বনি ইসরাইলদের বানর হওয়ার ঘটনা-২য় পর্ব

 বনি ইসরাইলদের বানর হওয়ার ঘটনা-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

শরীয়ত বিরোধী নেতা একদিন বলল, মাছ ধরার সাথে শরীয়তের সম্পর্ক কি? এ ধরনের আদেশ কোন নবীর জামানায় দেখা যায় না। এটা একটি খাম খেয়ালী হুকুম।  এর কোন যুক্তিগত দিক নেই। অতএব এ হুকুম আমারা মানতে রাজি নয়। আমরা শনিবার দিন প্রকাশ্যে মাছ ধরা আরম্ভ করল। হ্যাঁ নবী যদি এ হুকুমের কল্যাণকর কোন দিক আমাদের কে দেখাতে পারেন তাহলে আমরা তাঁর কথা অবশই মেনে চলব। আর যদি তিনি না দেখিয়ে গায়ের জোরে একটি ক্ষতিকর  অযৌতিক আদেশ মানতে আমাদের  কে বাধ্য করে  সেটা হবে একটি জুলুম। এ ধরনের জুলুম করা একটি নবীর পক্ষে সমিচিন নয়।

 যাও তোমরা গিয়ে নবীর কাছে থেকে জিজ্ঞাসা করে এসো। নেতার আদেশ অনুসারে কতক লোক হযরত দাউদ (আঃ) এর নিকট গিয়ে তারা মাছ ধরার বিষয় তর্ক-বিতর্ক করে আসল। নবী শুধু একটি জবাব দিলেন আল্লাহ তায়ালা তোমাদের লোভ সম্বরণের পরীক্ষার জন্য এ আদেশ দিয়েছেন এবং মাছদেরকে তাদের দরখাস্ত মঞ্জুর করে সপ্তাহে একদিন নিরাপদ ভ্রমণের সুযোগ দান করেছে। অতএব তোমাদের মঙ্গলের জন্য শনিবার দিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা কর্তব্য বলে আমি মনে করি। মাছদেরকে অবাধে ভ্রমণের আদেশ দিয়ে তোমাদেরকে তাদের মেরে ফেলার সুযোগ দিবেন এ ধরনের নীতি আল্লাহ তায়ালার পক্ষে সমচীন নয়।

বনি ইসরাইল এর লোকেরা হযরত দাউদ (আঃ) এর মন্তব্য শুনে এসে তাদের নেতার কাছে বলল, নেতা বলল, নবীর এ ধরনের খাম খেয়ালী আদেশ পালন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অতএব তোমরা আগামী দিন শনিবার মাছ ধরা চালিয়ে যাও। আমি তোমাদের প্রয়োজনীয় তদারকী করব।

তোমরা  ভয় পেয় পেয়োনা। আমরা ইতো পূর্বে যতটুক না করেছি তাতে আমরা বিরাট লাভবান হয়েছি।  আগামিতে তোমরা আমার কথা অনুসারে চললে তোমরা আরও সুখ-শান্তিতে জিবন-যাপন করতে পারবে।  অতএব এস আমরা আগামি দিন সমবেত ভাবে এ পরিকল্পনা কার্যকর  করব। নেতার এ আদেশ পেয়ে সকলে আনন্দে লাফিয়ে উঠল। তারা আগামি দিন মাছ ধরবে বলে নেতার কাছে অঙ্গীকার করল। পরের দিন নবী লোক পাঠিয়ে সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলেদের জানিয়ে দিলেন শনিবার দিন তারা কাজ কর্ম ও মাছ ধরা থেকে বিরত থেকে ভোরবেলা এবাদতের উদ্দেশ্যে যেন নবীর দরবারে যেন সকলে জমায়েত হয়। বনি ইসরাইল এর মৎস্যজীবীরা নবীর এ দূতের অপমান করে  বিদায় করে দিল। পরে দিন শনিবার মৎস্যজীবীদের মধ্যে থেকে গুটি কতক এবাদতে অংশ গ্রহন করার উদ্দেশ্যে নবীর দরবারে চলে গেলেন। বাকি অধিকাংশ লোকেরা ভোর বেলা মাছ ধরার জন্য সমুদ্র তীরে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। সারাদিন তাঁর আনন্দ সহকারে মাছ শিকার করল এবং আর এক দলের নিকট বিক্রয় করল। এদের মধ্যে থেকে কিছু লোক কিছু সময় মাছ ধরে পরে গিয়ে নবীর দরবারে এবাদতে শরীক হয়। মুছুল্লির দলেরা ভোরবেলা সকলে মাছ ধরতে বারণ করে নবীর দরবারে চলে যায়। রাত্রি বেলা তারা ঘরে ফিরে আসে।  

বনি ইসরাইলদের বানর হওয়ার ঘটনা-৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।