হযরত খাদীজা তাহেরা (রাঃ) – এর সাথে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) -এর বিবাহ কার্য সুসম্পন্ন হওয়ার পর তিনি রুজি রোজগার তথা পারিবারিক চিন্তা-ভাবনা থেকে অনেকটা মুক্ত হন। মূলতঃ এখন থেকেই তাঁর আধ্যাত্নিক জীবনের সূচনা হয়।
যতই দিন যাচ্ছে ততই তাঁর নির্জনতার প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে। তিনি জীবনের প্রথম থেকেই প্রতিমা উপসনার প্রতিমা উপসনার প্রতি তাঁর ঘৃণা ও অনাগ্রহ ছিল। কাজেই জীবনে কখনও কোন মূর্তির সম্মুখে মাথা নত করেননি আর এমন কোন সমাবেশেও অংশগ্রহণ করেননি যা মূর্তিপূজার সমাবেশ বলে কথিত হতে পারে।
নির্জনতার এ সময়টিকে তিনি সুস্থ প্রকৃতি যেভাবে পথনির্দেশ করত সেভাবে আল্লাহর ইবাদত করতেন। তবে এ অবস্থায়ও হৃদয় জগতে এমন একটি অস্থিরতা ও অশান্তি ছিল, যা চিত্ত চাঞ্চল্যের কারণ হত। তিনি যখন একাকী অবস্থান করতেন তখন তিনি অধিকাংশ সময় স্বীয় জাতিকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন। চিন্তা-ভাবনা শেষে তিনি বিষ্ময়ে হতবাক হতেন।
সারা দুনিয়ার মানুষ-তথা স্বীয় জাতির লোকেরা কিভাবে আল্লাহকে ছেড়ে মূর্তিপূজায় আত্ননিয়োগ করেছে, কিভাবে সৃষ্টির সেরা জীবের এহেন চারিত্রিক বিবর্তন ঘটছে।
অবশেষে তাঁর ভাবনা-এমন কি ব্যবস্থা থাকতে পারে যার দ্বারা বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিপ্লব সৃষ্টি করা যেতে পারে এবং সত্যিকারার্থে আল্লাহর এবাদত ও নেক আমলে নিজের বিকশিত হবার পথ খুঁজে পেতে পারেন।
উল্লিখিত রূপ আগ্রহ, অনুপ্রেরণা এবং প্রতিক্রিয়া তাঁর অস্থির হৃদয় জগতে প্রথিত ছিল। এসব নিয়েই তিনি আল্লাহ তাআলার স্মরণে নিয়োজিত থাকতেন।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।