বনি ইসরাইলদের বানর হওয়ার ঘটনা-৩য় পর্ব
বনি ইসরাইলদের বানর হওয়ার ঘটনা-২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আর যারা মাছ ধরছিল তারাও মাছ ধরা শেষ করে রাত্রি বেলা নিজ ঘরে আসে বিশ্রাম করে। ভোর বেলা মুছুল্লিরা নামাজ শেষ করে যখন বাইরে যাবার প্রস্তুতি নিলেন তখন তাদের নিকট পাড়া শুদ্ধ নিস্তব্ধ বলে মনে হল। কারিণ অন্য দিন এমন সময় সকল জেলেরা হৈচৈ করে মাছ ধরতে রওয়ানা করেন। কিন্তু আজ তাদের কাউকে দেখা যায় না। মুছুল্লিরদের মনে কেমন যেন একটা সন্দেহ উদ্রেক হল। তাই তারা তাদের বাড়ির পাশের বাড়িতে চলে গেলেন।
সেখানে গিয়ে তারা যা দখলেন, তাতে তাদের ধমনীর রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হল। তারা দেখল একদল বৃহদাকার বানর মাটিতে পড়ে গড়াচ্ছে। যখন মুছুল্লিরা সেখানে গেলেন তখন বানর দল এসে তাদের পায়ের উপর পড়ে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। সাথে সাথে কতক মেয়ে লোক এসে কাঁদ কাঁদ স্বরে বলল আমাদের ভাই নবীর আদেশ নিষেধ অমান্য করে গত দিন এবাদত করতে না গিয়ে মাছ ধরতে ছিয়েছিল। নবী বার বার নিষেধ করেও ওদের লোভ ও মহ থেক বিরত রাখতে পারেন নি। ওরা আল্লাহ তাঁর নবীর প্রতি ঈমান হারিয়ে যে কাজ করেছে তাঁর প্রতিফল হিসাবে রাত্রি বেলায় ওদের রুপান্ত ঘটেছে। ওরা সকল বানরের রুপে রূপান্তর হয়েছে। মাঝে একটু একটু কথা বলতে পারে। বাকি সময় কেঁদে কাটায়। এখন আপনারা দোয়া করে নবীর নিকট ওদের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে ওদের জীবন ভিক্ষা প্রার্থনা করুন। না হয় আমাদের বাঁচার পথ নেই।
মুছুল্লিরা বলল, তোমরা এখন নবীর নিকট গিয়ে আমাদের ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলছ? অথচ সময় থাকতে এ বিষয় আদৌ খেয়াল কর নি। ওরা আমাদের কে অত্যচার করতে দ্বিধা করেনি। যা হোক এ বিষয় আমরা নবীর সাথে আলোচনা করব। এ কথা বলে তারা বিদায় হয়ে আসলেন।
এ বানরেরা তিন দিন যাবৎ ভীষণ কাঁদল। কিছু খেতে পারত না। মানুষ দেখলেই তাঁদের পায়ের কাছে এসে কাঁদত। কিন্তু কার কিছু করা উপায় ছিল না। একদা লোক হযরত দাউদ (আঃ) এর নিকট গিয়ে ওদের পক্ষে থেকে প্রার্থনা করেছিল। হযরত দাউদ (আঃ) তাদের কে বললেন, ক্ষমা করা মালিক আল্লাহ, তিনি যদি ক্ষমা করেন তবে করতে পারেন। এর পর বানরেরা তিন দিন জীবিত ছিল। তৃতীয় দিন সকলে একত্রে মারা গেল।
বনি ইসরাইলদের বানর হওয়ার ঘটনা-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন