খাদিজার পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব

হযরত খাদীজা (রাঃ) নিজে ছিলেন অতিশয় বিদূষী, বিচক্ষণা, সূক্ষ্ণদর্শিনী, বুদ্ধিমতি ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রমণী। তাই তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর সততা, বিশ্বস্ততা, আমানতদারী, বিণয়-নম্রতা, ব্যক্তিত্ব, সচ্চরিত্রতা ও ন্যায়-নিষ্ঠা প্রভৃতি গুণ দেখে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।


তিনি যেন তাঁর প্রতি কেমন একটা হৃদয়ের টান অনুভব করতে লাগলেন। এসময় তিনি মনে মনে ভাবছিলেন, যদি ইনি শেষ নবী হন, আর আমি যদি তাঁকে স্বামীত্বে বরণ করে তাঁর দাসীরুপ স্ত্রী হতে পারি, তবে আমার মত সৌভাগ্যবতী নারী সারা বিশ্বে আর কে হতে পারে? তিনি সহচরী নাফিসার মাধ্যমে আলআমীনের কাছে প্রস্তাব পাঠান।


নাফিয়া এসে আলআমীনকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি বিয়ে করছেন না কেন? জবাবে তিনি বলেন-বিয়ের সামর্থ আমার নেই। নাফিসা বলেন – যদি তার সুব্যবস্থা হয়? মুহাম্মদ (সাঃ) পরিচয় জানতে চাইলে নাফিসা পূর্ণ বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রশ্ন করলেন-আপনি এ প্রস্তাব কিভাবে করলেন? নাফিসা পূর্ণ বৃত্তান্ত তুলে ধরেন।


হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রশ্ন করলেন-আপনি এ প্রস্তাব কিভাবে করলেন? নাফিসা বলেন-আমি এ প্রস্তাব করেছি এবং তা বাস্তবায়নও আমিই করব। নবীজী (সাঃ) থেকে বিদায় হয়ে নাফিসা খাদীজা তাহেরাকে নবীজী (সাঃ)-এর সাথের কথাবার্তা শুনান।


ওদিকে নবীজী (সাঃ) তাঁর অভিভাবক চাচা আবূ তালিবকে সব কথা শুনান। হযরত খাদীজার ব্যক্তিগত আগ্রহের কথাও প্রকারান্তরে আবূ তালিবকে জানিয়ে দেন। আবূ তালিব খাদীজার চাচা আমর বিন আসাদের কাছে বিয়ের পয়গাম পাঠান।


উভয় পক্ষের অভিভাবকদের মাঝে আলাপ আলোচনাক্রমে মহরানা নির্ধারিত হয়ে নির্দিষ্ট দিন তারিখে উভয় পক্ষের আত্নীয় স্বজন ও কুরাইশ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!