাকাই তো আমরা। ঠিক এই মুহূর্তে যদি আমি মারা যাই, তাহলে আমার আমলনামায় কোন কাজের অংশটুকু ভারী হবে? আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কতটুকু অংশ কাটে আল্লাহ্‌র আত্মসমর্পণে, আর কতটুকু কাটে আল্লাহ্‌র অবাধ্যতায়? আর হাশরের মাঠে, আমার এই আমলনামা কি আমার ডান হাতে দেওয়া হবে, না বাম হাতে?

আমরা যে চিন্তা করে রেখেছি, “বুড়া বয়সে হজ্জ্ব করে একবারে জান্নাতের সার্টিফিকেট নিয়া রেডি হয়ে বসে থাকমু”, ফিলিপ হিউজের মতই যদি এই যুবক তরতাজা বয়সে আমার মৃত্যু হয়, তাহলে?

আমরা ভুলেই গেছি যে আমাদের এই দুনিয়াটাও একটা মনোপলি গেম, যেটায় টাকা পয়সা আর প্রোপার্টি যতক্ষণ আমরা এই গেমটা খেলছি, ততক্ষণই মহা মূল্যবান। মৃত্যুর সাথে সাথে যখন এই গেমটা আমাদের জন্য শেষ হয়ে যাবে, আমরা সত্যিকারভাবে জেগে উঠব, তখন এগুলো পুরোই মেকি মনে হবে, তুচ্ছ আর মূল্যহীন হয়ে যাবে।

আল্লাহ আরো বলেন- আপনি বলুন, ওই মৃত্যু, যা থেকে তোমরা পলায়ন করো, তাতো নিশ্চয় তোমাদের সাথে সাক্ষাত করবে (আল-কোরআন ৬৩:৮)।

তিনি আরোও বলেন।
“বলুন, যে মৃত্যু থেকে তোমরা পলায়নপর, সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখোমুখি হবে, অতঃপর তোমরা অদৃশ্য, দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহ্‌র কাছে উপস্থিত হবে। তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন সে সব কর্ম, যা তোমরা করতে।” (সূরা জুমআ, আয়াত ৪)

আমরা কতটুকু প্রস্তুত ?

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!