হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনা-২য় পর্ব
হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনা- প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
শয়তানের তৎপরতায় ঘটনা আর গোপন থাকে না। মেলার মানুষের নিকট সংবাদ পরিবেশিত হল। তখন সকল মানুষ ছুটাছুটি করে দেশের সর্বপ্রধান মন্দিরের নিকট চলে আসল। অবস্থা দেখে সকলে বিমর্ষ হল। কেউ কেউ ক্রোধে ফেটে পড়ল। কেউ দেবতা হত্যাকারীকে সমুচিত শাস্তি দিবার প্রতিজ্ঞা নিল। ইতোমধ্যে রাজা নমরুদের সেনা বাহিনী সেখানে এসে পৌঁছে গেল। তারা সমুদয় ঘটনা দেখল এবং তড়িৎগতিতে রাজাকে জ্ঞাত করার জন্য চলে গেল। এরপর একদল প্রহরী এলে পররর্তী ক্ষতির হাত থেকে মন্দিরকে রক্ষার জন্য পাহারা দিতে আরম্ভ করল।
রাজা নমরুদের দরবারে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল। ইতোপূর্বে যাদের নিকট তিনি তৌহিদের দাওয়াত পেশ করেছেন, তারা এক যোগে সকলে হযরত ইব্রাহীমের বিরুধে নমরুদের নিকট বলল। নমরুদ এ অভিযোগ শুনে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে ডাকল । হযরত ইব্রাহীম (আঃ) আল্লাহ্ তা’য়ালার সাহায্য প্রর্থনা করে রওয়ানা করলেন। প্রহরী বেষ্ঠিত অবস্থায় হযরত ইব্রাহীম (আঃ) নমরুদের দরবারে উপস্থিত হলেন।
নমরুদ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে জিজ্ঞেস করল, তুমি মন্দিরে রক্ষিত দেব-দেবীগুলোকে ভেঙ্গেছ ? হযরত ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, কে ভেঙ্গেছে তা বড় দেবী যে কুড়াল কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তার কাছে জিজ্ঞেস করুন। নমরুদ বলল ওরা কথা বলতে পারে না, ওরা এ বিষয় কি বলবে ? হযরত ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, যারা কথা বলতে পারে না, মানুষের কথা শুনে না বা নিজেদের আত্নরক্ষা করতে পারে না, তাদের নিকট মঙ্গল প্রার্থী হওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। নমরুদ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর কথা শুনে ক্রোধান্বিত হল এবং তাঁকে কয়েদখানায় বন্দী করার হুকুম দিল। পরের দিন নমরুদ তাঁর পরিষদের বৈঠক ডাকল । সেখানে সে বলল আমাদের আদি পুরুষেরা আরাধনার দেব দেবির প্রতি যে ছেলেটি অশুভ আচারণ করেছে এবং তাদেরকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে, তাঁর কি শাস্তি হওয়া উচিত বলে আপনারা মনে করেন।
হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনা- তৃতীয় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন