।। বিশ্বাস অবিশ্বাস আপনাদের কাছে ।।
এটা আমার চাচির মুখে শোনা আমার দাদাকে নিয়ে একটা ঘটনা।আজ থেকে প্রায় ৪০-৪৫ বছর আগের ঘটনা।আমার দাদা একজন পরহেজগার মানুষ ছিলেন।প্রত্যেক ওয়াক্ত নামায সময়মত আদায় করতেন।এক রাতে তিনি ঠিক করলেন মসজিদে সারারাত থেকে আল্লাহর ইভাদাত বন্দেগী করবেন।এই জন্য তিনি সকাল সকাল মসজিদে চলে আসেন।তার ইচ্ছা ছিল পরেরদিন ফজরের নামাজ পরেই আবার বাড়ী ফিরে আসবেন।ঘটনা ঘটে সেখানে।মসজিদে যাওয়ার পথে একটা পুকুর পরে আত তার পাশে বেশ কিছু নারিকেল গাছ।রাতের বেলা গাছ গুলো দেখতে বেশ ভূতুরে দেখায়।দাদা যখন মসজিদে যাচ্ছিলেন তখন পুকুরের পানি বেশ ভালই ছিল।গাছগুলোও স্বাভাবিক ছিল।তিনি মসজিদে গেলেন এবং ভোরে ফজরের নামাজ পরে তিনি মসজিদ থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন।ওই পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি তার টর্চ লাইটের আলো পুকুরে ফেলে দেখেন সেখানে পানি নেই,লাল লাল কি যেন।তিনি আলো ঘুরিয়ে কিনারার দিকে ফেলেই ভয়ে আতকে উঠেন.সেখানে পড়ে ছিল বেশ কিছু মানুষের লাশ,আধ খাওয়া লাশ,কারো মাথা অর্ধেক খাওয়া,কারো হাত নেই,কারও কোমরের নিচের অংশ নেই।দেখে বোঝা যাচ্ছিল সেগুলো খেয়ে ফেলে রাখা হয়েছে আর তাতেই পানি লাল হয়ে গেছে।তিনি ভাবছিলেন যে সকালে তো সব ঠিক ছিল,তাহলে এত মানুষের লাশ সবার চোখের আড়ালে এল কিভাবে।হঠাত পানিতে ধপাস করে একটা শব্দ হল।তিনি আলো সেখানে ফেলে দেখলেন পানিতে আরেকটা লাশ এসে পড়েছে।তিনি উপরের দিকে আলো ফেলে দেখেন তাল গাছের ডগায় মানুষের আকৃতির বেটে আকারের কি যেন একটা মৃতদেহ খাচ্ছে,তাদের পাশে ডালে আরও কিছু মৃতদেহ রাখা।দাদা যা বুঝার বুঝে গেলেন।এটা জ্বীনেরকারবার।পরহেজগার ছিলেন বলে জ্বীন তাড়াবার কিছু উপায় তিনি জানতেন।
তিনি পাশ থেকে একটা কাঠি নিলেন আর তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,”এবার দেখবো তোদের কে বাচায়” এই বলে তিনি সূরা পরতে পরতে কাঠি দিয়ে মাটিতে একটা বৃত্ত আকতে শুরু করলেন।অর্ধেক আকা হয়েছে এমন সময় সেই জ্বীনদুইটা হঠাত একটা বিকট আর্তনাদ করে ওঠে।তারা নিচের দিকে তাকিতে দেখে দাদার বৃত্ত আকা প্রায় হয়ে গেছে।তারা ততক্ষনাত লাশটা ফেলে খুব জোড়ে একটা দৌড় দেয়।লাশটা সরাসরি দাদার কাধে এসে পড়ে।দৌড় দেওয়ার সময় গাছের ডাল ভাঙ্গার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল।দাদার উদ্দেশ্য ছিল ওই জ্বীন দুটোকে বৃত্তে বন্দী করে পরে বৃত্ত মুছে ফেলবেন।
লিখে মানুষকে ভয় পাওয়ানো কঠিন।তবে কার সাথে কখন কিভাবে কি ঘটতে পারে সেটাই হচ্ছে এই ঘটনাগুলো লেখার উদ্দেশ্য।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।