আকার-আকৃতিতে আধুনিক মানুষ হলেও দেখতে যেন প্রাচীন যুগের কেউ! শৈশব থেকেই নিজের ইচ্ছেমতো চলাফেরা করতেন, নিজের খেয়াল-খুশি মতোই সিদ্ধান্ত নিতেন। মা-বাবা ছেলের এমন খাম-খেয়ালি সিদ্ধান্ত ও চলাফেরায় বকাবকি করলেও ভাবেননি তিনি আরও কতো বড় খেয়ালি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন।সবাইকে অবাক করে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ওয়াশিংটনের প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট অঞ্চলের বাসিন্দা মিক ডজ অনেক বড় ধরনের খেয়ালি সিদ্ধান্তই নিলেন। নিজেকে দার্শনিক ও শান্তিবাদী দাবি করা ডজ তারুণ্যে ছিলেন একজন নৌসেনা এবং সমর বিশেষজ্ঞ।
২৫ বছর আগে তিনি আধুনিক বিশ্ব ত্যাগ করে বনে-বাঁদাড়ে পালিয়ে বেড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। কারণ ডজ মনে করেন, এই আধুনিক বিশ্বে তিনি মানিয়ে চলতে পারবেন না! তাই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেরিয়েও পড়েন নিরুদ্দেশ গন্তব্যে। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন অলিম্পিক উপদ্বীপের গহীন অরণ্য ‘হোহ রেইনফরেস্টে’। সেখানে গাছ-গাছালি আর লতা-পাতার সঙ্গে গড়ে তুলেছেন সখ্য। এখন গাছ আর লতা-পাতাই তার খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় উপাদান!মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, অরণ্যে বসবাসের এই প্রশিক্ষণ ডজ তার দাদার কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তার দাদাও কয়েক দশক ধরে অরণ্যে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। আর সেই শান্তিপূর্ণ ‘বনবাসের’ কথা শুনিয়েছিলেন ডজকে। তাতেই কিনা স্বেচ্ছায় বনবাসে পুরোদমে উদ্যমী হয়ে ওঠেন সাবেক এই নৌসেনা সদস্য!
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।