হযরত আবু বকর (রাঃ) – এর গভার্নরগণ

হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর খেলাফতকালে নিয়মিত ইসলামী হুকুমত ছিল একমাত্র আরব উপদ্বীপে। হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)আরব উপদ্বীপকে দশটি প্রদেশে ভাগ করে সমগ্র প্রদেশে নিজের প্রতিনিধি হিসাবে এক একজন করে আমীর নিয়োগ করেছিলেন। প্রাদেশিক শৃংখলা রক্ষা ছাড়াও নামাযের ইমামতি, বিচার এবং কেসাস প্রয়োগও আমীরের দায়িত্বে ছিল।

পতাকা প্রদান

হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)এরখেলাফতের শাসনামলে তিনি নবুয়্যতের মিথ্যা দাবদার মুরতাদ এবং শত্রুদের ক্ষমতা প্রতিহত করার জন্য যে ১১ জন বিশিষ্ট সেনাপতিকে এক একটি সৈন্যদল দিয়ে আরবের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছিলেন এবং তাঁদের সকলকে একটি করে পতাকা প্রদান করেছিলেন।

প্রথম পতাকাঃ হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাঃ) – কে, তাঁর উপাধি ছিল আল্লাহর তরবারী। তিনি কোন যুদ্ধেই পরাজয় বরণ করেন নি।

দ্বিতীয় পতাকাঃ দ্বিতীয় পতাকা প্রদান করলেন হযরত ইকরামা ইবনে আবু জাহল (রাঃ)  কে।

তৃতীয় পতাকাঃ হযরত মহাজীর ইবনে আবী উমাইয়া (রাঃ)  কে তৃতীয় পতাকা প্রদান করলেন।

চতুর্থ পতাকাঃ হযরত খালিদ ইবনে সাঈদ (রাঃ)  কে প্রদান করলেন চতুর্থ পতাকা। আর তাঁকে নির্দেশ দেন যেন শাম দেশের সীমান্ত এলাকায় গিয়ে বিদ্রোহীদের দমন করে তাদেরকে সৎপথে আনয়ন করে।

পঞ্চম পতাকাঃ হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ)  কে পঞ্চম পতাকা প্রদান করলেন। তাঁকে কোযাআর দিকে প্রেরণ করলেন।

ষষ্ঠ পতাকাঃ হযরত হুযায়ফা ইবনে মুহসিন গিতফানী (রাঃ) এবং তাঁকে আহলে দুব্বার দিকে প্রেরণ করলেন।

সপ্তম পতাকাঃ হযরত আরফাজা ইবনে হারসামার হাতে অর্পণ করে।

অষ্টম পতাকাঃ হযরত শুরাহবীল (রাঃ)  এর হাতে প্রদান করলেন।

নবম পতাকাঃ হযরত মাআন ইবনে হাযেয (রাঃ)  কে প্রদান করলেন।

দশম পতাকাঃ হযরত সোয়াইদ ইবনে মকরন (রাঃ)  এর হাতে অর্পণ করে নির্দেশ দেয়া হয় যে, ইয়ামেনের দিকে গিয়ে তাহামা অঞ্চলের বিদ্রোহীদের দমন করে তাদের যেন সৎপথে আনয়ন করা হয়।

একাদশ পতাকাঃ হযরত আলী ইবনে হাযরামী (রাঃ) এর হাতে প্রদান করে তাঁকে বাহরাইন এলাকার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভীযানের দায়িত্বে প্রেরণ করা হয়েছিল।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।