হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে কাফেরদের ষড়যন্ত্র এবং শয়তানের উপস্থিতি-১ম পর্ব

কাফেরগণের যখন কোন সমস্যা দেখা দিত তখন তারা দারুন নদওয়াতে উপস্থিত হতে মত বিনিময়ের মাধ্যেমে তার সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করত। এটা ছিল তাদের এসেম্বলী হল বা সংসদ ভবন। হযরত রাসূলে পাক (সাঃ)এর প্রাণ নাশের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে তারা উক্ত ভবনে একত্রিত হল। বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনার পরও তারা কোন সমাধান বের করতে পারল না। এমন সময় একজন বৃদ্ধ লোক সেখানে উপস্থিত হল এবং তার বাড়ী নজদে বলে পরিচয় দিল। সকলে তাঁকে শায়েখে নজদী নামে আখ্যায়িত করল এবং তার নিকট পরামর্শ চাইল।

বস্তুতঃ এ শায়েখ নজদী ছিল ইবলিস শয়তান। সে বলল, তোমাদের একটি উপায়ই আছে যে, তোমরা যে কোনভাবে মুহাম্মাদকে হত্যা করে ফেল। নচেৎ তোমাদের ধর্মকর্ম এবং ঐতিহ্য রক্ষা করতে পারব না। সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব গৃহীত হল এবং এটাও সিদ্ধান্ত হল যে, মুহাম্মাদ কে যে হত্যা করবে তাকে একশত উট পুরস্কার দেয়া হবে। হযরত ওমর তখন সে মজলিশে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তখনও মুসলমান হন নি। ওমর বড় দুর্দান্ত সাহসী ছিলেন। তিনি বললেন, আমি মুহাম্মদের শির এনে দিব। এ বলে তিনি খোলা তরবারী নিয়ে রওয়ানা দিলেন।

হযরত ওমর (রাঃ) ক্রোধান্বিত অবস্থায় তরবারী নিয়ে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কে শহীদ করার জন্য রওয়ানা দিলেন। পথে হযরত নোয়াইমের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। হযরত নোয়াইব পূর্বেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ওমর তা জানতেন না। নোয়াইম ওমরের বংশেরই একজন লোক। তাই হযরত ওমরের ক্রোধ পথেই ভাঙ্গন ধরুক এটাই তার কাম্য ছিল। তিনি ওমরকে বললেন, ওমর! তুমি কোথায় যাও? ওমর বললেন, মুহাম্মদকে হত্যা করার জন্য। সে কোরাইশের মধ্যে বিরাট বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। তাদের মধ্যে ফেতনা ফাসাদও বিভেদ ছড়িয়েছে। পূর্ব পুরুষগণকে নিন্দা করছে এবং আমাদের মাবূদকে গালি দিচ্ছে। এ সমস্ত অপমান আর সহ্য করব না। নোয়াইম বলল, প্রথমে তোমার ঘরের খবরও লও। তোমার ভগ্নীপতি ছায়ীদ এবং তোমার ভগ্নি ফাতেমাও মুসলমান হয়ে গিয়েছে।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে কাফেরদের ষড়যত্র এবং শয়তানের উপস্থিতি-২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।