মালেক বিন নুওয়াইরার হত্যাকান্ড
যাকাত আদায়ে বাঁধা দিয়ে মালেক বিন নুওয়াইরা মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করেন । তখন গৃহযুদ্ধ চলছিল বনু তামীমে । ঠিক ঐ মুহূর্তে তাগলব গোত্রের ‘সজাহ’ নামের এক মহিলা তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল । এ মহিলা সর্বপ্রথমে ছিল খ্রিস্টান । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এন্তেকাল এর পর ঐ খ্রিস্টান মহিলাকেও নবুয়্যতের কু-চিন্তায় ধরে বসে এবং আরবের লম্পট কিছু লোক তার সাথী হয় । সে মহিলা তার কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে মদীনা আক্রমন করার মানসে বনী তামিমের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে সে মালেক বিন নুওয়াইরার কাছে বন্ধুত্বের প্রস্তাব পাঠায় । নুওয়াইরা এ প্রস্তাব গ্রহন করে সে মহিলাকে বুদ্ধি দেয় মদীনার দিকে অগ্রসর হবার জন্য । তারা ‘নাবাজ’ নামক স্থানে পৌঁছে বনু তামীমের একটি বাহীনির সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয় । সে বাহিনী ঐ মহিলার কয়াকজন লোককে বন্দি করে ফেলে ।
পরিশেষে তারা চুক্তি করল যে, তারা দুজন যার যার বন্দিকৃত লোক ছেড়ে দিবে আর সজাহ মদীনার দিকে ফিরে যাবে । এরপর সজাহ ব্যর্থ ও পরাজিত হয়ে ইয়ামামার দিকে চলে আসে । ঐ মুহূর্তে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বনু তামিম গোত্রের মুরতাদদেরকে হিদায়েত দান করলে ওরা পুনরায় ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন । মালেক বিন নুওয়াইরা কিন্তু তখনও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে নি । মালেক বিন নুওয়াইরা তার নিজ সাথীদের সাথে নিয়ে বতাহ নামক স্থানে ছাউনী ফেলে । তখন খালেক বিন ওয়ালীদ তুলাইহার সঙ্গে জিহাদ শেষ করে মালেক বিন নুওয়াইরার সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে ফেলেন এবং তার বাহিনীদের বন্দী করে এরপর হত্যা করার জন্য আদেশ দেন ।