আবু তালিবের যত্নে এতীম ভাতিজা
আবদুল মুত্তালিবের দশ ছেলে ছিল। আবু তালেব ও মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর পিতা আবদুল্লাহ সহোদর ভাই ছিলেন। স্নেহময় চাচা আবু তালেবের পিতৃতুল্য স্নেহ মমতা ও আদর যত্নের মধ্যে এতীম শিশুর লালন পালন হতে লাগল। আবু তালেব পুত্রের চেয়ে অধিক প্রিয় ভাতিজার প্রতি সর্বদা তীক্ষ দৃষ্টি রাখতেন। শয়নকালে ও বেড়াবার সময় সঙ্গে রাখতেন। হযরত রাসূলে পাক (সাঃ) বেড়া ও বকরী চরাতেন। সে যুগে মেষ ও বকরী চরান কোন প্রকার অপমানজনক কাজ বলে মনে করা হত না। বরং বিত্তশালী ও সম্ভ্রান্ত বংশের ছেলেরাও তা অতি গর্বের সাথে করত। মহানবী (সাঃ) অনুরূপ গর্ববোধ করতেন। অধিকন্তু নবী হওয়ার পরও তিনি এ পেশাকে অত্যন্ত ভালবাসতেন এবং তিনি বলতেন, প্রত্যেক নবীই বকরী চরিয়েছেন। মহানবীর অজস্র বরকত আবু তালেব ও মক্কাবাসী দেখতে পান। দেশে যে কোন বিপদ আসলে তারা আবু তালেবের নিকট দৌড়িয়ে যেত। আবু তালেব তাঁর ভাতিজাকে অছিলা করে যখন প্রার্থনা করত সঙ্গে সঙ্গে বিপদ দূর হয়ে যেত।
একবার আরবে অনাবৃষ্টির জন্য ভীষণ অভাব ও দুর্ভিক্ষ দেখা গেল। সকলে আবু তালেবের নিকট যেয়ে বলল, আপনি বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করুন। আবু তালেব স্বীয় ভাতিজা মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে খানায়ে কাবায় পৌঁছালেন। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর পৃষ্টদেশ পবিত্র কাবাগৃহের প্রাচীরের সাথে লাগিয়ে আঙ্গুলের দ্বারা আকাশের দিকে ইশারা করলেন। সঙ্গে সঙ্গে মেঘশূন্য নির্মল আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেল এবং প্রবল বৃষ্টিপাত মক্কার মরু অঞ্চলে প্লাবিত হয়ে গেল।