আর একজন ভাগ্যবান পুরুষ হলেন হযরত হাসান বসরী (রঃ)। ভাগ্যবান এই অর্থে যে, তিনিও সেই সোনালী যুগের সন্তান। নবীর শহর মদীনাতে তার জন্ম। তার মা ছিলেন উম্মুল মুমেনীন উম্মে সালমা (রাঃ)-এর একজন পরিচারিকা। তাঁর সৌভাগ্য এই যে, শিশু অবস্থায় তিনি উম্মে সালামার (রাঃ) ও হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর স্তন্য পান করেছেন। মা কাজে ব্যস্ত।
শিশু হাসান হয়ত ক্ষুধার কারণে কান্না শুরু করেছেন, তখন হযরত সালামা (রাঃ) নিজের স্তন তাঁর মুখে পুরে দিতেন। আর সেই স্তণ্য পান করে তিনি শান্ত হতেন। হযরত আয়েশা (রাঃ) নিজে নিঃসন্তান ছিলেন। কিন্তু তিনিও মাঝে মাঝে ক্রন্দনরত শিশুকে পরম আদরে তুলে নিয়ে বুকের দুধ পান করাতেন।
নিঃসন্তান হওয়া সত্ত্বেও তাঁর স্তন থেকে দুধ বের হতো। সবই আল্লাহ্র অপার মহিমা। এর চেয়ে ভাগ্যবান কে আছে! আর মুসলিম দুনিয়ার দুই জননী, দুই নবী পত্নীকে তিনি জননী হিসেবে পেয়েছেন। তাঁদের বুকের পীযুষধারা পান করে পরিতৃপ্ত হয়েছেন।
শুধু তাই নয়, পেয়েছেন মহানবীর সানুরাগ সংস্পর্শ। একদিন তো স্বয়ং রাসূলে কারীমের পানির পেয়ালার পানি পান করে ফেললেন শিশু হাসান। পেয়ালায় পানির পরিমান পানির পরিমান কম দেখে রাসূলিল্লাহ (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, পানি পান করল কে?
উম্মে সালামা (রাঃ) বললেন, হাসান।
নবীজী বললেন, আমার পানির পেয়ালা থেকে যে পরিমাণ পানি সে পান করেছে, আল্লাহ্ তাঁকে সেই পরিমাণ দ্বীনী এলম দান করবেন। এক হাদীসে দেখা যাচ্ছে, একদিন হযরত যখন উম্মে সালামা (রাঃ)-এর ঘরে এলেন, তখন তিনি হাসানকে রাসূলুল্লাহর কোলে তুলে দিলেন।
হযরত হাসান বসরী (রঃ) – পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া