দুটি ঘটনা

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রা.) বলেন, আমি ভ্রমনে বের হলাম । পথে জাহেলী যুগের কবরস্থানগুলো থেকে কোন একটি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় এক লোক হঠাৎ করে জবর থকে বের হল । তার সমস্ত শরীর জুড়ে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিল । আর কাধে ছিল আগুনের শিকল । আমার কাছে পানি ভর্তি একটি পাত্র ছিল । সে আমকে দেখে ডাকতে লাগল । হে আব্দুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা) আমাকে পানি পান করাও । আমি ভাবলাম, সে হয়তো আমাকে চিনে যার কারনে আমাকে নাম ধরে ডাকছে । হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বলেন, আমি সে স্থান থেকে সামান্য দূরে এক বৃদ্ধা মহিলার বাড়িতে মেহমান হলাম। মহিলার ঘরের পাশেই একটি কবর ছিল, আমি সে কবর থেকে এ আওয়াজ শুনতে পেলাম-অর্থাত প্রসাব কতই না মারাত্নক ও ভয়াবহ ব্যাপার এবং বিপদজনক এবং পানির মশক কতই না মারাত্নক ও ভয়াবহ ব্যাপার।

আমি বৃদ্ধি মহিলাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এ আওয়াজ কিসের? মহিলা বললেন, এটা আমার স্বামীর আওয়াজ। সে জীবিত অবস্থায় যখন প্রসাব করত, তখন সে প্রসাব থেকে নিজেকে হেফাজত করত না। আমি তাকে সতর্ক করতাম। বলতাম, উটও প্রসাব করার সময় পায়ের নলাকে নিচু করে দেয়। আর তুমি তাও কর না। কিন্তু সে আমার কথা মানত না। তার যখন মৃত্যু হল তখন থেকেই কবরের ভিতর থেকে এমন আওয়াজ আসে।

এরপর আমি সে ব্যক্তির পানির ব্যাপারে প্রশ্ন করলাম। মহিলা বলল, সে ব্যক্তির ঘটনা এই ছিল যে, একবার এক লোক তার কাছে পানি চাইল। তখন সে বলল, আমার কাছে একটি মশক আছে। এতেই পানি আছে। যাও পান কর। পিপাসার্ত লোকটি দৌড়ে পানির মশকের কাছে গেল। দেখল তাতে পানি নেই। তৎক্ষণাৎ লোকটি মৃত্যুবরণ করল। অথচ সে জানত পাত্রে পানি নেই। শুধুমাত্র সে পিপাসার্ত লোকটিকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য মিথ্যা বলল। প্রথম লোকটি কবর থেকে এ আওয়াজ দেয়। হায়! পানির পাত্র । এরপর আমি সফর শেষ করে মদিনায় পৌঁছলাম। রাসূল (সাঃ)-এর কাছে সব ঘটনা খুলে বললাম। রাসূল (সাঃ) বললেন, আর একা সফর করবে না। সে ব্যক্তি হল আবু জাহেল।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।