বনি ইসরাইলদের বানর হওয়ার ঘটনা-১ম পর্ব

হযরত দাউদ (আঃ) এর কঠোর হেদায়াতের ফলে তাঁর শেষ জীবনে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শরীয়তের হুকুম প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন। 

দেশের অধিকাংশ মানুষ শরীয়তের আইন মেনে চলত এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখত। তখনকার সরীয়তের বিধান অনুসারে শনিবার ছিল জুমার নামাযের দিন। শরীয়তের বিভিন্ন আদেশ নিষেধ এর সাথে জুমার দিনে ব্যাবসা করা, শিকার করা ও মাছ ধরা নিষেধ ছিল।

সে সময় সমুদ্র তীরে একদল বনি ইসরাইলের লোক ব্যবসা করত। তারা সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ব্যাবসা করত। তারা প্রথম দিকে সরীয়তের বিধান মান্য করত।

তখন শনিবার  দিনকে আল্লাহ তায়ালা মাছের জন্য নিরাপদ দিন ঘোষণা করে।

তাদের যথেচ্ছা ভ্রমণের সুযোগ দান করেছিলেন। মাছেরা আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি শনিবার দিন সমুদ্র তীরে এসে আনন্দে ফুর্তি করে চলে যেত। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত করার পর বনি ইসরাইলরা দেখল, শনিবার বিপুল সংখ্যক মাছ সমুদ্রও তীরে আসে। যা এক ঘণ্টা ধরলে বাকি সাতদিন আর মাছ না ধরলেও চলে। মাছ নিজে নিজে তীরে পর্যন্ত লাফিয়ে উঠে। আর অন্য দিন বহু চেষ্টা করেও মাছের সন্ধান পাওয়া যায়না।

তাই কতক লোকের মনে মাছ ধরার লিপসা সৃষ্টি হল। তারা গোপনে সমুদ্রের চরা স্থানে কতক কুপ সৃষ্টি করল।  যাতে শনিবার দিন মাছেরা এসে যখন কুপের মধ্যে এসে খেলা করবে। তখন কুপের উপর জাল ফেলে রাখার চেষ্টা করবে। ঐ দিন তারা কোন মাছ ধরবে না। পরের দিন তারা মাছ গুলা তুলে আনবে। এ পরিকল্পনা অনুসারে তারা কাজ ওরা শুরু করে দিল। দেখল তারা নিরাপদেই কার্য-সিদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।  আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কোন বাধা বিপত্তি আসেনি। 

তাই তাদের সাহস আরও বেড়ে গেল। দির্ঘ দিন এভাবে তারা কাজ চালিয়ে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হল।  অধিকাংশ লোকেরা সেখানে অট্টলিকা তৈরি  করল। ফল বাগান,ফুল বাগান , নাচ ঘর আন্নদ, খেলা প্রমোদ খানা তৈরি করল।  

আবার এ বংশের কতক লোক ছিল যারা শরিয়তের বিধান অনুযায়ী জিবন-যাপন করত। তারা কোন দিন এ পন্থায় মাছ শিকার কতে অগ্রসর হয়নি। তারা দিন হিন অবস্তায় জিবন-যাপন করত।

তবুও তারা লোভ লালশার শিকার হয়ে শরীয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়নি।

শরীয়ত বিরোধী ধনী ব্যক্তিরা এ দোলকে সর্বদা ঠাট্টা করত। একই সাথে নবী ও আল্লাহ তায়ালা কে বিদ্রুপ করত।

বনি ইসরাইলদের বানর হওয়ার ঘটনা-২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।