আগেই বলা হয়েছে যে, হযরত যাকারিয়া (আঃ) নিঃসন্তান ছিলেন। তাঁর বয়স এমন এক পর্যায়ে এসেছিল যখন সাধারণতঃ কারও সন্তান লাভের আর কোন সম্ভাবনাই থাকে না। আল্লাহ ইবনে কাসীরের অভিমত মোতাবেক তখন তার বয়স সত্তরে উপনীত হয়েছিল। হযরত সায়লাবীর মতে, তখন তাঁর বয়স ছিল নব্বই বছর। যদিও এমন বয়সে সাধারণতঃ কেউ সন্তানাদি গ্রহণ করে না। তবুও তাঁর বিশ্বাস ছিল যে, আল্লাহর অসাধ্য কিছুই নেই। এ বয়সেও তিনি সন্তান দান করতে পারেন। এসব কিছু আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। তিনি ভাবলেন যে, আল্লাহ যখন মৌসুমে ব্যতিরেখে মরিয়মকে ফল দান করেছেন তা হলে আমাকেও এ বয়সেও সন্তান দান করবেন। সুতরাং তিনি সন্তানের জন্য দোয়া করতে সাহসী হলেন। তাই তিনি দোয়া করলেন, হে আমার রব! আপনার পক্ষ হতে আমাকে এমন একজন দিন যে প্রবৃত্তির অনুসরণ হতে পবিত্র হবে। শারীরিক ও আত্মিক উভয়দিক দিয়ে আমার উত্তরসূরী হবে। অতঃপর আমার স্থলাভিষিক্ত হতে
পারে। আপনার কাছে এ আমার আবেদন। আপনি তো আমাদের আবেদন শুনে থাকেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে-
هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُ ۖ قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
অর্থঃ এ সময় যাকারিয়া তাঁর রবের কাছে দোয়া করল, হে আমার রব! আপনার নিকট থেকে আমাকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিঃসন্দেহে আপনি আবেদন শ্রবণকারী। (সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত-৩৮)
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।